১৯৭১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর।ব্রাসেলস এর মিউজিয়াম অব ফাইন অব আ্টস-এ শুরু হয় বিশ্বের দুর্লভ সব চিত্রকর্মের চিত্রপ্রদর্শনী।প্রথম রাতেই চুরি হয়ে যায় ডাচশিল্পী ভারমেয়ারের দ্য লাভ লেটার।পুরো বেলজিয়ামে শুরু হয় হইচই।ছবিটি যে চুরি করে,মারিও,তার বয়েস একুশ বছর।একটি পত্রিকায় সে ফোন করে সে জানায়,দ্য লাভ লেটার সে চুরি করেছে।তার নাম ,থিল ফন লিমবার্গ।ছবিটি পেতে জাদুঘর কর্তৃপ্ক্ষকে চার মিলিয়ন ডলার মুক্তিপণ দিতে হবে।এ টাকা ব্যয় হবে পূর্ব পাকিস্তানের যুদ্ধপীড়িত মানুষদের জন্য।দাতব্য সংস্থা কারিতাস পূর্ব পাকিস্তানে এ টাকা পৌছে দেবে ।মারিও আরও জানায়,মা বেচে থাকলে হয়তো সে এ কাজটি করতো না।কিন্তু মানুষের দু:খ যন্ত্রণা তার সহ্য হয় না।এরপর ঘটতে থাকে শ্বাসরুদ্ধকর সব ঘটনা।প্রশাসন আটক করে মারিওকে।এদিক যুদ্ধপীড়িত পূর্ব পাকিস্তানের মানুষদের জন্য মারিওর এই চুরিকে বেলজিয়ামের জনগন চুরি বলতে নারাজ।মারিও তাদের কাছে থিল ফন লিমবার্গ।লোককথা অনুযায়ী,মশকরা করতে করতেই থিল অন্যায়কারী-দূর্নীতিবাজদের মুখোশ খুলে ফেলতেন,এবং তাদের সম্পদ নিয়ে গরীবদের ভেতর বিলিয়ে দিতেন। এ ঘটনার পরপরই মূলত আর্ন্তজাতিক বিভিন্ন সংস্থা ও খ্রিস্টানদের ধর্মগুরু পোপের দৃষ্টি পড়ে পূর্ব পাকিস্তানের ওপর।জনগণের প্রবল চাপের মুখে সরকার মারিওকে ছাড়তে বাধ্য হয়।কিন্তু ততদিনে মারিওর আরেক জীবন।লাখ লাখ মানুষের জীবন বাচাতে চেয়েছিল যে মানুষ,তারই মৃত্যু হয় নি:সঙ্গ করুণ অবস্থায়।ই-নেট থেকে পাওয়া তথ্যের ওপর খানিকটা কল্পনা চড়িয়ে আবু তাহের সরফরাজ নির্মাণ করেছেন থিল ফন লিমবার্গ চরিত্রটি।