"অস্পৃশ্যতা" বইটিতে লেখা শেষের কথা: সিলিঙের সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া গেল একটি লাশ। সবাই আত্নহত্যা বলে চালিয়ে দিতে চাইলেও মানতে রাজি নয় তরুণ সাব-ইন্সপেক্টর ফাইয়াজ। তদন্তে বেরিয়ে এল বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য। আট বছর আগের এক খুনের সাথে যােগসূত্র খুঁজে পেল সে, কিন্তু আড়াল থেকে কেউ একজন নাটাইয়ের সুতাে টেনে ধরেছে। অবসরপ্রাপ্ত হােমিসাইড ডিটেক্টিভ ফারুক আবদুল্লাহর দিন কেটে যাচ্ছিল কোনােমতে কিন্তু যেদিন সাব-ইন্সপেক্টর ফাইয়াজ তার দরজায় কড়া নাড়ল সেদিন থেকে অপরাধবােধ কুঁড়েকুড়ে খেতে শুরু করলাে তাকে। বৃদ্ধ বয়সে আবার নতুন করে নামল আট বছর আগের একটি অমীমাংসিত কেস সমাধানে। কিন্তু সবকিছু যেন একটা লুপের ভেতরে পড়ে গেছে। কোনাে উত্তর মিলছে না। আবির আহমেদ, রিয়ান খান, লাবনী শারমিন, ফারজানা আলম-সবাইকে একই চক্রে নিয়ে এসেছে আট বছর আগের সেই খুনটি, যেখানে এদের যেকোন একজন ছাড়া চক্রটি অসম্পূর্ণ। সবার কাছে এ যেন এক অস্পৃশ্যতা...যা শুধু অনুভব করা যায় কিন্তু ধরা যায়। কিভাবে শেষ হবে এই চক্র? তরুণ বয়সে যা পারেননি বৃদ্ধ বয়সে কি তা পারবেন প্রাক্তন হােমিসাইড ডিটেক্টিভ ফারুক আবদুল্লাহ? অস্পৃশ্যতা অসাধারণ একটি গল্প...পাঠ শেষে পাঠকও বলতে বাধ্য হবেন।
শিক্ষা ও সাহিত্যের প্রতি প্রকৃত অনুরাগ এবং বিশ্লেষণাত্মক চিন্তাধারার প্রতি যার প্রবল ঝোঁক। জন্ম ১৯৮০ সালের ২রা নভেম্বর; চাঁদপুর জেলার বৃহত্তর মতলব উপজেলায়। মা বেগম রোকেয়া আক্তার এবং বাবা আশেক উল্লাহ প্রধান। পড়ালেখা করেছেন, মতলব সূর্যমুখী কচি-কাঁচা প্রাথমিক বিদ্যালয়, মতলব জে.বি. সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়, মতলব সরকারি ডিগ্রি কলেজ, চাঁদপুর সরকারি কলেজ, ঢাকা তেজগাঁও কলেজ, কুমিল্লা সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ এবং চট্টগ্রাম সরকারি টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে। তার পড়ালেখার ক্ষেত্র বৈচিত্র্যময়; রসায়ন, ইংরেজি সাহিত্য, শিক্ষণবিজ্ঞান, শিক্ষা প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা। কিছুকাল উদ্ভিদবিজ্ঞান, আইন, বাংলা সাহিত্যও পড়েছেন। তিনি মাধ্যমিক শিক্ষাক্রম, কথাসাহিত্য রচনা, পাণ্ডুলিপি সম্পাদনা, সাংবাদিকতা, রিসার্চ মেথডলোজি বিষয়ে কোর্স ও প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। শিক্ষকতা করেছেন প্রায় এক যুগ—একটি ইংরেজি ভার্শন উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। সেখান থেকে উপাধ্যক্ষ হিসেবে শিক্ষকতার ইতি টানেন। তিনি নন-ফিকশনের পাশাপাশি ফিকশনেও সমান স্বচ্ছন্দ। বাংলা ও ইংরেজি জাতীয় দৈনিকের সাহিত্য পাতায় নিয়মিত তার গল্প, বুক রিভিউ, অনুবাদ প্রকাশিত হয়। বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অফ এডুকেশন থেকে এমফিল থিসিস করছেন। বৃশ্চিক রাশির জাতক এই লেখক পরিবার ও বন্ধু-পরিসরে ‘রাসেল’ নামে সমধিক পরিচিত। তিনি স্ত্রী তাহমিনা আক্তার ও দুই কন্যা প্রান্তি, প্রার্থনাকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করেন।