"দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সী" বইটির সম্পর্কে কিছু কথা: আর্নেষ্ট হেমিংওয়ে এখানে অবিনাশী মানবসত্তার কথা বলেছেন। মানুষ ধ্বংশ হয়ে যেতে পারে কিন্তু হারতে পারে না কিছুতেই। হয়ত এটি মানুষের চিরন্তন অভিপ্রায়। যে কারণে মানুষই পরিবর্তন করেছে এ পৃথিবীকে। মানব সভ্যতার শুরু থেকেই লড়াই করে চলেছে মানুষ জলে স্থলে অন্তরীক্ষে। কখনাে সে জিতেছে কখনাে ধ্বংশ হয়ে গেছে। কিন্তু পরাভব সে কখনাে মানতে চায়নি। সেই চিরকালের সংগ্রামী মানুষের মরণপণ লড়াইয়ের কথাই তিনি বলেছেন তাঁর কালজয়ী উপন্যাস ‘দ্য ওল্ড ম্যান অ্যান্ড দ্য সী' উপন্যাসে। কাহিনী কিউবার। বৃদ্ধ জেলে সান্টিয়াগাে ক্যারিবিয়ান সাগরে মাছ ধরে জীবন ধারণ করে। পৃথিবীতে তার বিশেষ কোন আপনজন নেই। তার স্ত্রী বিগত এবং তিনি নিঃসন্তান। পাঁচ বছর বয়স থেকে প্রতিবেশী ছেলেটি মাছ ধরায় তার সহযাত্রী ছিল তাকেও তার বাবা সরিয়ে নিয়ে গেছে সম্প্রতি। না নিয়েও দরিদ্র মানুষদের উপায় কি? টানা চল্লিশ দিন সান্টিয়াগাের জালে কোন মাছ ধরা দেয়নি। তাই এবার সান্টিয়াগাের নিঃসঙ্গ সমুদ্রযাত্রা। একে একে কেটে গেল চুরাশি দিন। রােদে পােড়া সান্টিয়াগাের মুখে অসংখ্য বলিরেখা। হাতে অনেক পুরনাে ক্ষতচিহ্ন। শুধু চোখ দুটো ধারণ করে আছে সমুদ্রের নীল। অত্যন্ত উজ্জ্বল অপরাজিত তার চোখ। তার হাতে কোন অর্থ নেই তব সে প্রতিদিন অনেক আশা নিয়ে গভীর থেকে গভীরতর সাগরে পুরনাে নৌকাটা নিয়ে পড়ে থাকে। সন্ধে বেলা ফিরে আসে শূন্য হাতে। মাছধরা শেষে ঘাটে অপেক্ষা করে সেই ছেলেটি যে শিশুকাল থেকে তার সঙ্গে ছিল। সান্টিয়াগাের অবস্থা জানে সে। কোন সহানুভূতির বাক্য উচ্চারণ করে না। অতি সন্তর্পণে এক চিমটি বিয়ারের আমন্ত্রণ জানায়। তারপর প্রগাঢ় মমতায় সে সান্টিয়াগােকে তার ঘরে ফিরিয়ে আনে। ছেলেটির খুব ইচ্ছে সান্টিয়াগাের সাথে কাজ করার। সে ইচ্ছে তিনি প্রকাশও করে। যদিও সান্টিয়াগাে সমুদ্রে সারাক্ষণই ওর কথা ভাবে তবু তার কথায় রাজি হতে পারে না। পিতৃ আদেশ অমান্য করা ঠিক নয়। সে তাে মাছ পায় না, অন্য নৌকায় গেলে মাছ পাওয়া যায়। পরম মমতায় ছেলেটি বুড়াে সান্টিয়াগােকে ঘরে নিয়ে আসে। ঘরটির অবস্থা ভালাে নয়। গুয়ানাে তালগাছের শক্তখােসা দিয়ে তৈরি ঝুপড়িতে তার নিবাস। ঘরের বিবর্ণ দেয়াল ওয়ালাে পাতার তৈরি। দেয়ালে যিশুর ছবি মেরি মাতার ছবি ঝুলছে। এক সময় স্ত্রীর ছবিও ছিল। কষ্ট লাগে বলে স্ত্রীর ছবি সরিয়ে রেখেছে। দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করে চলছে সান্টিয়াগাে। কারাে সাহায্য নেওয়া তার পক্ষে অসম্ভব। ছেলেটি তা জানে—তাই সে রকম কাজ করতে যায় না। বুড়াে বলে রাতের খাবার আছে ঘরে। পরে খেয়ে নেবে। সারাদিনের নিস্ফল পরিশ্রমের ক্লান্তিতে বৃদ্ধ মানুষটি ঘুমিয়ে গেলে ছেলেটি বাইরে থেকে খাবার সংগ্রহ করে নিয়ে আসে। সান্টিয়াগােকে পরম মমতায় ঘুম থেকে তােলে। বুড়াে খাবার দেখে প্রশ্ন করলে বলে হােটেলওয়ালা মার্টিন খাবার দিয়েছে। এই রাতটুকু বিশ্রামের। সকালে আবার দূর সমুদ্রে নিঃসঙ্গ যাত্রা শুরু হবে বৃদ্ধ জেলের। সবদেশেই বােধহয় জেলেদের জীবনের কাহিনী একই রকম। তারা প্রশ্ন না করে জীবনের দুঃখ কষ্টকে মেনে নিয়েছে। তাদের কষ্টের ফল অন্যে ভােগ করবে এটাই বিধিলিপি।
Ernest Miller Hemingway (July 21, 1899 – July 2, 1961) was an American novelist, short story writer, and journalist. His economical and understated style had a strong influence on 20th-century fiction, while his life of adventure and his public image influenced later generations. Hemingway produced most of his work between the mid-1920s and the mid-1950s, and won the Nobel Prize in Literature in 1954. He published seven novels, six short story collections, and two non-fiction works. Additional works, including three novels, four short story collections, and three non-fiction works, were published posthumously. Many of his works are considered classics of American literature. Hemingway was raised in Oak Park, Illinois. After high school, he reported for a few months for The Kansas City Star, before leaving for the Italian front to enlist with the World War I ambulance drivers. In 1918, he was seriously wounded and returned home. His wartime experiences formed the basis for his novel A Farewell to Arms (1929).