অপরাধীর প্রায়শ্চিত্ত কি? কারাগারের বন্দীশালা? নাকি মৃত্যুদণ্ড? উত্তর খুঁজতে মেজর জেনারেল মহিউদ্দীন হক ফিরোজ বিদেশের সম্মান ও অর্থ-বিত্তের মোহ ত্যাগ করে দেশে ফিরে আসেন। গড়ে তোলেন MRAU নামক এক গোপন সংস্থা। ভীষণ গোপনীয়তার সাথে দেশের ভয়ঙ্করতম কিছু অপরাধীকে নিয়ে শুরু করেন প্রায়শ্চিত্ত প্রকল্প। প্রকল্প প্রধান বিখ্যাত ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট ডঃ বশির জামান। সব কিছু ঠিকঠাক মতই চলছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই ঘটে যায় এক রহস্যময় দুর্ঘটনা। নিখোঁজ হয়ে যান ডঃ বশির জামান সহ কিছু অপরাধী।
ছড়িয়ে পড়তে থাকে প্রায়শ্চিত্ত প্রকল্পের বিষাক্ত কালি। এই কালিতে জড়িয়ে যায় নিজের হারানো বাবাকে খুঁজতে দেশে আসা এক ইটালিয়ান তরুণী মেরিলিনা। তার সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন ওসি খাইরুল ইসলাম; যিনি আজও পাঁচ বছর আগে তার একমাত্র বোনের রহস্যময় মৃত্যু মেনে নিতে পারেননি।
প্রায়শ্চিত্ত প্রকল্পের কালি মুছতে মরিয়ে হয়ে ওঠেন মেজর জেনারেল ফিরোজ। বাধ্য হয়ে হাত পাতেন রহস্যময় ঈশ্বর বাগচীর কাছে, যিনি জীবনের বিনিময়ে মৃত্যু আর মৃত্যুর বিনিময়ে জীবন দান করেন।
কিন্তু শেষ রক্ষা কি হয়? শহরে শুরু হয় বীভৎস সব হত্যাকাণ্ড। কারা এই পোসাইডন, প্রমিথিউস আর হেডিস? শহরের দেয়ালে দেয়ালে রহস্যময় দেয়াললিখনেরই বা উদ্দেশ্য কি? এটা কি কোন দুর্যোগের পূর্বাভাস? বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়তে থাকে দাবালনের মত।
এই টালমাটাল সময়ে ক্ষমতার লোভে এক জেনারেল খুলে দেন নরকের দুয়ার। দেশে প্রবেশ করে বহু পুরনো হিংস্র এক অপরাধী সংগঠন ‘কংসচক্র’। সব কিছু ফিরোজের নিয়ন্ত্রনে থাকবে? নাকি এই প্রায়শ্চিত্ত প্রকল্পের আগুনে সব জ্বলে ছারখার হয়ে যাবে?
কিন্তু, দূর্ভাগ্যবশত, প্রায়শ্চিত্ত প্রকল্পের ব্যর্থতা কেবল একটা ঝড়ের পূর্বাভাস মাত্র।