ভূমিকা নবিজী (সা.) তাঁর সারা জীবনের বাণী ও আলকোরানের নীতিমালা গ্রন্থবদ্ধ করিয়েছেন। তাঁর মহাজীবনের সুমহৎ কার্যাবলি হাদিসে সংরক্ষিত করিয়েছেন। ইসলামের পূর্ণাঙ্গ জীবন-বিধান তাই সাহাবা-জীবনেই বাস্তবায়িত হয়েছে। তাঁর আনিত দ্বীন শুধু যুগের জন্য নয়। কোনো দেশ-কালের জন্য নয় ৷ তা সারাজীবনের সারা বিশ্বের সকল কালের মানুষের জন্য নির্ধারিত। যা বিকৃতি ও প্রক্ষিপ্ততা থেকে মুক্ত। যা ভ্রান্তি থেকে মুক্ত। সেই আল কোরআন ও আল হাদিস মুসলমানদের জন্যই শুধু নয়, সব মানুষের জন্যই একমাত্র নিঁখুত এবং অপরিহার্য পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান আমরা সেই পবিত্র আল কোরআন ও আল হাদিসের পূণ্য আলোকে বিশ্বনবির বিশ্ব-ইতিহাসের বিস্ময়কর ইতিবৃত্তের পাতা থেকে কয়েকটি মনি- মুক্তা তুলে আনার চেষ্টা করেছি মাত্র। জানি এতে পাঠকের তৃষ্ণা মিটবে না । তবু বিন্দুতে সিন্ধু দর্শনের কিঞ্চিৎ উপযোগিতা পেলে নিজেকে ধন্য মনে করব। রসূলুল্লাহ (সা.) তাঁর সমকাল থেকে অনাগতকাল এমনকি আ-কেয়ামত পর্যন্ত আগত সমস্ত মুসলমানকে আগাম সালাম ও ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দিয়ে আমাদের উপর যে গুরুভার ন্যস্ত করেছেন— আমরা আমাদের ক্ষুদ্র- মস্তিষ্ক ও তুচ্ছ লেখনী দিয়ে তারই অনুসরণ ও অনুধাবন করার চেষ্টা করে চলেছি। সেই প্রযত্ন থেকেই কয়েকটি রত্ন তোলার চেষ্টা করেছি। যা সিন্ধুর তুলনায় বিন্দুমাত্র। তবু আল্লাহ যদি কবুল করে নেন মক্কা-মদিনার ধুলিকণা ভেবে, তাঁর হাবিবের অসিলাতে। তাহলেই লেখা ও রেখা সার্থক হবে। একাজে যাঁরা আমাকে সাহায্য করেছেন, উৎসাহ জুগিয়েছেন, আমার লেখায় প্রেরণা দিয়েছেন তাঁদের জন্য শুভকামনা-দোয়ায়েখায়ের ও সালাম জানাই । ধন্যবাদ জানাই প্রকাশককে। তাঁর আগ্রহ এবং ঐকান্তিক প্রচেষ্টাতেই “বিশ্বনবি : বিশ্বগ্রন্থ ও বিশ্ব-ধর্ম” বইটি প্রকাশ পেল। আল্লাহপাক তাঁর দ্বীন- খিদমতকে কবুল করুন (আমিন)।