"রক্ত বিষয়ে আমরা যেভাবে জানলাম " বইয়ের পিছনের কভারের লেখা: রক্ত বিষয়ে আমরা যেভাবে জানলাম। গল্পবলিয়ে হিসেবে অতুলনীয় বিজ্ঞান-কল্পকাহিনীর গ্রান্ডমাস্টার আইজ্যাক আসিমভ। বিজ্ঞানের উন্নয়নের ইতিহাস নিয়েও প্রচুর কাজ রয়েছে তাঁর। ছেলে-বুড়াে সব পাঠকের জন্যই বিজ্ঞানের জটিল বিষয়গুলােকে সহজভাবে উপস্থাপন করেন আসিমভ। বিজ্ঞানের তথ্যে লেখাগুলাে ভরপুর থাকলেও সেগুলাে তার জনপ্রিয় কল্পকাহিনীগুলাের মতই পড়ে ফেলা যায় অনায়াসে। দেহে রক্তের কাজ কী, রক্তসঞ্চালন কিভাবে হয়, সেটি জানতে। মানুষের বহু শত বছর লেগেছে। ইতিহাস খুঁজে খ্রিস্টপূর্ব ৪০০ অব্দের গ্রিক চিকিৎসক হিপােক্রেটাসের সময় থেকে একে একে অ্যারিস্টোটল, প্রাক্সাগােরাস, গ্যালেন এবং ভেসালিয়াস হয়ে। ইবনে আল নাফিস থেকে হার্ভিসহ অন্য বিজ্ঞানীদের কথা এই বইটিতে তুলে ধরেছেন আসিমভ। এদের সবাই হৃৎপিণ্ড ধমনী ও শিরা এবং এ সম্পর্কিত অন্যান্য আবিষ্কারে অবদান রেখেছেন। বইটিতে রক্তের ভূমিকার রহস্যও আমাদের সামনে ধীরে ধীরে উন্মােচন করেছেন আসিমভ।
"বিজ্ঞানের ইতিহাস গ্রন্থমালা-৩ : জীবণু বিষয়ে আমরা যেভাবে জানলাম " বইয়ের পিছনের কভারের লেখা: জীবাণু বিষয়ে আমরা যেভাবে জানলাম বিজ্ঞান-কল্পকাহিনীর গ্রান্ডমাস্টার আইজ্যাক আসিমভ গল্প বলিয়ে হিসেবেও অতুলনীয়। বিজ্ঞানের উন্নয়নের ইতিহাস নিয়ে প্রচুর কাজ রয়েছে তার। ছেলে-বুড়াে সব পাঠকের জন্যই বিজ্ঞানের জটিল বিষয়গুলােকে সহজভাবে উপস্থাপন করেন আসিমভ। বিজ্ঞানের তথ্যে লেখাগুলাে ভরপুর থাকলেও সেগুলাে তাঁর জনপ্রিয় কল্পকাহিনীগুলাের মতই অনায়াসে পড়ে ফেলা যায়। জীবাণুরা আছে বলেই আমরা বেঁচে আছি, আবার আমাদের অস্তিত্বও প্রায়ই বিপদের মাঝে ফেলে এই জীবাণুরাই। জীবাণু নিয়ে আমরা আজকে যা জানি, সেটার জন্য পাড়ি দিতে হয়েছে দীর্ঘ পথ। জীবাণুদের অস্তিত্ব বিষয়েই একসময় অসচেতন ছিল মানুষ, এক সময় আবার ভাবা হতাে এরা আপনা আপনিই জন্মায়! লিউয়েন হুক থেকে শুরু করে লুই পাস্তুর। হয়ে আজ আমরা জীবাণু সম্পর্কে যে জ্ঞানভাণ্ডার গড়ে তুলেছি, তারই ইতিহাস এই ছােট্ট বইটিতে বিবৃত করেছেন আসিমভ। জীবাণু সম্পর্কে আমরা নিত্য নতুন তথ্য জানছি বটে, জীবাণু সম্পর্কে আমরা যেভাবে জানলাম, সেই ইতিহাস কখনাে পুরনাে হবার নয়।
