"হ্যাকিং: হ্যাকিংয়ের গোলকধাঁধা" বইয়ের কথা: সময় তাে সময়ের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। যতই দিন যাচ্ছে-আমরা প্রযুক্তির সাগরে নিমজ্জিত হচ্ছি। ইন্টারনেট পৃথিবীকে সংকুচিত করে আমাদের হাতের মুঠোয় এনে দিয়েছে। আমাদের নিত্যনৈমিত্তিক প্রায় সকল কাজই হয়ে যাচ্ছে ইন্টারনেট বা কম্পিউটার নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভরশীল। মানবজীবনে এর সুফল যেমন আছে, কুফলও আছে ঢের। যদি যথােপযুক্ত নিরাপত্তা না দেওয়া যায়, তাহলে যেকোনাে সিস্টেমই হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর সিস্টেম হ্যাকারদের হাতে চলে গেলে-কোটি কোটি টাকার লােকসান হওয়ার সম্ভাবনা তাে আছেই। কী? অবাক হচ্ছেন বা গুলিয়ে ফেলছেন। ভাবছেন, কীভাবে কী করে হ্যাকাররা ? আর কেনইবা করে ? আপনি সঠিক বইটিই বাছাই করেছেন। হ্যাকিং এবং হ্যাকারদের পদযাত্রা ১৯৫০১৯৬০ সালের দিকে শুরু হলেও আমাদের দেশে মানুষজন হ্যাকিং শব্দটির সঙ্গে পরিচিত মাত্র একযুগ ধরে। কিন্তু এই অল্পসময়ের মধ্যেই বেশ কয়েকটি সাইবারযুদ্ধে সফলতা প্রদর্শন করে বিশ্ববাসীর কাছে যথেষ্ট পরিচিতি লাভ করেছে। বাংলাদেশ। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে আপনাকে নিরাপদ থাকতে হলে অবশ্যই সচেতন হতে হবে; জেনে নিতে হবে-নিরাপদে থাকার কৌশলগুলাে। আমরা BugsBD Ltd’-এর পক্ষ থেকে একটি সমীক্ষা চালিয়েছিলাম-সাইবার নিরাপত্তা এবং হ্যাকিং নিয়ে। অবিশ্বাসযােগ্য হলেও সত্য যে, অধিকাংশ মানুষই সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে অজ্ঞ। অনেকেই জানে না-ইন্টারনেটে তাদের দেওয়া বিভিন্ন তথ্য কতটুকু নিরাপদ বা আদৌ নিরাপদ কি-না। কীভাবে তথ্যগুলাে নিরাপদ রাখতে হবে, এই বিষয়টিও তাদের অজানা। তাই নিজেদের দায়বদ্ধতা থেকেই আমরা ‘হ্যাকিংয়ের গােলকধাঁধা বইটি প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আশা রাখি, এই বইটি পড়ে পাঠক সাইবার নিরাপত্তা এবং হ্যাকিং সম্পর্কে জানতে ও ইন্টারনেট জগতে কীভাবে নিরাপদ থাকা যায় বা হ্যাকারদের ফাঁদ এড়িয়ে চলা যায় তা জানতে পারবেন।
Delwar Alam, ‘Knowledge Should be Free’ তত্তে¡ বিশ্বাসী ও তথ্য-প্রযুক্তি নিরাপত্তা বিষয়ক তরুণ উদ্যোক্তা দিলোয়ার আলম দেশ ও জাতির উন্নয়নের প্রশ্নে অনুভূতিপ্রবণ। দেশে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক শিক্ষণীয় গাইডলাইনের অভাব থাকায় তিনি তা দূরীকরণের উদ্দেশ্যে ২০১৫ সালে SQLi Wiki Forum নামক একটি মুক্তমঞ্চ প্রতিষ্ঠা করেন । দীর্ঘ কয়েকটি বছর ব্লকচেইন টেকনোলজির ওপরে পরীক্ষালব্ধ ফলাফলের ফলপ্রসু প্রমাণ ঘটিয়ে তিনি দেশের স্বার্থে ইমপ্লিমেন্টেশনের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তিনি তার বিদ্যাপিঠ ‘ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র Cyber Security Center(DIU), DIUISG ও SofoLab- এ সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ক বেশ কিছু কোর্সে ট্রেইনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দেশের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার ক্রমাগত অবনতি তথা শোচনীয় অবস্থা তাকে ভাবিয়ে তুলে। দেশের স্বার্থে তিনি এসবের নিরাপত্তার জন্য তার গবেষণাকে উৎসর্গ করেছেন। সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক এই গবেষকের প্রায় দশাধিক গবেষণাপত্র বিদেশি বিভিন্ন জার্নাল ও কনফারেন্সে প্রকাশিত হয়েছে। সাইবার সিকিউরিটি নিয়ে কাজ করা দেশের তরুণদের অর্থ-উপার্জনের কথা মাথায় রেখে এবং দেশে নতুন কর্মক্ষেত্র সৃষ্টির লক্ষ্যে সর্বপ্রথম ২০১৫ সালে তিনি BugsBD নামক দেশীয় বাগ-বাউন্টি প্লাটফর্ম তৈরি করেন। এছাড়াও ২০১৩ সালে তিনি এবং তার টিম Soft IT Security নামক সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ফার্ম স্থাপনের মাধ্যমে তরুণদের কর্মক্ষেত্র সৃষ্টি করেছেন। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার প্রতি অসহনশীল স্বভাবের গম্ভীর, কমবয়সী এই যুবক বর্তমানে সিকিউরিটি রিসার্চার হিসেবেই নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন এবং সাইবার সিকিউরিটি সম্বলিত বেশকিছু প্রোজেক্ট ডেভলপমেন্টের প্রচেষ্টায় ব্য¯Í সময় যাপন করছেন।