“সপ্তম মানবী" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ হাত দিয়ে খানিকটা আলগা মাটি সরাতেই লাশ বেরিয়ে পড়ল। কী আশ্চর্য! লাশ একটা নয়, দুটো! কাফনে মুড়ানাে দুটো লাশ পাশাপাশি রাখা। কাফনের কাপড়ের বিবর্ণ মেটে রঙ দেখে মনে হচ্ছে, এই লাশ দুটো মােটেই সদ্য মৃতের নয়, বেশ কয়েক বছরের পুরনাে। অথচ উপর থেকে কবরটা দেখে মনে হয়েছিল, দু-একদিনের নতুন কবর। শফিক কাঁপা-কাঁপা হাতে কাফনের কাপড় সরিয়ে লাশের মুখ বের করল। লাশ দুটোর মুখ দেখে তার চোখ রসগােলার মতাে। বড় হয়ে গেল। মারাত্মক শিউরে উঠল। কী ভয়ানক চেহারা! মানুষের মুখ বলে চিনতেই কষ্ট হচ্ছে। মুখটা মমির মতাে শুকনাে চিমসানাে ।। আর পুরাে মুখই মুচড়ে চোয়াল ভেঙে তেড়াবাকা হওয়া। মােচড়ানাে সেই মুখের উপর কোঁচকানাে। শুকনাে খসখসে চামড়া' এমনভাবে আবরণের মতাে সেঁটে রয়েছে যে চোখের নিচের হাড়, চোয়াল ও কণ্ঠার হাড় এবং দাতের খাজগুলাে যেন ঠেলে বেরিয়ে আসতে চাইছে বােজানাে চোখ। কোটরের গর্তের গহিনে দেবে গেছে। দেবে যাওয়া সেই গর্তের অন্ধকারে অদ্ভুত এক শূন্যতা ঘিরে রয়েছে। বলা যায় মানুষের মুখমণ্ডলের আকৃতি বলতে কিছুই আর অবশিষ্ট নেই। দেখতে কিছুটা যেন লম্বাটে মুখের অদ্ভুত কোনাে জন্তুর মতাে লাগছে।
আফজাল হােসেন জন্ম : ১৯৮০ সনের ৪ জুলাই। পিতার নাম : মােঃ আবুল কালাম সরদার (মৃত)। পেশায় তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোটের সহকারী রেজিস্ট্রার ছিলেন। শিক্ষাগত যােগ্যতা : ব্যবস্থাপনায় অনার্স-মাস্টার্স, এলএলবি, ব্রজমােহন বিশ্ববিদ্যালয়। লেখালেখিতে আত্মপ্রকাশ : মে ২০০৮, রহস্য পত্রিকায়। সেই থেকে রহস্য পত্রিকায় প্রায় একশত গল্প-উপন্যাস প্রকাশিত হয়েছে।