টেলিফোন বুথে ফোন করতে ঢুকেছিল একজন। গােয়েন্দার সম্পূর্ণ অচেনা। কিন্তু তাকে দেখেই গােয়েন্দা বুঝতে পেরেছিল বিপদে পড়েছে মানুষটি। ওর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, যা ভেবেছিল ঠিক তাই। কিন্তু কীভাবে আগে থেকে ওই বিপদের কথা জানতে পেরেছিল গােয়েন্দা? শরীরের ভাষা পড়ে। শরীরের ভাষাই ‘রহস্যের পাঁচ ঠিকানা খুঁজে বার করার চাবিকাঠি। এই রহস্য-উপন্যাসটি আনন্দবাজারের রবিবাসরীয়তে ধারাবাহিকভাবে প্রকাশের সময় শরীরের ভাষাচর্চার ঝোক চেপেছিল পাঠকমহলে। বেশকিছু চিঠিপত্র জানিয়েছে এই তথ্য। এটি এমন এক জমজমাট রহস্যকাহিনি যার পরতে পরতে আছে খুন, মাদক ও মূর্তি-পাচার, মধুচক্র, ঈর্ষা, প্রেম এবং ভয়ংকর সব ষড়যন্ত্র। বিনা মেঘে’-র শুরুতেই একটি রােমহর্ষক খুন। বড়ো একটি সংস্থার সুন্দরী কর্ণধারের এই খুনের পেছনে আছে কুচক্রীদের নিখুঁত চাল। ঘটে যায় একের পর এক গা-ছমছমে ঘটনা। কিন্তু শেষে গােয়েন্দার ক্ষুরধার বুদ্ধির কাছে হার মানতে হয় অপরাধীদের। ‘প্রতিশােধ’-এ আছে চূড়ান্ত প্রশাধ নেওয়ার এক হাড়-হিম-করা কাহিনি। মানসিক ভারসাম্য হারিয়েছিল জেলবন্দি এক কুখ্যাত অপরাধী ছােটেলাল। কিন্তু সেই অবস্থাতেই সে একদিন নিখোঁজ হয়ে যায়। কীভাবে? অনুসন্ধান-পর্বে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর নানা তথ্য। শেষে নাটকীয় ধরপাকড়। তিনটি পূর্ণাঙ্গ রহস্যকাহিনি নিয়ে অনবদ্য এই ‘রহস্য উপন্যাস।