বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান ফারজাদ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। জীবনে যখন যা চেয়েছে মুখ ফুটে বলার আগেই সব পেয়েছে। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই বেড়ে উঠেছে বাবা মায়ের মাঝে ছোট্ট একটা দেয়ালের রেষারেষি দেখে, বাবা মাকে সহ্য করতেপারেন না। লোক মুখে বাবার নামে নানা অপবাদ, বাড়িতে দেরি করে ফেরা, ফিরেই মায়ের সাথে কলহ।একদিন ফারজাদ সিদ্ধান্ত নেয়- সে বাবাকে খুন করবে। কিন্তু তার সপ্তাহ খানের মধ্যেই ফারজাদের মা মারা যান। সে ধরে নেয় মায়ের অস্বাভাবিক মৃত্যুর নীল নকশা বাবা নিজ হাতে করেছেন। কাজেই বাবার সঙ্গে তার ক্রমশ দূরত্ব বাড়তে থাকে। এরমধ্যে মায়ের শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী মায়ের বান্ধবীর মেয়ে মুনিরাকে তাদের বাসায় নিয়ে আসে। রূপবতী মুনিরা অসুস্থ পরিবারকে ধীরেধীরে আবার সুন্দর করে তোলে। তার অমায়িক ব্যবহার, বৌয়ের মতো সংসার সামলানো, ফারজাদের প্রতি আলাদা কেয়ারিং, এসব ফারজাদকে মুগ্ধ করে। ধীরেধীরে ফারজাদের মুনিরার প্রতি দুর্বল হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকে না। এদিকে ফারজাদেও শহরের এক দূর্র্ধষ ভাড়াটে খুনি হুগোর সাথে পরিচিত হয়। সে হুগোকে বুঝিয়ে দেয় বাবাকে আগুনে পুড়িয়ে মারতে হবে। যেমনটা ঠিক বাবা মাকে করেছেন। হুগোর প্ল্যান মতো খাগড়াছড়িতে ফারজাদ সবাইকে বেড়ানোর নাম করে নিয়ে যায়। ফারজাদ যখন বাবাকে খুন করা নিয়ে ব্যস্ত , মুনিরা কে নিয়ে বাকি জীবন কাটানোর স্বপ্নে বিভোর, ঠিক তখন তার জীবনে ফিরে আসতে চায় ফারজাদের প্রাক্তন প্রেমিকা জিনাত। জিনাত যেকোনো উপায়ে ফারজাদকে চায়, ফারজাদও জিনাতকে ফিরিয়ে দিতে পারে না।ঠিক যেমন পারেনা একমাত্র বান্ধবীর অন্যায় আবদার অনুরোধ অগ্রাহ্য করতে।তাকে নিয়ে জড়িয়ে পড়তে হয় নানা তিক্ত ঘটনায়। এদিকে আবার সবাইকে নিয়ে খাগড়াছড়িতে যাওয়ার পর সেখানে ঘটে যায় এক অনাকাঙ্খিত ঘটনা। যে ঘটনায় প্রত্যেকের জীবনের গতিপথ আমূল বদলে যায়। কী সেই ঘটনা? বৈশাখ মাস। হঠাৎ কাল বৈশাখী, প্রচনণ্ড ঝড় হচ্ছে। এমন এক সন্ধ্যায় ফারজাদ ভাবছে - এটাই শ্রেষ্ঠসময়। তারমনের ভেতর জমানো সব ক্ষোভ আগুনের মতো দাউদাউ করছে।এমূহুর্তে বাবাকে খুন করা ছাড়া তার মাথায় আর কিছুই আসছেনা। আস্তে আস্তে সে বাবার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সে কি সত্যিই বাবাকে হত্যা করবে নাকি জেনে যাবে মায়ের মৃত্যু, বাবার নামে মুনিরার অপবাদ, ছাত্রীদের সঙ্গে বাবার স্ক্যান্ডাল- সব ঘটনার পিছনে লুকিয়ে থাকা আসল ঘটনা! এসব জানতে হলে পড়তে হবে রোমান্টিক থ্রিলার উপন্যাস 'চাঁদ নেমে আসে '