প্রাচীন গ্রিসের অন্যতম কবি ‘সাফো’।ছাব্বিশ শত বছর আগে তিনি লেসবো দ্বীপের বাসিন্দা ছিলেন।লেসবো সেদিনের বিশ্বে জ্ঞান,বিজ্ঞান,শিল্প ও সাহিত্য চর্চার তুঙ্গে ছিল।লেসবোর শিল্পকর্ম,মদ ও অন্যান্য পণ্য ‘লেসবিয়ান সামগ্রী’ নামে গ্রিসের সর্বত্র সমাদৃত ছিল।এই খ্যাতির সঙ্গে সাফোর কাব্যপ্রতিভা যুক্ত হয়ে লেসবো দ্বীপ মর্যদার শীর্ষে আরোহণ করেছিল।প্লেটো বলেছিলেন,জগতের সেরা কবির সংখ্যা ‘নয়’ বলা ঠিক নয়,কারণ দশম জন সাফো।সাফো উদ্ভাবিত সরল ও হ্রস্ব কবিতার স্তবক অনেক কবি অনুকরণ করেছেন ।সেসব কবিতাকে ‘সাফো-স্তবক’।কবি হিসেবে সাফোর প্রভাব হাজার বছর পরেও স্লান হয়নি।উনিশ শতকের শক্তিমান কবি বায়রন,শেলি ও টেনিসন তার কবিতা অনুবাদ করেছেন।অনেকেই বলেন,সাফো ছিলেন সে কালের সেরা নারী কবি।গ্রিসের প্রাগ্রসর দ্বীপ আর কবি সাফোর আর কবি সাফোর উজ্জ্বল সেই দিন নিয়ে বায়রন কবিতাও লিখেছেন। সাফো নিঃসন্দেহে সুন্দরী ছিলেন।তার সৌন্দর্য মােহনীয় দিক নিয়ে সমসাময়িক কবি ‘আলসাউজ’ লিখেছেন,বেগুনি চুল,নির্মল চেহারা ও মধুর হাসি।নিজের সৌন্দর্য যা-ই থাক,সাফো ছিলেন সৌন্দে র্যের পূজারি।সুদর্শন পুরুষ ও নারী উভয়ের প্রতি সাফো গভীর প্রেমই তার কাব্যের মূল উপজীব্য।লেসবো রাজ্যের বর্ষপূর্তি উৎসবে নারী সঙ্গীদের নিয়ে সাফো গান পরিবেশন করতেন।সে পরিবেশনাকে আলসাউজ তার কাব্যে ‘স্বর্গীয়’ বলে মহিমিান্বিত করেছেন্
মুম রহমান। পুরাে নাম মুহম্মদ মজিবুর রহমান। জন্ম ২৭ মার্চ, ১৯৭১ সাল। বাবা : মাে. মুসলেহ উদ্দিন। মা : তাহেরুন্নেসা। দেশে এবং দেশের বাইরে উল্লেখযােগ্য পত্র-পত্রিকায় অসংখ্য গল্প-উপন্যাস-নাটক-প্রবন্ধ-অনুবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি ব্যস্ত টিভি নাটক আর বিজ্ঞাপনের স্ক্রিপ্ট নিয়ে। প্রথম রচিত ও অভিনীত টিভি নাটক এক চিলতে আকাশ ১৯৮৮ সালে বিটিভিতে প্রচারিত । কাজ করেছেন মঞ্চ ও বেতারে। নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগ থেকে নাট্য রচনায় এমএ । পত্র-পত্রিকা ও বিজ্ঞাপনী সংস্থায়ও কর্মরত ছিলেন । বর্তমানে ইংরেজি মাধ্যমের এক স্কুলে নাট্যশিক্ষক হিসাবে কর্মরত। সাকিরা পারভীনকে নিয়ে তৈরি করেছেন আর্ট জোন নামের সংস্থা; যেখানে নাট্যরচনা, আবৃত্তি, বনসাই তৈরির মতাে বিষয়ে ভিন্ন ধারার প্রশিক্ষণ কোর্স পরিচালনা করেন তিনি।