'গণিতের রঙ্গে হাসিখুশি গণিত' মাইনাস মাইনাসে হয় প্লাস, শূন্য দিয়ে ভাগ দিলে হয় অসংজ্ঞায়িত, ত্রিভুজের ক্ষেত্রফল ‘হাপিন্টুভুমিন্টুচ্চতা’ (1/2 * ভূমি * উচ্চতা), (a b)2= a2 2ab b2 গণিত করতে গিয়ে এমন আনেক কিছু আমরা শিখি, মুখস্থ করি। কিন্তু জানি কি- কেন হয়, কিভাবে হয়? বুঝি কি অন্তর থেকে? এগুলো কি Feel করা সম্ভব? এই বইটি যতটা জ্ঞানের তার খেকে বেশি আনন্দের, চিন্তার আনন্দের লেখক মনে করেন, গণিত পৃথিবীর সবচেয়ে মজার বিষয়। অনেক মানুষ এটাকে ভয় পায় কারণ মজার অংশগুলো তাদের জানানো হয় না কেমন অদ্ভুত ছিল গণিতবিদদের জীবন? আসলে কে আবিষ্কার করেছিল পিথাগোরাসের উপপাদ্য? কিভাবে মাথায় এল আইডিটা? তিন মেয়ের সমস্যাটা কী ছিল? মাথায় চুলের সংখ্যা কত? অনন্ত জলিল গণিত নিয়ে সিনেমা বানালে কী সংলাপ বলতেন? এমন মজার সব চিন্তা, সমস্যা আর গল্প নিয়েই গণিতের রঙ্গে: হাসিখুশি গণিত। সূচি গণিতের রঙ্গে : পর্ব ১ আল মুকাবালা গণিতের রঙ্গে : পর্ব ২ কী নিষ্ঠুর গণিতের রঙ্গে : পর্ব ৩ হায়রে শূন্য গণিতের রঙ্গে : পর্ব ৪ ৩টি মেয়ে গণিতের রঙ্গে : পর্ব ৫ মাথায় চুল কয়টি গণিতের রঙ্গে : পর্ব ৬ মিস্টার বাটা গণিতের রঙ্গে : পর্ব ৭ প্রিয় পাই গণিতের রঙ্গে : পর্ব ৮ অসীম ও কুমড়া গণিতের রঙ্গে : পর্ব ৯ ডিজে পিথাগোরাস গণিতের রঙ্গে : পর্ব সাড়ে নয় তেমন কিছু গণিতের রঙ্গে : পর্ব ১০ নিঃস্বার্থ গণিত - What is Math
'অঙ্ক ভাইয়া' টেনশন টিনা, যে তুচ্ছ কারণে দুশ্চিন্তা করতে করতে হতাশায় ডুবে যায়, বিটলা বান্টি, দুষ্টুমির আড়ালে যার প্রশ্নগুলো চিন্তার খোরাক জোগায়, তুখোড় তন্বী, যে পারদর্শী নানামুখী দক্ষতায়, আর অবাক পৃথ্বী, জগতের সবকিছুতে যে বিস্ময় খুঁজে পায় -ওরা সবাই আজ অসহায় নজিবুল্লাহ মাস্টারের দাপটে। ওদের মনে গণিত নিয়ে হাজারো প্রশ্ন, উত্তর মেলে না কিছুতেই! ওরা তখন আশ্রয় খোঁজে অংক ভাইয়ার কাছে।
কোত্থেকে এলো, কোথায় কাজে লাগে, এটা এমন কেন, অমন নয় কেন, এটা শিখে কী হয়, ওটার মূল ঘটনাটা কী- এমনসব প্রশ্নের উত্তর ‘অংক ভাইয়া’ দিয়ে যান পরম মমতায়।
বাংলাদেশের আয়তন নাকি ক্ষেত্রফল, পেঁয়াজকুচি পদ্ধতিতে গোলকের আয়তন, পিথাগোরাস দিয়ে আইনস্টাইন, ফাংশনের বৃত্তান্ত, পৃথিবীর সুন্দরতম সমীকরণ, ঋনাত্মক সংখ্যার লসাগু-গসাগু, গিটারের গণিত, হাতে কলমে ঘনমূল, সাইন কসের নামরহস্য, লগ এর ভিতরের কথা, অসমতার চিহ্ন – এমন চিন্তাগুলো যদি আপনার মনে কৌতূহল জাগায়, এই বইটি আপনার জন্য!
১৯৮২ সালের ৭ নভেম্বর ময়মনসিংহে জন্ম নেওয়া তামিম শাহরিয়ার সুবিন পেশায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় হোমনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। অতঃপর এ কে উচ্চ বিদ্যালয় ও নটরডেম কলেজে পড়া শেষে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনে শেষ করেন। সরকারি কর্মকর্তার ঘরে জন্ম নেওয়া সুবিনের প্রধান আকর্ষণ প্রোগ্রামিংকে ঘিরে। তিনি প্রোগ্রামিং বিষয়ক প্রায় পাঁচশোটি সমস্যা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকাকালে সমাধান করেছেন। নানা ভাষায় কোডিং করতে পারলেও তার পছন্দের প্রোগ্রামিং ভাষা পাইথন। তবে তার শখ লেখালিখি এবং ভ্রমণ। শখ এবং আগ্রহের বস্তুকে এক বিন্দুতে মিলিয়ে সুবিন লিখে ফেলেছেন বেশ কয়েকটি বই। তামিম শাহরিয়ার সুবিন এর বই সমূহ’র বিষয়বস্তু হলো কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, যার বেশিরভাগ বাংলা ভাষায় লিখিত। কীভাবে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কম্পিউটার প্রোগ্রামিং বিষয়ে জড়তা দূর করা যায় সে ভাবনা থেকেই তিনি বাংলায় প্রোগ্রামিং বিষয়ক বই লেখা শুরু করেন। সহজ, সাবলীল ভাষায় লেখা বলে তামিম শাহরিয়ার সুবিন এর বই পাঠকের আত্মস্থ করতে বেগ পেতে হয় না। তামীম শাহরিয়ার সুবিন এর বই সমগ্র এর মাঝে তাই দেখতে পাওয়া যায় প্রোগ্রামিং গাইডলাইন, পাইথন দিয়ে প্রোগ্রামিং ও গণিতের মতো খটমটে বিষয়ের উপস্থিতি। তিনি বাংলাদেশে থাকাকালে মুক্ত সফটওয়্যার লিমিটেড ও দ্বিমিক কম্পিউটিং নামক দুটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াডের একজন একাডেমিক কাউন্সিলর হিসেবেও নিয়োজিত রয়েছেন। বর্তমানে তিনি সপরিবারে সিঙ্গাপুরে বসবাস করছেন।