“পান্ডুলিপি প্রস্তুতকরণ সম্পাদনা প্রুফরিডিং" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ বই প্রকাশের প্রথম শর্ত হলাে পাণ্ডুলিপি প্রস্তুত করা। পাণ্ডুলিপি রচনার পরেই তা প্রকাশযােগ্য হয়ে ওঠে না, বরং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সম্পাদনা ও প্রফরিডিং অতিক্রম। করে প্রকাশের জন্য চূড়ান্ত হিসেবে বিবেচিত হয়। আলােচনার সুবিধার জন্য বইটি পাণ্ডুলিপি প্রস্তুতকরণ, সম্পাদনা ও প্রফরিডিং এই তিন অংশে রচিত হয়েছে। প্রথম অংশে। পাণ্ডুলিপি রচনার পর লেখকের করণীয়, ফরম্যাটিং, চিত্র, টেবিল, ক্যাপশন কিংবা অন্যান্য উপাদান কীভাবে সন্নিবেশিত হবে এবং একাধিক লেখক কর্তৃক প্রণীত বইয়ের পাণ্ডুলিপি প্রস্তুতের নীতিমালা আলোচিত হয়েছে। দ্বিতীয় অংশ ঋদ্ধ। হয়েছে সম্পাদনার নীতিমালা, সম্পাদনার সংকেত ব্যবহার ও নির্দেশনা এবং কাগজ ও ইলেকট্রনিক কপিতে সম্পাদনা সংক্রান্ত আলােচনায়। এছাড়াও পুফের স্তর, পুফের নিয়মকানুন ও সংকেত ব্যবহার এবং একাধিকবার পুফের নিয়ম বিস্তারিত আলােচিত হয়েছে বইটির শেষাংশে। পুফ রিডিংয়ের মাধ্যমে একটি বই বানান ও যতিচিহ্নের ত্রুটিমুক্ত করা সম্ভব। পাণ্ডুলিপি প্রস্তুতকরণ সম্পাদনা ও প্রফরিডিং বইটি লেখক, সম্পাদক, প্রকাশক, প্রুফরিডার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মুদ্রণ ও প্রকাশনা অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অবশ্যপাঠ্য বই।
জন্ম ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৬৫ সালে, সৈয়দপুর, নীলফামারী। পিতা সিরাজুল হক ভূঁইয়া এবং মাতা সালমা বেগম। পিতৃনিবাস চাঁদপুর সদর, চাঁদপুর। শিক্ষা- ব্যবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর। বাংলাদেশের প্রকাশনা জগতে প্রকাশনা ও মুদ্রণ বিশেষজ্ঞ হিসেবে সুপরিচিত। বাংলাদেশের প্রকাশনা-শিল্পকে সমষ্টিগতভাবে বিশ্বমানে উন্নীত করে আন্তর্জাতিক প্রকাশনাপ্রবাহে সংযুক্ত করার লক্ষ্যে তিনি প্রায় তিন দশক ধরে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশে বই বিপণনে প্রযুক্তিনির্ভর আধুুনিক পদ্ধতি এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বইমেলা আয়োজন ও অংশগ্রহণের ব্যবস্থাপনার অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব তিনি। ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলা, লন্ডন বইমেলা, কলকাতা আন্তর্জাতিক পুস্তকমেলাসহ অসংখ্য আন্তর্জাতিক বইমেলায় বাংলাদেশের সরব উপস্থিতি নিশ্চিত করতে তাঁর ভূমিকা প্রশংসনীয়। এছাড়াও জাতীয় পর্যায়ের সকল বইমেলায় রয়েছে তাঁর সরব উপস্থিতি। ইন্টারন্যাশনাল পাবলিশার্স এসোসিয়েশন (আইপিএ)-এ বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির পূর্ণ সদস্যপদ অর্জন এবং এশিয়া প্যাসিফিক পাবলিশার্স এসোসিয়েশন (এপিপিএ)-এ বাংলাদেশের নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় তিনি অসামান্য ভূমিকা পালন করেন। তিনি বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সাবেক নির্বাহী পরিচালক। তিনি বর্তমানে এশিয়া প্যাসিফিক পাবলিশার্স এসোসিয়েশন-এর কো-পাবলিশিং, ট্রান্সলেশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন ওয়ার্কিং কমিটির চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি এবং পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স লি.-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্বরত রয়েছেন। তাঁর প্রকাশিত কবিতার বই এলোমেলো দুঃখগুলো (১৯৯৮), শিশুতোষ বই জেমি ও জাদুর শিমগাছ (২০০৩), মৎস্যকুমারী ও এক আশ্চর্য নগরী (২০২০), প্রকাশনা বিষয়ক বই মুদ্রণশৈলী নান্দনিক প্রকাশনার নির্দেশিকা (২০১৮), পাণ্ডুলিপি প্রস্তুতকরণ , সম্পাদনা ও প্রুফ রিডিং (২০১৯)। পুস্তক উৎপাদন ব্যবস্থাপনা লেখকের প্রকাশনা বিষয়ক সিরিজের তৃতীয় বই।