"আমাদের পাখির রাজ্য" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ ‘আমাদের পাখির রাজ্য’ বইটি মূলত দেশের কিশাের ও নবীনদের জন্য। এতে আছে পাখি সম্পর্কে সাধারণ ধারনা, পাখির পরিযায়ন এবং দেশের স্থানীয় ও পরিযায়ী পাখিদের বিষয়ে তথ্য। বিভিন্ন দেশি-বিদেশি টিভি চ্যানেল বা ইন্টারনেটে ছাত্রছাত্রীরা যেসব তথ্য পায় তার প্রায় সবই ভিনদেশি পােখাপাখালি বিষয়ক। ফলে, দেশের শিক্ষাঙ্গনে দেশি পাখি বিষয়ক তথ্যের বেশ ঘাটতি আছে। সেদিক চিন্তা করে লেখক তার তিন যুগের বেশি সময় ধরে দেশের পাখি ও বন্যপ্রাণী বিষয়ক মাঠগবেষণা এবং তথ্যের উপর ভিত্তি করে বইটি রচনা করেছেন। বইটি ছাত্রছাত্রীদের বিশেষ পাঠসহায়ক হবে। বাংলাদেশে সচরাসচর দেখা যায় এমন প্রায় ২০০ ??? প্রজাতির পাখির উপর নানাবিধ তথ্য পরিবেশন করা হয়েছে যা অনেক স্তরের পাঠ্যসূচির আওতায় আসবে। তাতে তরুণতরুণীরা সহায়ক পুস্তক হিসেবে এ বইটিকে ব্যবহার করতে পারবেন। এটি পাখি বিষয়ক প্রাথমিক জ্ঞানার্জনেও সাহায্য করবে। বইটি প্রাঞ্জল ভাষায় রচিত। অসংখ্য ছবির সাহায্যে পাখিবিষয়ক পঠন সহজ করা হয়েছে। আর দেশের পাখির সাথে ছবির মাধ্যমেও বেশ একটি পরিচিতি ঘটবে বলে আমরা আশা করছি। আমরা মনে করি, বড়রাও অনেক তথ্য ব্যবহার করতে ও দেশি পাখি চিনতে এ বইয়ের সহযােগিতা নিতে পারবেন।
ড. রেজা খান ১৯৪৭ সালের ১লা জানুয়ারি ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলার বালিয়া আমে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা খান মোহাম্মদ জোয়াদের আলী এবং মাতা : আয়েশা খাতুন। তিনি মানিকগঞ্জ হাই স্কুল থেকে এসএসসি এবং দেবেন্দ্র কলেজ থেকে এইচএসসি পাশ করেন। বিএসসি ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিজ্ঞান বিভাগ থেকে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করে ১৯৭৩ সালে উক্ত বিভাগেই প্রভাষক পদে যোগদান করেন। পরবর্তীকালে ভারত থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন করে ১৯৭৭ সালে তিনি পুনরায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল-আইন চিড়িয়াখানায় ১৯৮৩ সালে পাখি বিশেষজ্ঞ পদে নিযুক্ত হন। বর্তমানে তিনি দুবাই সাফারি পার্কের প্রিন্সিপাল ওয়াইল্ড লাইফ স্পেশালিস্ট হিসেবে কর্মরত। তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ২০টি। তারমধ্যে ওয়াইল্ড লাইফ অব বাংলাদেশ-এ চেক লিস্ট, বাংলা একাডেমি প্রকাশিত তিন খণ্ডের বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী ও বাংলাদেশের পাখি; পাখির রাজ্য, বার্ডস অব দুবাই-এ পিকটোরিয়াল গাইড বেশ উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ। তিনি ২০১১ সালে বঙ্গবন্ধু অ্যাওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ড লাইফ কনজারভেশন, ২০১২ সালে চ্যানেল আই প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন পদক, ২০১৬ সালে স্টার লাইফ টাইম অ্যাওয়ার্ড এবং ২০২২ সালে সিটি ব্যাংক তরুপল্লব জীববৈচিত্র্য পুরস্কারে ভূষিত হন। সম্প্রতি ২০২২ সালে তাঁকে বাংলা একাডেমির সাম্মানিক ফেলোশিপ প্রদান করা হয়।