‘নিশুতি’ বইটির ভূমিকা সাহিত্য এমন এক বিষয়, যা কখনওই স্থির থাকতে জানে না। চায় সবসময় এগিয়ে যেতে...প্রায়শই অপ্রতিরোধ্য গতিতে। আর এই গতির আহ্বায়ক, যাদের হাত ধরে এগিয়ে যায় ভাষা-সাহিত্য-শিল্প, তারা হচ্ছেন নবাগত লেখক সমাজ। শ্রদ্ধেয় পুরনোদের দিক-নির্দেশনায়, সাহিত্যে নতুন জোয়ার আনতে পারেন একমাত্র তারাই। আদী প্রকাশন প্রথম থেকেই চেষ্টা করেছে পুরনোদের আশীর্বাদকে মাথায় নিয়ে নতুনদের নিয়ে পথচলার। চেয়েছে পুরনোদের সাথে নতুনদের এক অপূর্ব মেলবন্ধন সৃষ্টির। তারই ধারাবাহিকতায় পাঠকদের জন্য আমাদের এই উপহার-নিশুতি। সাধারণত সঙ্কলনে প্রতিটা গল্পের ব্যাপারে একটু একটু করে জানাতে হয় পাঠকদের। কিন্তু আমাদের এই সঙ্কলনের গল্পগুলোই এমন যে সে-কাজ করতে গেলেও লেগে যাবে কয়েক পৃষ্ঠা। মুহাম্মদ আলমগীর তৈমুর, তৌফির হাসান উর রাকিব, রাসায়াত রহমান জিকো, আবুল ফাতাহ মুন্না, সৈয়দ অনির্বাণ-পাঠক প্রিয় এই লেখকদের পরিচয় দিয়ে যাওয়াটাই যেন দুঃসাহস। সেই সঙ্গে যোগ হয়েছেন সজল চৌধুরী, নাসির খান, ওয়াসি আহমেদ, আদনান আহমেদ রিজন, ফেরদৌস আহমেদ এবং ইমতিয়াজ আজাদের মতো উঠতি লেখকেরা। শুভঙ্কর শুভ, আফরানুল ইসলাম, আশিকুর রহমান বিশাল এবং সেঁজুতি রোশনাইয়ের অনুবাদের সঙ্গে পরিচিত পাঠক মাত্রই জানেনকতটা সুখপাঠ্য হয় তাদের অনুবাদ। আশা করি নবীন লেখক, মোঃ নাফিউ-উলআবীর, আহনাফ তাহমিদ এবং ওপার বাংলার শ্রদ্ধেয় লেখিকা সাগরিকা রায়ের গল্পও পছন্দ হবে আপনাদের। পাঠকদের কাছে ভাল লাগলেই আমরা আমাদের পরিশ্রমটুকু সফল বলেই ধরে নেব। হয়তো বা ভবিষ্যতে আদী প্রকাশনীর পক্ষ থেকে এরকম আরও সঙ্কলন উপহার পাবেন পাঠকরা। -সম্পাদক, ৬ এপ্রিল, ২০১৮
জন্মস্থান পুরাতন ঢাকার নারিন্দায়, মাতুলালয়ে। এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। আদী প্রকাশন, পরিবার, ব্যবসা আর নানা ঝক্কির মাঝেও নিজের লেখকসত্ত্বাকে কখনও তিনি বিলীন হতে দেননি। সময় পেলেই বসে গিয়েছেন কী-বোর্ডের সামনে। অনুবাদ করেছেন, লিখেছেন ছোটগল্প। ব্ল্যাক নামে একটি সমকালীন মৌলিক গল্প সংকলন এসেছে তার হাত ধরে। অবসরে দেশে-বিদেশে ঘুরতেও বেশ পছন্দ করেন। নিজের ঔপন্যাসিক সত্ত্বাকে এবারের বইমেলায় তিনি পাঠকদের সামনে এনেছেন। প্রকাশিত হলো তার প্রথম উপন্যাস “জলরঙ”। জলরঙের রঙিন ক্যানভাসে পাঠকদের স্বাগতম!