"স্টাডি অব ই-কমার্স" বইয়ের কথাঃ বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় খাতের মধ্যে ই-কমার্স অন্যতম। প্রতিনিয়ত এই খাতে প্রচুর উদ্যোগের সৃষ্টি হচ্ছে। বিশেষ করে অনলাইন ব্যবসায়ের দিকে ঝুঁকছে বর্তমান প্রজন্ম। এদের মধ্যে অনেকে ভালো করছে এবং অনেকে কিছু পথ না যেতেই ঝরে পড়ছে। উদ্যোগ এবং উদ্যোক্তাদের মুখ থুবড়ে পড়তে হচ্ছে ভীষণভাবে। এতে করে তরুণ এই উদ্যোক্তারা যেমন আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে ঠিক পাশাপাশি দেশের ই-কমার্স খাতেরও বেশ ক্ষতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে। ঝরে পড়ার অন্যতম কারণ, এদের মধ্যে অনেকেই সঠিক দিকনির্দেশনার অভাবে কোনো প্রকার ধারণা না নিয়ে তড়িহড়ি করেই নেমে পড়ছেন অনলাইন ব্যবসায়। অনেকে ঘরে বসেই সব করা যায় এই ভেবে আবেগের বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলছে এবং অনেকে কিন্তু ইচ্ছা করলেও সঠিক দিকনির্দেশনা পাচ্ছে না। ই-কমার্স খাতের সকল উদ্যোক্তাদের জন্য সঠিক এবং সকল দিকনির্দেশনাই থাকছে এই বইয়ে। ই-কমার্সের আদ্যোপান্ত সব বিষয় উঠে এসেছে। এবং কি ই-কমার্সের খুঁটিনাটি বিষয়গুলোও লেখক গুরত্বের সাথে তুলে ধরেছেন। বিষয়কে সহজে উপস্থাপনের জন্য লেখকের গল্পের আশ্রয় নেয়াটা প্রশংসার দাবি রাখে। এই বই পড়লে ই-কমার্স খাতের সকল উদ্যোক্তারা নিঃসন্দেহে তাদের সঠিক পথ এবং উপায় খুঁজে পাবে। কৌশলগুলো আয়ত্ব করতে পারবে। যারা ই-কমার্সে আসতে চান, কিন্তু ভয়ে শুরু করতে পারছেন না; তাদেরও এই বই পড়া বাধ্যতামূলক বলতেই পারি। দেশের এই সম্ভাবনাময় খাত নিয়ে এর আগে তেমন কোনো বই লেখা হয়নি। মাথা তুলে দাঁড়ানো এই খাতের উদ্যোক্তাদের জন্য সঠিক দিকনির্দেশনা মূলক একটি বইয়ের খুব দরকার ছিল। অল্প বয়সেই মাসুদ আনসারী বইটি লিখেছে, অনেকটা বিস্ময়কর! তার এই বই দেশিয় ই-কমার্স খাতের জন্য একটি গুরত্বপূর্ণ সংযোজন "বাংলাদেশে ই-কমার্স : সমস্যা ও সম্ভাবনা" লেখকের কথা: ইচ্ছে ছিল কোনকিছুই লিখব না পরে ভাবলাম কিছুকথা না লিখলেই নয়। বর্তমানে বাংলাদেশে ই-কমার্স নিয়ে ক্রেজ তৈরি হয়েছে যা কিছুদিন আগেও ছিল না। যারা ব্যবসা ইতোমধ্যেই শুরু করেছেন তাদের ক্যাটাগরিও আবার দুই রকমের। কেউ কেউ ওয়েবসাইট খুলে প্রকৃত ই-কমার্স এর ভূমিকায় ব্যবসা পরিচালনা করছেন অন্যদিকে কেউ কেউ শুধুমাত্র ফেসবুক পেইজের মাধ্যমে ব্যবসা করছেন। এই দুই শ্রেণির ব্যবসায়ীর আপ্রাণ চেষ্টার ফলে ইতোমধ্যেই কিছু গ্রাহকও তৈরি হয়েছে যার বেশিরভাগই তরুণ প্রজন্ম। আমাদের দেশের অনেকেরই ধারণা একটা ওয়েবসাইট খুলে বিভিন্ন পণ্যের ছবি তুলে অনলাইনে আপলোড করলেই একটা ই-কমার্স কোম্পানির মালিক হওয়া যায়। আবার যারা ফেসবুক পেইজ খুলে ব্যবসা করছেন তাদের কেউ কেউ মনে করেন যে এটাই হল ই-কমার্স। অথচ বাস্তবতা ভিন্ন।
কাদের জন্য এই বই? যারা ই-কমার্স ব্যবসা ইতোমধ্যেই শুরু করেছেন কিন্তু সফল হতে পারছেন না, একই সাথে যারা ই-কমার্স ব্যবসায় নামবেন বলে অপেক্ষা করছেন সবারই জন্যই এই বই। যে কোন অনলাইন প্রতিষ্ঠান ঠিক কোন কোন গুণাবলী থাকলে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান বলা যাবে সে বিষয়ে বইতে বিস্তারিত রয়েছে। এই ব্যবসা শুরু করতে হলে কী কী বিষয় বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে সে বিষয়ে জানতে চাইলে আপনার জন্যই এই বই। আপনি কি একটিমাত্র পণ্য বা সেবা নিয়ে কাজ করবেন নাকি একাধিক সে বিষয়েও ধারণা পাবেন। নতুনদের জন্য এটিই ই-কমার্স এর গাইডলাইন নিয়ে বাংলাদেশে প্রকাশিত প্রথম এবং একমাত্র বই। সূচিপত্র ১. ই-কমার্স কী? ২. ই-কমার্স এর ইতিহাস। ৩. বাংলাদেশে প্রথম ই-কমার্স শুরু। ৪. ই-কমার্স বিজনেস মডেল। ৫. বিশ্বের প্রতিষ্ঠিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানসমূহ। ৬. কীভাবে শুরু করবেন ই-কমার্স ব্যবসা? ৬.