“শিক্ষা স্বপ্ন ক্যারিয়ার" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ শিক্ষা কীভাবে মানুষকে স্বপ্ন দেখতে শেখায় এবং ক্রমেই তা ক্যারিয়ারের দিকে ধাবিত করে-বইটি তার তথ্যবহুল ও সাবলীল উপস্থাপনা । এই বইয়ে যেমন রয়েছে চারপাশের মানুষগুলাের ঈর্ষণীয় সাফল্যের দৃষ্টান্ত,। ঠিক তেমনিভাবে স্বপ্নকে লালন করতে গিয়ে অসংখ্য মানুষের হোঁচট খাওয়া এবং ঘুরে দাঁড়ানাের গল্প । যারা পাণ্ডুলিপি পড়েছেন তাঁদের অভিমত হলাে—পড়া শুরু করার পরে শেষ না-হওয়া পর্যন্ত বইটা হাত থেকে রাখা বেশ কঠিন কাজ ছিল। বইটি মূলত তিনভাগে বিভক্ত । প্রথম ভাগে আমাদের (বিশেষত উচ্চ) খিজর বাস্তবতা, মা-বাবা ও শিক্ষার্থীর চাওয়ায় গ্যাপ, তরুণদের স্বপ্নের সাথে বাস্তবতার নির্মম পরিহাস, কর্ম ও শিক্ষার চাহিদা-যােগানে গরমিল, এ-বিষয়ক বিশেষ ট্রেন্ডসমূহ ইত্যাদির চিত্র ফুটে উঠেছে। মধ্যভাগের লেখাগুলােতে তুলে ধরা হয়েছে—শিক্ষার্থীরা নিজেদের ভুল কিংবা পারিপার্শ্বিক অবস্থায় কীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, জীবনের সােনালি সময় কেমন করে হেলায় হারিয়ে যাচ্ছে। শেষভাগে বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে তরুণ শিক্ষার্থী, চাকুরিপ্রার্থী ও নীতিনির্ধারকদের জন্য সুস্পষ্ট কিছু প্রস্তাব ও গাইডলাইন সুপারিশ করা হয়েছে। বিদ্যমান বাস্তবতা যদি প্রতিকূল হয়, হতাশাগ্রস্ত করে তােলে; আপনাকে দিয়ে কিছুই হবে না—সার্বিক পরিস্থিতি এমনটা ভাবতে বাধ্য করে-তবে বইটির যেকোনাে পৃষ্ঠা পড়তে শুরু করুন । আমার বিশ্বাস তা শুধু ক্ষণিকের জন্য হতাশা ভুলে থাকতেই সাহায্য করবে। বরং সারাজীবন কাজে লাগার মতাে একটা কিছু মিলে যেতেও পারে।
পড়তে ভালোবাসেন। দেশ-বিদেশের বইতো বটেই...পরিত্যক্ত ঠোঙ্গা, পুরনো সংবাদপত্র, ব্যবহৃত পণ্যের প্যাকেট, এমনকি পরীক্ষার খাতা সবই পড়েন নিবিষ্ট মনে। তবে কখনো সেগুলো মনে রাখতে চেষ্টা করেন না। ফলে পড়াটা হয়ে উঠে দারুণ উপভোগ্য। মেলে বহুবিধ চিন্তার খোরাক। ছাত্রজীবনে বক্তৃতা ও রচনা প্রতিযোগিতায় ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রতিফলন দেখা যায় বিভিন্ন লেখায় ও পাবলিক লেকচারে। বাই চয়েস শিক্ষকতা পেশায় আসা এই মানুষটি ভালোবাসেন নতুন নতুন বিষয়ে জানতে ও অন্যদের সাথে শেয়ার করতে। তাঁর যে কোন লেখা পড়তে থাকলে মনে হয় যেন ক্লাসে বসে লেকচার শুনছি। অর্থাৎ স্বকীয় বাচনভঙ্গীকে তিনি অতি দক্ষতায় লেখনীর মাধ্যমে সাবলীলভাবে প্রকাশ করেন-- যা সচরাচর দেখা যায় না।