হিমেলকে রেবু জড়িয়ে আছে। রেবুর বুকের প্রতিটি স্পন্দনের নিশ্বাস হিমেল অনুভব করছে নিভৃতে। যেন সেই স্পন্দন কম্পিত ঝংকার তুলে বলছে- এই হিমেল! তুমি আমায় আরও শক্ত করে জড়িয়ে ধর। এ বাঁধন ছেড়ে দিয়াে না। তােমাকে ছাড়া আমি বাঁচব না। আমার ইচ্ছে করে সারাক্ষণ তােমায় এ বুকে আগলে রাখতে। একটার পর একটা চুমু খেতে। আদর করতে। উন্মাদের মতাে ভালােবাসতে। কেন জানি পারি না। এ সংকোচ বড় যে লজ্জার । হিমেল এবার তার কাঁধ থেকে রেবুর মাথাটা তােলে। রেবুর মুখচ্ছবির দিকে না তাকিয়েইমনের ভেতরের লালিত্য স্পৃহায় একটি চুমু। বসিয়ে দিল তার মসৃণ ললাটে। তারপর দেখল শেষ দেখার মতাে আরেকবার রেবুকে।। পর্যবেক্ষণের প্রথমেই হিমেলের চোখে পড়ল। রেবুর টলমল অশ্রুসিক্ত চোখ আর কম্পিত ঠোট। এবার রেবুর অপরূপ মুখশ্রীর দিকে তাকিয়ে- হিমেল রিক্তের আবেগকে বেঁধে রাখতে পারল না। মুখ ফসকে বেরিয়ে পড়ে। মধুর একটি কথা- রেবু তুমি অপূর্ব সুন্দর! যে সুন্দরের কোনও তুলনাই হয় না! অতুলনীয়! | আজ তােমাকে আরও বেশি সুন্দর লাগছে। পূর্ণেন্দুর আলাের ন্যায় বিভা ছড়াচ্ছে তােমার রূপ। জানি না আজ কেন তােমাকে এতাে সুন্দর লাগছে। কসম! বিশ্বাস কর, সত্যি বলছি।
জন্ম: পার্বত্য অঞ্চলের রাজধানী রাঙামাটি জেলার চন্দ্রঘােনা থানার রাইখালী রিফিউজি পাড়া গ্রামে সাইমন নজরুলের জন্ম ০২ জানুয়ারি, ১৯৭৯। পাহাড়-নদী-ঝর্ণা আর চিরহরিৎ সবুজের আলাে বাতাসে বেড়ে উঠেছেন তিনি। সেই হিরন্ময় গ্রামে জড়িয়ে আছে তার শৈশব ও কৈশােরের অজস্র স্মৃতি। তার পিতা মােহাম্মদ নুরুল আলম ও মাতা আকতার বেগম। চার ভাইবােনের মধ্যে পিতামাতার জ্যেষ্ঠ সন্তান তিনি। লেখালেখি: দু’যুগেরও বেশি সময় ধরে লিখে যাচ্ছেন জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সাহিত্য সাময়িকী ও বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিন-এ। প্রথম বই প্রকাশিত হয় ২০০১ সালে । জীবন সদস্য: চট্টগ্রাম একাডেমি গীতিকার: বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশন। পেশা: মার্চেন্ডাইজার। নেশা: ঘুরে বেড়ানাে আর অবসরে ঘুমানাে। পুরস্কার : দৈনিক বীর চট্টগ্রাম মঞ্চ ‘লেখক সম্মাননা ২০১১।