অনেক হয়েছে। আজকে আর না। শরীরটা ভালো লাগছে না শান্ত'র। জ্বর জ্বর ভাব। আগের রাতে ঘুমটা ভালো হয়নি। সিদ্ধান্ত নিয়ে নিল বাসায় গিয়ে একটা ঘুম দিবে। ঘুমালেই শরীরটা ঝরঝরে হয়ে যাবে। সকাল থেকেই বিভিন্ন হাসপাতাল, ডাক্তারের চেম্বার, ফার্মেসি ঘুরে তারপর গ্রিনরোডে। প্রায় প্রতিদিন এই এলাকায় একবার আসতে হয়। আসতে হয় পেশাগত কারণেই। বেশ কয়েকটি হাসপাতাল-ক্লিনিক রয়েছে এখানে। ফার্মেসিও রয়েছে অনেকগুলো। বাসার দিকে রওয়ানা দেয় শান্ত। বাসা বলতে পুরান ঢাকার ইসলামপুরে একটা দোতলা বাড়ির চিলেকোঠার ঘর। জীর্ণ পুরোনো এই দালানটা জুড়ে একটা স্যাঁতস্যাঁতে ভাব। শেষ কবে রং করা হয়েছিল, বাড়ির মালিকও মনে হয় সেটি বলতে পারবে না। দালানটিতে দশ ইঞ্চি ইটের গাঁথুনির দেয়াল। কোথাও কোথাও পলেস্তরা উঠে ভেংচি কাটছে ইটগুলো। কোথাও কোথাও গাছের শিকড়ও গজিয়েছে ইটের ফাঁক-ফোকর গলে। জানালার মোটা কাঠের ফ্রেমে ঘুণে ধরেছে। জানালায় মোটা মোটা শিকের গরাদ। কাঠের কড়ি-বরগাগুলো সবল আছে বলে এখনো টিকে আছে বাড়িটা। সিঁড়িটা একদম খাড়া এবং অপ্রশস্ত। দু'জন মানুষের পক্ষে পাশাপাশি উঠা কষ্টকর। সব সময় একটা অন্ধকার অন্ধকার ভাব। এর ভিতরে ঢকে দিনের আলোবও