নিজের ওজন বোঝা অবিনাশ রায়। বাঁকুড়া শহরে বাড়ি। বাবা উকীল। স্কুল ও কলেজের পড়া বাঁকুড়ায় শেষ করে অবিনাশ সুযোগ পেয়ে গেল ম্যানেজমেন্ট পড়ার। দিল্লীতে। যেন এক স্বপ্ন। বন্ধুদের মুগ্ধ দৃষ্টি। অবিনাশের স্বপ্নের জগৎ। যে এম.বি.এ পড়বে দিল্লীতে । নিউ দিল্লী স্টেশনে নেমে অটো। কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে সে মুগ্ধ বিস্ময়ে তাকিয়ে রইলো কিছুক্ষণ। যা ভেবেছিলো, তার চেয়ে অনেক রঙীন এই স্বপ্নের জগৎ। মেন্ বিল্ডিং কাঁচ দিয়ে ঘেরা। ভেতরে বিশাল লন্। লন্ তো নয়, যেন পার্ক। বড় ছোট গাছে ভরা। মাঝখানে ফোয়ারা। তার চারদিকে ফুল গাছ। এক পাশে মুক্ত মঞ্চ। পেছন দিকে হস্টেল। বিশাল বিল্ডিং। রুম-মেট্ দু'জন। কৃষ্ আর কুমার। কৃষ? বিশাখাপত্তনমে বাড়ি। পুরো নাম এন.কে.কৃষ্ণন। সংক্ষেপে কৃষ্। এটাই নাকি স্টাইল। কুমার এসেছে পাটনা থেকে । অবিনাশের নাম শুনে তো হেসেই গড়িয়ে পড়ে। নামের মানে কি? অবিনাশ ভাঙ্গা-ভাঙ্গা ইংরেজিতে বললো ঃ অ বিনাশ, ডেলেস্, হি হু ডাজ নট ডাই ৷ না, এত বড় নাম চলবে না। মেক্ ইট শর্ট কৃষের বক্তব্য - অবি, অর বেটার অ্যাবি। অবিনাশ এক কথায় রাজি। অ্যাবি রে।