বিংশ শতকের অন্যতম সেরা লেখক আইজ্যাক আসিমভ সাহিত্যজগতের এক উজ্জ্বল নাম। তিনি ১৯২০ সালের ২ জানুয়ারি সোভিয়েত রাশিয়ার পেত্রোভিচি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশবে পরিবারের সাথে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে ব্রুকলিনে শুরু করেন নতুন জীবন। ছোটবেলায়ই তাঁর বাবা তাকে লাগিয়ে দেন নিজেদের ক্যান্ডিশপে দোকানদারির কাজে। ছোট্ট আসিমভ পাঁচ বছর বয়সেই নিজে নিজে পড়তে শিখে যান। মাত্র ১৫ বছর বয়সে তিনি হাই স্কুল শেষ করেন এবং কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। এখান থেকেই তিনি ১৯৩৯ সালে ব্যাচেলর অব সায়েন্স এবং পরবর্তীতে এমএ ও পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৫৫ সালে বোস্টন ইউনিভার্সিটিতে তিনি বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে যোগ দেন। পরবর্তীতে অধ্যাপক হিসেবে পদোন্নতি হলেও তিনি লেখালেখিতে মনোনিবেশ করতে নিয়মিত শিক্ষকতা করেননি। ১৯৫০ সালে বের হয় তাঁর প্রথম বই ‘পেবলস ইন দ্য স্কাই’, যা জয় করে নেয় সাধারণ পাঠকের মন। এরপর একের পর এক লেখা বের হতেই থাকে তাঁর। তাঁর সৃষ্ট সাহিত্যকর্মের মূল আধেয় হলো সায়েন্স ফিকশন, পপুলার সায়েন্স, রহস্য ইত্যাদি। সৃজনশীল মেধাসম্পন্ন এই লেখক ৫০০টিরও বেশি বই রচনা ও সম্পাদনা করেছেন। জনপ্রিয় লেখক আইজ্যাক আসিমভ এর বই সমূহ হলো, ‘আই,রোবট (১৯৫০)’, ‘ফাউন্ডেশন (১৯৪২)’, ‘দ্য এন্ড অব ইটারনিটি (১৯৫৫)’, ‘দ্য কেভস অব স্টিল (১৯৫৩)’, ফ্যান্টাস্টিক ভয়েজ (১৯৬৬)’ ইত্যাদি। তাঁর রচিত উপন্যাসই শুধু নয়, তুমুল জনপ্রিয় তাঁর ছোটগল্পগুলোও। আসিমভ এর রচনাগুলো থেকে নির্মিত হয়েছে বেশ কয়েকটি বড় বাজেটের চলচ্চিত্র, যার মাঝে আছে ‘আই,রোবট (২০০৪)’, ‘বাইসেন্টেনিয়াল ম্যান (১৯৯৯)’ ইত্যাদি। বিশ্বজোড়া প্রকাশিত আইজ্যাক আসিমভ এর বই সমগ্র জয় করে নিয়েছে সায়েন্স ফিকশন পাঠকদের মন। তাঁর বই থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে বিশ্বের নামিদামী পরিচালক তৈরি করেছেন চলচ্চিত্র, বানিয়েছেন সিরিজ। ১৯৮৭ সালে ‘সায়েন্স ফিকশন রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশন অব আমেরিকা’ তাকে ‘গ্র্যান্ড মাস্টার অব সায়েন্স ফিকশন’ সম্মানে ভূষিত করে। তাঁর লেখা ‘ফাউন্ডেশন (ট্রিলজি)’ ১৯৬৬ সালে এনে দেয় ‘হুগো এওয়ার্ড’, ‘দ্য গডস দেমসেল্ভস’ এনে দেয় একইসাথে ‘হুগো’ ও ‘নেবুলা’ অ্যাওয়ার্ড। কল্পবিজ্ঞানের এই মহা কারিগর ১৯৯২ সালের ৬ এপ্রিল ব্রুকলিনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।