ফ্ল্যাপে লিখা কথা বাংলাদেশের সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষের অংশগ্রহণে মুক্তিযুদ্ধ হয়ে উঠেছিল মহিমাম্বিত। একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে গণমানুষের সম্পৃক্ততা লেখনীর মাধ্যমে উপস্থাপনের এক মহতি প্রয়াস ‘গণযুদ্ধ একাত্তর’ । সত্তরের নির্বাচন পরবর্তী সময়ে মুক্তিযুদ্ধের সূচনালগ্নে বঙ্গবন্ধু ও তাঁর অনুসারী জাতীয় নেতৃবৃন্দের ঐতিহাসিক ভূমিকা, বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার সংগ্রামী মানুষের মুক্তিচেতনা, নিরস্ত্র বাঙালীর দুঃসাহসিক প্রতিরোধ, মুষ্টিমেয় সশস্ত্র বাঙালি যোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ প্রতিরোধ যুদ্ধ, রাজনৈতিক ও সামরিক নেতৃত্বের ঐতিহাসিক ভূমিকা, গেরিলা ও সম্মুখ যুদ্ধের খণ্ডচিত্র, দুর্লভ কিছু ছবি, প্রামাণ্য দলিল, যুদ্ধের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সাক্ষাৎকার, পাকবাহিনী ও রাজাকারদের নির্মম ও নিষ্ঠুর অত্যাচারের লেখচিত্র, সমাজ বাস্তবতা, যুদ্ধের গতি প্রকৃতি এবং ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের মাহেন্দ্রক্ষণ ইত্যাদি বিষয় বাস্তবতার স্পর্শে ফুটে উঠেছে ‘গণযুদ্ধ একাত্তর’ গ্রন্থে। নিঃসন্দেহে গ্রন্থটি মুক্তিযুদ্ধের একটি দলিল হিসেবে পাঠককূলের নিকট সমাদৃত হবে।
সূচিপত্র * নেপথ্য কথা * বিদ্রোহ ঘরে ঘরে * মার্চ-এপ্রিলে জ্বলে উঠে বাংলাদেশ * দেশ জুড়ে বিদ্রোহ, সংঘাত * প্রাথমিক প্রশিক্ষণ * টালীখোলা ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ * চাকুলিয়ায় উচ্চতর প্রশিক্ষণ * দেশে প্রত্যাবর্তন ও যুদ্ধ প্রস্তুতি * সাহসী নারীদের দুঃসাহসী প্রতিরোধ * বর্ণী বিওপি আক্রমণ * অপারেশন দাউদকান্দি * পাক ঘাটিসমূহের অবস্থান * প্রাথমিক অপারেশন প্লান * এলাকায় প্রথম অভিযান, প্রথম অভিজ্ঞতা * মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফেরা * মহেশপুর আক্রমণ * ওজলপুর যুদ্ধ * রাজাকার বন্দী * শবেবরাতে হানাদার বাহিনীর ঘৃণ্য কান্ড * হুশুরখালী যুদ্ধ * দত্তনগর যুদ্ধ * মহেশপুর দখল * পরিশিষ্ট সমূহ * ক. মুক্তিযুদ্ধের অনিবার্য রোধে পাক সামরিক শাসকদের নানামুখী নিবর্তনমুলক পদক্ষেপ * খ. সাক্ষাৎকার * গ. জেনারেল টিক্কা খানের স্বাক্ষরে ইস্যুকৃত হুলিয়ার বিবরণী * ঘ. নির্ঘণ্ট
আবদুল আজিজ, পুরান ঢাকার এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে ৬ এপ্রিল ১৯৬৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা বিভাগ থেকে মাস্টার্স শেষ করে পৈতক ব্যবসায় যােগ দেন। ভাই-বােনের মধ্যে দ্বিতীয়। স্ত্রী লিটুল জাহান মীরা ও দুই কন্যাসন্তানের (আফরিনা আজিজ ও আফসানা আজিজ) জনক। পারিবারিক ঐতিহ্য অনুযায়ী পৈতৃক ব্যবসার সাথে জড়িত। ২০১১ সালে চলচ্চিত্র প্রযােজনার সাথে যুক্ত হন এবং প্রতিষ্ঠা করেন জাজ মাল্টিমিডিয়া’ নামে একটি চলচ্চিত্র প্রযােজনা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার পর থেকে এপর্যন্ত প্রায় ৪৫টি সিনেমা প্রযােজনা করেছেন এবং আগামীতে দেশী-বিদেশী চলচ্চিত্র প্রযােজনা প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করছেন বাংলা চলচ্চিত্রকে বিশ্ব দরবারে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে। তাঁর প্রযােজিত সিনেমাগুলাের মধ্যে দিয়ে অর্জন করেছেন দেশী-বিদেশী নানান পুরস্কারসহ দেশের সর্বোচ্চ সম্মানজনক রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। তারচেয়ে বড় পুরস্কার পেয়েছেন দেশ-বিদেশের অসংখ্য মানুষের। ভালােবাসা ও সম্মান। আবদুল আজিজ, ব্যক্তিজীবনে স্পষ্টভাষী ও স্বাধীনচেতা মানুষ। ভালােবাসেন বই পড়তে, কবিতা লিখতে, সিনেমা দেখতে ও ঘুরে বেড়াতে। ঘুরে বেড়িয়েছেন দেশের আনাচেকানাচে প্রত্যন্ত অঞ্চলসহ বিশ্বের অসংখ্য দেশ।