মানুষের জীবনের প্রতিটি অংশ নিয়ে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কথা বলেছেন। ছোট বা বড় কোনো বিষয়ই বাদ দেওয়া হয়নি। প্রভুর সাথে মানুষের সম্পর্ক কী হবে, নিজের সাথে সম্পর্ক কী হবে, চারপাশের মানুষের সাথে সম্পর্ক কেমন হতে হবে―সব বিষয় কুরআন ও হাদিসে বিস্তারিতভাবে উঠে এসেছে। সংক্ষেপে বলতে গেলে, ইসলাম মানুষের আদর্শ ব্যক্তিজীবন ও সামাজিক জীবনের পূর্ণাঙ্গ রূপরেখা তৈরি করে দিয়েছে। সুতরাং ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মুসলমানকে এমনই হতে হবে, যেমনটি ইসলাম কামনা করে। এর জন্য কুরআন ও হাদিসে যেসব উত্তম স্বভাব-চরিত্র ও গুণাবলির প্রতি উৎসাহিত করা হয়েছে, সেগুলো অবলম্বন করা বাঞ্ছনীয়। বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটিতে আমি এ বিষয় সম্পর্কিত আয়াত ও হাদিস একত্র করেছি এবং সেগুলোকে বিষয়ভিত্তিক অধ্যায়ে বিন্যস্ত করেছি। অধ্যায়গুলো হলো : ♦️ প্রভুর সাথে মুসলমানের সম্পর্ক ♦️ নিজের সাথে মুসলমানের সম্পর্ক ♦️ পিতা-মাতার সাথে মুসলমানের সম্পর্ক ♦️ স্ত্রীর সাথে মুসলমানের সম্পর্ক ♦️ সন্তানদের সাথে মুসলমানের সম্পর্ক ♦️ আত্মীয়-স্বজনদের সাথে মুসলমানের সম্পর্ক ♦️ ভাই-বন্ধুদের সাথে মুসলমানের সম্পর্ক ♦️ সমাজের সাথে মুসলমানের সম্পর্ক এ বিষয়গুলোর ব্যাপারে কুরআন ও হাদিস নিয়ে গবেষণা করার সময় প্রতি মুহূর্তে আমি অনুভব করেছি যে, বান্দার জন্য আল্লাহর দয়া অনেক ব্যাপক ও বিস্তৃত। তিনি বান্দাদের গোমরাহির অতল গহ্বর থেকে তুলে হিদায়াতের শীর্ষ চূড়ায় আরোহণের ব্যবস্থা করেছেন। এর জন্য তিনি যুগে যুগে নবি-রাসুল প্রেরণ করেছেন। জীবনযাপনের নীতি ও রীতি প্রণয়ন করে দিয়েছেন। যেন মানুষ সব সময় উজ্জ্বল ও আলোকিত পথে পথ চলতে পারে; কখনো পতিত না হয় অন্ধকার গর্তে এবং কখনো পরিচালিত না হয় ভুল পথে।