গুলির শব্দ শুনে চমকে ওঠে আরােয়া। সে দূর থেকে দেখতে পেলাে ঈশান ধীরে-ধীরে বালুর ওপর পড়ে যাচ্ছে, তার ভালােবাসা পড়ে যাচ্ছে, তার জীবন পড়ে যাচ্ছে, তার সুখ পড়ে যাচ্ছে। সে একছুটে ঈশানের কাছে চলে আসে, ঈশানকে ডাকে কিন্তু ঈশান কথা বলে না, সেই ডাকে সাড়া দেয় না, চোখ মেলে তাকায় না। আরােয়া জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এয়ারশিপ থেকে লুইপা, রিবেল, সুরা নামের ভিন গ্রহের তিনজন মানুষ বিশেষ কিছু ক্ষমতা নিয়ে সমুদ্র সৈকতে নামে। তারা ঈশানের নিথর দেহ দেখতে পায়, রক্তভেজা চেহারা দেখতে পায়, তারা একদল সন্ত্রাসী যুবককে দেখতে পায় । ঈশানের বুকে কান পেতে সুরা কিছু শােনার চেষ্টা করে । ঈশান বেঁচে আছে বুঝতে পেরে সুরা শিহরিত হয়, তার ভালাে লাগে। তারা ঈশানকে যুবকদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নিয়ে হাসপাতালে আসে। ঈশান বেঁচে ওঠে কিন্তু স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলে। ঈশান বেঁচে আছে শুনে পৃথিবীর কিছু মানুষ বারবার ওকে আঘাত করার চেষ্টা করে কিন্তু প্রতিবারই ওরা তিনজন ভিন্ন-ভিন্ন কৌশলে, নিজেদের ক্ষমতা দিয়ে ঈশানকে লুকিয়ে ফেলে, বাঁচিয়ে রাখার চেষ্টা করে, স্মৃতি ফেরার অপেক্ষায় থাকে। ঈশানের স্মৃতি ফেরানাের জন্য ওর নিউরনে কিসিকিসির প্রয়ােজন যা কেবল আরােয়ার কাছেই আছে। আরােয়া কি আসবে ঈশানের স্মৃতি ফেরানাের জন্য?
রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলায় জন্মগ্রহণ করলেও কখনো স্থায়ীভাবে সেখানে থাকা হয়ে ওঠেনি । বাবা ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার কারণে এবং সরকারি চাকরির সুবাদে যাযাবরের মতো দেশের বিভিন্ন জেলায় যেতে হয়েছে সেই ছোটবেলা থেকেই । শৈশব-কৈশোর কেটেছে কুষ্টিয়া জেলার চৌড়হাসে। সেখানেই মুকুল সংঘ বিদ্যানিকেতনে লেখাপড়ার হাতেখড়ি । ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন । সেখানেই যৌবনের সুন্দর দিনগুলো অতিবাহিত করেন এবং লেখালেখি শুরু করেন । মুক্তিযোদ্ধা হারুন-অর-রশিদ ছিলেন তার চাচা। অসম্ভব জ্ঞানী এই মানুষটির সংস্পর্শে তাকে আরো বেশি জ্ঞান-পিপাসু করে তোলে । বিজ্ঞানের ছাত্র হওয়ায় সায়েন্স ফিকশানকেই তিনি লেখার বিষয়বস্তু হিসেবে বেছে নেন । ইতোমধ্যে তার কিছু গল্প, উপন্যাস, জীবনী প্রকাশিত হয়েছে। ‘প্রবাল- ১১’, ‘সাইকোপ্যাথিস্ট’, “লিমোনাস’, ‘ইকুয়িনা’ তার জনপ্রিয় লেখাগুলোর অন্যতম । বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল টেকনোলজিতে সহকারী অধ্যাপক হিসাবে কর্মরত আছেন ।