"দ্য অ্যাডভেঞ্চারস অব টম সয়ার" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: টম থাকে খালার কাছে। তার নানা ধরনের ফন্দিফিকিরে খালা অতিষ্ঠ। কিন্তু খুবই ভালােবাসেন মা-মরা ছেলেটাকে। কাজে আর পড়ালেখায় সমানে ফাঁকি দেয় সে। খালার লুকোনাে জিনিস খেয়ে ফেলে লুকিয়েই। খালা যখন টমকে ঝাড়ু হাতে খাটের নিচে খুঁজছেন, টম তখন জ্যামের বয়াম সাবাড় করছে আলমারির ভেতরে বসে। খালা ভাবেন, কী শয়তান! এক রকম চাল দুইবার চালে না! দুই দিন পরপর নতুন ফন্দি বের করে ফেলে। সে স্কুল তাে ফাঁকি দেয়ই, রাতের বেলা বেরিয়ে পড়ে। ইনজুন বন্ধু হাকলবেরি ফিনের সঙ্গে। রাত ১০টায় খালাকে ফাকি দিয়ে চলে যায় গােরস্থানে। বিস্ময়করভাবে সেখানে তারা একটি খুনের ঘটনা দেখে ফেলে গােপনে এবং পালিয়ে আসে জলদস্যু হওয়ার জন্য এই দুই কিশাের চলে যায় মিসিসিপি নদীর ওপারে ঘন জঙ্গলে। সৰাই ভেবেছে ওরা আর বেঁচে নেই। গির্জায় যখন ওদের মৃত্যু নিয়ে অনুষ্ঠানের আয়ােজন চলছে, তখন সবাইকে হতবাক করে দিয়ে ফিরে আসে ওরা। ডাকাত, খুনি আর গুপ্তধনের সন্ধানও পাওয়া যায় ওদের কল্যাণেই। টম ও হাকের দুঃসাহসিক অভিযানের মধ্যে একবার ডুব দিলে শেষ না করে ওঠা মুশকিল। এই বই প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মার্ক টোয়েন স্বীকৃতি পান এক অসাধারণ লেখক হিসেবে। বইটি হয়ে ওঠে ছােট-বড় সব পাঠকের আনন্দ-পাঠের এক দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা।
মার্ক টোয়েন জন্ম ৩০ নভেম্বর ১৮৩৫, আমেরিকার মিসৌরিতে | আসল নাম স্যামুয়েল ল্যাংহর্ন ক্লিমেন্স। বিশ্বব্যাপী মার্ক টোয়েন নামে পরিচিত। ১২ বছর বয়সে বাবা মারা যান। জীবিকা অর্জনের জন্য তাঁকে বেরিয়ে পড়তে হয়। আমেরিকার বিভিন্ন রাজ্য ঘুরে বেড়িয়েছেন। বড় হয়েছেন মিসিসিপি নদীর তীরে, এই নদীতে স্টিমবােটের পাইলট ছিলেন। অংশ নেন আমেরিকার গৃহযুদ্ধে। যুদ্ধের পর সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন। টম সয়ীর প্রকাশিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিহিত হয় ক্ল্যাসিক হিসেবে। এর পরের খণ্ড দ্য অ্যাডভেঞ্চারস অব হাকলবেরি ফিন। মৃত্যু ১৯১০।