“কংক্রিটের অরণ্যে স্রোতস্বিনী নদী” বই এর ফ্ল্যাপ: বইটিকে ঠিক ভ্রমণসাহিত্য বলা চলে না। ধরন ও বলার। দিক থেকে বইটির লেখাগুলো অন্যরকম। তবে পাঠক কখনো খুঁজে পাবেন ভ্রমণসাহিত্যের উপাত্ত। কখনো মনে হবে লেখক কোনো একটি জায়গা কিংবা কারো সাথে ব্যক্তিগতভাবে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন। প্রকৃতিবন্দনা বইটির মূল উপজীব্য। সেইসাথে রয়েছে তথ্য। অজানা নানা দিক লেখায় উঠে এসেছে অন্য মহিমায়। অনেকের কাছে জানা হলেও, আনন্দ-উপকরণ পাবেন তারাও। এসেছে উৎসব, আনন্দ-আয়োজন আর জীবনযাত্রার সরল বর্ণনা। গল্পের সঙ্গে কবিতার ঢঙ রয়েছে বর্ণনায়। লেখকের বলার ধরনই হয়তো পাঠককে টেনে নিয়ে যাবে বইটির ভেতরে।
ভূমিকা: কংক্রিটের অরণ্যে স্রোতস্বিনী নদী এই নামটি যখন ভেবেছি, এর মধ্যে অপূর্ব একটি কবিতার উপকরণ দেখতে পেয়েছি। এই লাইনটি আমেরিকার জন্যে খুবই প্রযোজ্য। দেশটির অপূর্ব রূপ-ঐশ্বর্যই যেন ফুটে উঠেছে কথাটিতে। মূলত নিউইয়র্ক শহরটির কথা চিন্তা করেই নামটি মাথায় এসেছে। এদেশের যে শহরেই আপনি যাবেন, দেখতে পাবেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কাকে বলে! পাহাড়, নদী, সমুদ্র আর বনাঞ্চল; সবকিছুই ছবির মতো সাজানো। আকাশটাও যেন অদ্ভুত সুন্দর। আর বড় শহরগুলোয় রয়েছে সারি সারি সুউচ্চ দালান। সেই দালানগুলোকেই আমি বলছি, কংক্রিটের অরণ্য। কেননা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে থাকা ভবনগুলোকে দেখতেও ভালো লাগে, মন । ছুঁয়ে যায়। সেই কংক্রিটের অরণ্যেও নদী আছে। বাধাহীন অবিরাম বয়ে চলেছে স্রোতস্বিনী সেই নদীগুলো। টলটলে স্বচ্ছ তার পানি। কোথাও নদীকে মেরে ফেলার কোনো প্রচেষ্টা নেই। প্রতীকী অর্থে এই একটি নামেই আমার পুরো বইটির মর্মার্থ লুকিয়ে রয়েছে। বইটিতে আমি আমেরিকার সৌন্দর্যকে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। তাতে বেশিরভাগটা জুড়েই প্রাধান্য পেয়েছে প্রকৃতি। বিশেষ করে আমেরিকার । বৈচিত্রময় ঋতু-পরিবর্তন ও চোখের সামনে সবকিছু বদলে যাওয়া সুস্পষ্টভাবে। ধরা পড়ে। সে-অনুযায়ী মানুষের জীবনযাত্রাও বদলে যায়। সেইসাথে চলতে থাকে নানাধরনের উৎসব-আয়োজন। আমেরিকার প্রকৃতিকে আমি ভীষণভাবে ভালোবেসে ফেলেছি। ভালোবেসে ফেলেছি দেশটাকেও। একের-পর-এক অনুভূতির সাজাননা বিস্তারই হচ্ছে আমার এই বইটি লেখাগুলো মূলত দেশের অন্যতম অনলাইন পোর্টাল বিডিনিউজ টোয়েন্টি ফোর ডটকমে প্রকাশিত হয়েছে। কিছু কিছু প্রকাশিত হয়েছে দেশের জনপ্রিয় সাহিত্যপত্রিকা ‘শব্দঘর’সহ বিভিন্ন পত্রিকায়। যারা বইটি প্রকাশের ক্ষেত্রে উৎসাহ দিয়েছেন, সহযোগিতা করেছেন; তাঁদের সবার প্রতি রইল অশেষ কৃতজ্ঞতা।
সূচিপত্র: কংক্রিটের অরণ্যে স্রোতস্বিনী নদী-১১ অযান্ত্রিক গ্রাম : অ্যামিশ ভিলেজ-১৬ হোয়াইট হাউজের উপরে উজ্জ্বল আলো-২১ আকাশছোঁয়া দালান-২৬ ঝরাপাতার দিন-৩১ প্রিয় গন্তব্য সেন্ট্রাল পার্ক-৩৫ ভূত হয়ে ভূত-তাড়ানোর উৎসব-৪০ ধন্যবাদ দেওয়ার দিন-৪৫ রকফেলার সেন্টারের ক্রিসমাস ট্রি’-৫১ সাদা, সাদা, আরও সাদা-৫৬ বর্ষবরণে শত বছরের ঐতিহ্য-৬১ সবার জন্যে ভালোবাসা-৬৫ মোমের দুনিয়ায়-৬৯ ক্যাপ্টেন টিলি পার্ক : প্রকৃতি প্রতিবেশী-৭৬ আপেল রাজ্যে একদিন-৮০ আস্থার নাম স্ট্যাচু অব লিবার্টি-৮৬ বিশ্বমঞ্চে ইয়োগা, ইয়োগার বিশ্বায়ন-৯১ পাহাড় থেকে সমুদ্রে-৯৫ নিউইয়র্কের ল্যান্ডমার্ক পাবলিক লাইব্রেরি-১০০ আমেরিকার শীত-উৎসব-১০৬