১ এই ব্যবসা শুরু করার জন্য আপনি কী পুরোপুরি প্রস্তুত? ৬.২ কী ধরনের পণ্য নিয়ে কাজ করবেন? ৬.৩ পণ্যের গুণগত মান। ৬.৪ পণ্যের দাম এবং গ্রহণযোগ্যতা। ৬.৫ নাম নির্বাচন এবং আইনি কাজ সম্পন্ন। ৬.৬ ডোমেইন এবং হোস্টিং ক্রয়। ৬.৭ CMS বা কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম নির্বাচন। ৬.৮ ওয়েবসাইট তৈরি। ৬.৯ কীওয়ার্ড গবেষণা। ৬.১০ পেমেন্ট সিস্টেম ৬.১১ বাজেট নির্ধারণ। ৭. ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে আপনার প্রতিষ্ঠানে যা যা থাকা অবশ্যই জরুরি। ৭.১ উদ্যোক্তা। ৭.২ ডিরেক্টর প্যানেল। ৭.৩ ওয়েব ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট টিম। ৭.৪ ফিন্যান্স অ্যান্ড অ্যাকাউন্টস। ৭.৫ এইচআর ম্যানেজমেন্ট। ৭.৬ প্রোডাক্ট ম্যানেজমেন্ট। ৭.৭ প্রোডাক্ট ফটোগ্রাফি। ৭.৮ সাপ্লাইচেইন ম্যানেজমেন্ট। ৭.৯ কাস্টমার কেয়ার ম্যানেজমেন্ট। ৭.১০ ডেলিভারি টিম। ৭.১১ অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ। ৭.১২ কন্টেন্ট রাইটার। ৭.১৩ ব্রান্ডিং ও প্রোমোশন। ৭.১৪ পাবলিক রিলেশন টিম। ৭.১৫ মার্কেটিং টিম (ডিজিটাল অন্যান্য)। ৭.১৬ কর্পোরেট সেলস টিম। ৭.১৭ টেলিমার্কেটিং টিম। ৭.১৮ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট। ৮. ই-কমার্স এবং এফ-কমার্স। ৯. বাংলাদেশে ই-কমার্স খাতে সমস্যাসমূহ। ১০. বাংলাদেশে ই-কমার্স খাতে সম্ভাবনাসমূহ। ১১. বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের গল্প।
জন্ম ফরিদপুর জেলার মধুখালি উপজেলার সবুজে ঘেরা খোদাবাসপুর গ্রামে। মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করা ছেলেটি বাবা-মা এর প্রথম সন্তান। ছোট বয়সে দেখতে অনেক সুন্দর এবং নাদুস নুদুস হওয়ায় বাবা-মা আদর করে সুইট বলে ডাকতেন। সেই থেকে শুরু, এখন সুইট নামেই বেশি পরিচিত। তিন ভাই আর মাকে নিয়ে সুখের সংসার। তবে ২০১৪ সালে বাবার আকস্মিক মৃত্যু পরিবারের সেই সুখে কষ্টের ছায়া এঁকে দিয়ে গেছে। গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর পাশের গ্রামের হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক, উপজেলা সদরের সরকারি আইনউদ্দিন কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং সব শেষে ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ থেকে বাংলা বিষয়ে অনার্স এবং মাস্টার্স পাস করেন। কম্পিউটার এবং স্পোকেন ইংলিশ এর প্রশিক্ষণ পেশার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন। এরপরে কাজ করেছেন ট্রান্সপোর্ট কোম্পানী, মার্কেটিং কনসালটেন্সি, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সহ বেশকিছু প্রতিষ্ঠানে। ভালো লাগার মধ্যে রয়েছে বই পড়া, গান শোনা, গান গাওয়া, ঘুরতে যাওয়া, বন্ধুদের সাথে আড্ডা দেওয়া, লেখালেখি, অজানা যে কোন কিছু জানা, মুভি দেখা, গভীর রাতে বারান্দায় বসে আকাশ দেখা, জোৎস্না রাতে চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে চাঁদের আলো গায়ে মাখা সহ অনেক কিছু। বর্তমানে বাংলাদেশের সবথেকে জনপ্রিয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান রকমারি ডটকমের (www.rokomari.com) বিজনেস ডেভেলপমেন্ট কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করছেন। ভবিষৎ এ বাংলাদেশের ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রিকে সফলতার উচ্চশিখরে দেখতে চান।