সিরাজী ভাই বললেন, অস্ত্র জমা দিয়েছি ট্রেনিং জমা দেইনি। কথাটা কোথায় যেন শােনা শােনা মনে হয়। এই এক সমস্যা সিরাজী ভাইয়ের, সব কথাই শােনা শােনা মনে হয়, কিন্তু কোথায় শুনেছে সেটা তখনই কেউ মনে করতে পারে না। মনে হয় এমন সময় যখন তিনি থাকেন না। আজ শান্তর মনে পড়ে গেল। বলল, সিরাজী ভাই দিলেন তাে একটা ডায়লগ মেরে। ডায়লগ মারলাম কোথায়? এটা একটা সিনেমার ডায়লগ। সিনেমা! তুই সিনেমা দেখিস? বদমাশ কোথাকার। সিনেমা কি শুধু বদমাশরা দেখে! ইমরান শান্তর পক্ষে দাঁড়ায়। সিরাজী ভাই একটু ভড়কে গিয়ে বলেন, না। তা না। সিনেমা কখনও কখনও জীবনের প্রতিচ্ছবি। কিছু কিছু সিনেমা তাে আছে। ধর দেখলে তােদের মনে হবে যে এটা তােরই জীবন। নায়ককে মনে হবে তােরই পাশের বাড়ির কেউ। নায়িকাকে মনে হবে বড় বােন। বড় বােন মনে না হয়ে অন্য কিছু মনে হতে পারে? শান্ত এমনভাবে জিজ্ঞেস করে যেন এরচেয়ে নির্দোষ প্রশ্ন আর হতে পারে না। তা হতেই পারে। কোন একটা সিনেমায় তাে নায়িকাকে দেখে মনে হল যেন মা। একেবারে মায়ের ছবি। না। মানে মা-বােন ছাড়া অন্য কিছু কি... মানে বলছিলাম আর কী...। সবাইকে না। ধরেন যেসব নায়িকা বৃষ্টিতে ভিজে, নায়কের সঙ্গে লুকিয়ে দেখা করে, নাচ-গান করে... ।
Mustafa Mamun বিশ্ববিদ্যালয়ে বিষয় ছিল আইন। কিন্তু আইনজীবী আর হওয়া হয়নি। এমন আরো অনেক না হওয়ার ভিড় পেরিয়ে যতসামান্য যা হয়েছে তার পুরোটাই লেখালেখিকেন্দ্রিক। লেখক এবং সাংবাদিক, আপাতত এটাই নামের পাশের পরিচয় । জন্ম মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায়। তারপর সিলেট ক্যাডেট কলেজের রোমাঞ্চকর জীবন। সেখান থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। সম্মান প্রথম বর্ষ থেকেই ক্রীড়া সাংবাদিকতা নামের দারুণ আনন্দময় এক পেশায় জড়িয়ে পড়া। খেলা দেখতে আর লিখতে ভ্ৰমণ করা হয়ে গেছে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, স্পেন, ইতালি, সুইজারল্যান্ড, নরওয়ে, দক্ষিণ আফ্রিকা, দেশ। বন্ধু-আডডা-মানুষ এসব নিয়ে মেতে থাকতে ভালো লাগে। বই পড়া, খেলা দেখাও আছে পছন্দের তালিকায়। কিন্তু সব ছাপিয়ে শেষ পর্যন্ত সবচেয়ে পছন্দের কাজ লেখা। এই নিয়ে চলছে জীবন। ভালোই তো চলছে!