ভুলি কেমনে

বই এর প্রথম ফ্লাপ

ছোটো ছোটো লেখা। নানা প্রেক্ষিতে, নানা প্রসঙ্গে, প্রয়োজনে। কিন্তু আশ্চর্য সংলগ্ন, সম্পৃক্ত। ধারাবাহিকের চলনে যা হয়ে উঠেছে বড়ো লেখা বড়ো একটা সময় জুড়ে। এই সময়ের শুরুতে আছে প্রাক-স্বাধীনতা-পর্ব এবং দেশভাগ। তারপর এগিয়ে যাওয়া, সময়ের আঁকাবাঁকা পথ ধরে। বলতে গেলে একটা ইতিহাস, ক্রনিকল নয় । একটি নাটকের সঙ্গে, একটি প্রযোজনার সঙ্গে, একজন অভিনেতা বা অভিনেত্রীর সঙ্গে অনেক কথা ও কাহিনি জড়িয়ে থাকে, যার কিছুটা হয়তো জানা, বেশ কিছুটা অন্তরালে। ‘ভুলি কেমনে’ স্মৃতির ডানায়, গল্পের ডানায় উড়ে উড়ে সেইসব কথা ও কাহিনি আলোয় নিয়ে আসে। পড়তে পড়তে মনে হয়, আমরা আলোয় ভাসছি। রবীন্দ্রনাথকে আশ্রয় করে বলতে হয়, হৃদয়ের এ কূল ও কূল দু কূল ভেসে যায় । বাংলা থিয়েটারের ভাঙনপ্রবণ প্রবাহে কলহের কুয়াশা আছে। বিভাস চক্রবর্তীর লেখা কুয়াশার দূরে আলোর বদ্বীপ হয়ে জেগে থাকে। এবং সেই সঙ্গে একটা বাতিঘরও দিশা দেয়। নির্ণয় করে যাত্রাপথ । আমাদের সামাজিক সুবাতাস ও সাধনা, সাংস্কৃতিক সমৃদ্ধি ও সম্ভাবনার সহৃদয় ফলকনামা এই গ্রন্থ।