"কালিমার গোপন রহস্য ইমানের পরিচয়" বইয়ের সংক্ষিপ্ত কথা: ইসলামের পাঁচটি মূল ভিত্তির প্রথমটি হল কালিমা। কালিমার সাথে ইমান এবং ইমানের সাথে আক্বিদার সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর। কালিমা প্রধানত চারটি। প্রথম কালিমাটি শরিয়তে মুসলমানের পরিচয়জ্ঞাপক অর্থে ব্যবহৃত হলেও এটির তাৎপর্য ও গুরুত্ব অপরিসীম।br> চার কালিমার প্রতিটি শব্দ ও বাক্যের গভীর ও রহস্যপূর্ণ ব্যাখ্যা রয়েছে। যা অত্যন্ত গোপনীয় হলেও তরিকতপন্থী প্রত্যেক আশেক-সালেক তথা প্রেমিক সম্প্রদায়ের জানা আবশ্যক। তাছাড়া সকল মুসলমানের জন্যও কালিমার হাকিকত, তাৎপর্য ও রহস্যপূর্ণ জ্ঞানের পরিচয় জানার নির্দেশ পবিত্র কুরআন ও হাদিসে বর্নিত হয়েছে।br> তাই প্রত্যেক মুসলমানের কালিমার গোপন রহস্য ও ইমানের পরিচয় জানার ভেতরই আল্লাহর নৈকট্য ও রাসুল (সা.)-এর সন্তুষ্টি অর্জনের সূত্র বর্ণিত হয়েছে। মুসলিম জীবনে ইমানের ঘোষণায় যাকে পঞ্চম কালিমা বা আদি কালিমা বলা হয় সেই ইমানে মুজমাল ও মুফাচ্ছালসহ প্রথম নবী আদম (আ.) থেকে শুরু করে শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) অর্থাৎ সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যাবতীয় গোপন রহস্য এই কালিমাদ্বয়ের ভেতর সন্নিবেশিত আছে। আদি কালিমা থেকে সর্বশেষ কালিমা পর্যন্ত প্রত্যেকটির ভিন্ন ভিন্ন অর্থ ও গভীর তাৎপর্য বক্ষ্যমাণ গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। প্রত্যেক কালিমার দু ধরনের নির্দেশ রয়েছে। একটি শরিয়তি এবং অপরটি মারিফতি। যা অনেকেরই অজানা। এসব কালিমার ভেতরে ব্যবহৃত শব্দ ও বাক্যের আলাদা তত্ত্ব ও রহস্য জ্ঞানের সন্ধান আল্লাহর নৈকট্যপ্রত্যাশী আশেক প্রেমিকদের আত্মার খোরাক যোগাতে সক্ষম হবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
সৈয়দ মোস্তাক আহ্মাদের জন্ম ১৯৮২ সালের ১ জানুয়ারি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার রহমতপুর গ্রামে। তার পিতা মাওলানা মুহাম্মদ তমিজ উদ্দীন (র.) ছিলেন একজন পীর ও আধ্যাত্মিক পুরুষ। তার মাতা মনোয়ারা বেগমও ছিলেন সম্ভ্রান্ত পরিবার থেকে আগত। এরকম সম্ভ্রান্ত পরিবারের সন্তান মোস্তাক আহ্মাদ এর ভাগ্য যেন নির্ধারিতই ছিল যে তিনি বড় হয়ে ধর্ম ও সুফি দর্শন নিয়ে লিখবেন। পারিবারিক ঐতিহ্যের কল্যাণে শৈশব থেকে তার ধর্মীয় শিক্ষার ভিত মজবুত হয়। পাশাপাশি সুফি দর্শন, মরমী দর্শন, আধ্যাত্মিকতা ইত্যাদি বিষয়েও পারিবারিকভাবে শিক্ষা লাভ করেন। তাই তো মোস্তাক আহ্মাদ এর বই সমূহ আধ্যাত্মিকতা ও দর্শন থেকে শুরু করে ধর্মীয় ইতিহাস, অনুশাসন, আত্মোন্নয়ন, মানবজীবন ও দর্শন ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান ও অনুপ্রেরণার অফুরন্ত উৎস। মোস্তাক আহমাদ একজন দক্ষ মোটিভেটর। মেডিটেশন ও নানাবিধ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন এবং ব্যক্তিগত উন্নয়ন সাধন করতে সক্ষম। বর্তমানে ‘ড্রিমওয়ে ইলেকট্রনিক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিঃ’ এর ড্রিমওয়ে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তথা সিইও হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি। মানবোন্নয়ন, ব্যক্তিক উৎকর্ষ সাধন, সুফি ও মরমী দর্শন নিয়ে দেড় শতাধিক পাঠকপ্রিয় বই লিখেছেন তিনি। মোস্তাক আহমাদ এর বই সমগ্র ব্যক্তিজীবনে সমৃদ্ধি ও সাফল্যের চূড়ায় আরোহণের প্রেরণা দেয়, ব্যক্তিমনের সুপ্ত প্রতিভা বিকাশের পথ দেখায়, সাফল্যের আকাঙ্ক্ষা ও ক্ষুধা জাগ্রত করে। ‘দ্য ম্যাজিক অব থিংকিং বিগ’, ‘বুদ্ধি ও বিনিয়োগ শেয়ার ব্যবসায় সেরা সাফল্য’, ‘মেধা বিকাশের সহজ উপায়’, ‘ইতিবাচক চিন্তার শক্তি’, ‘বিজনেস স্কুল’, ‘মাওলানা রুমীর আত্মদর্শন’, ‘লালন সমগ্র’, ‘টাকা ধরার কৌশল’, ‘দিওয়ান-ই-হাফিজ’, ‘দিওয়ান-ই-শামস তাবরিজ’, ‘আত্মোন্নয়ন ও মেডিটেশন’ ইত্যাদি তার কিছু জনপ্রিয় বই।