"কালচক্র" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: শীতে তার কষ্ট হচ্ছে না ঠিক। কিন্তু অন্য এক কষ্ট শরীর কাঁপিয়ে ভেতরে ভেতরে নীল করে দিচ্ছে। ভয়ানক সেই কষ্টের নাম স্মৃতিকাতরতা। মানুষের জীবন হারানাের জীবন। জন্মের পর থেকেই হারানাের তালিকাটা তাই মৰ্ঘা হতে থাকে। শৈশব হারায়, কৈশাের হারায়, হারিয়ে যায় যৌবনও। হারায় বাবা-মা, স্বামী-স্ত্রী, কারাে কারাে সন্তান। একসময় চুল, দাত, এমনকি চোখের দৃষ্টিশক্তিও হারায় মানুষ। জীবন থেকে এভাবে একের পর এক সবকিছু হারাতে থাকলেও স্মৃতি হারায় না। বুকের গহিনে ঠিকই গুটিশুটি মেরে থেকে যায়। স্মৃতির প্রতি তীব্র কাতরতা থেকে তাই আমৃত্যু মুক্তি মেলে না মানুষের। আশালতা দেবীরও মেলেনি...' জীবনের এমন অজস্র জটিল হিসাব-নিকাশের গল্প নিয়ে এ উপন্যাস। গল্প অসংখ্য হারিয়ে ফেলা অনুভূতিরও। কাহিনী যত এগােবে, তত উন্মােচিত হবে মৃত এক শিল্প অঞ্চলের বহুমাত্রিক মানুষের বৈচিত্র্যময় জীবনবােধ। ‘কালচক্র পাটকলনির্ভর নদীঘেরা জনপদের ওপর রচিত এমন এক মানবিক আখ্যান, যেখানে জীবনের ভাঙা-গড়া, আনন্দ-বেদনার গল্পেরা চক্রাকারে বয়ে চলে অবিরাম। "দিবানিশি" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: মারফতি নূরে উদ্ভাসিত অলক্ষে বহমান এক জনপদের কাহিনি এ উপন্যাসে বিবৃত হয়েছে সহজিয়া জীবনদর্শনে। আছে শিকড়ে ফিরতে চাওয়া ও জলের গর্ভে সব হারানাে দুই নারীর অদম্য লড়াই। এ গল্প মনসা দেবীর অভিশাপের চমকপ্রদ এক লােকজ মিথেরও। কালচক্র’র পর আবদুল্লাহ আল ইমরান আবারাে তাঁর মােহময় লেখনীতে তুলে আনলেন চিরায়ত বাংলার প্রত্যন্ত এক জনপদের দিন-রাতের গল্প। "এইসব ভালোবাসা মিছে নয়" বইয়ের কথাঃ জীবন কখনো কখনো থমকে যায়। অদৃশ্য সুতোয় বাঁধা পড়ে যায় সব অনুভূতি। আষ্টেপৃষ্ঠে সেই বাঁধনে কেবল জড়িয়ে যাওয়া ছাড়া আর উপায় থাকে না। আটকে যাওয়া জীবন নিয়েই মৃত মানুষের মতো সবাই কি সামনে এগোয়? নাকি অদ্ভুত উপায়ে সেই বাঁধন খুলতে চায় কেই। জীবনের সবচেয়ে উজ্জ্বল মুহূর্তটা শেষ হয়ে গেল। অচেনা পাখি ধরার আগেই ফুডুত করে উড়ে যাওয়ার মতোই! আরিফের কাছে জীবনটা তাই অতীত দিনের খণ্ড খণ্ড স্মৃতির এক অন্তহীন প্রদর্শনী। কিন্তু মায়া কি পেরেছিল ওর জীবনের সবচেয়ে বর্ণিল মুহূর্তগুলোকে অতীত হওয়ার আগেই অনুভব করতে? আরিফ কি তাকে সেই সুযোগ দিয়েছিল? দ্বিধান্বিত মায়ার কাছে আরিফ আসলে কী চায়? প্রিয় পাঠক, বিপুলা এই পৃথিবীটা আসলে বৈচিত্র্যময় গল্পের মায়াবী এক জাদুঘর। স্মৃতির পুরাকীর্তি নিয়ে আমাদের সবাই এতে বিচরণ। তার মধ্য থেকে আপনাকে শোনাতে চলেছে দুটি ভিন্ন মানুষের কাছে আসার এক অদ্ভুত গল্প। আপনি এদের চেনেন কিংবা আপনিই হয়তো এদের একজন! কারণ, এইসব ভালোবাসা মিছে নয়!
শৈশব, কৈশোরের মোহগ্রস্ততা থেকে লেখালেখি করছেন এক যুগে। বুকে মফস্বলের সবুজ অনুভূতি নিয়ে খুলনার ছেড়ে ঢাকা এসেছিলেন। ঝলমলে নাগরিক প্রলোভনেও মুছে যায়নি সে গেরুয়া অনুভূতি। যায়নি বলেই ইমরানের লেখালেখি জুড়ে থাকে প্রান্তিক মানুষের নিয়ত সংগ্রাম, উঠে আসে বারোয়ারি উপলব্ধিতে ঠাসা মোহান্ধ জীবনের গল্প। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে সাংবাদিকতা পেশা বেছে নিয়েছেন। অনুসন্ধানী সাংবাদিক হিসেবে কাজ করছেন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আল ইমরান জিতেছেন ২১তম টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতার (সংসদীয় ধারা) চূড়ান্ত পর্বের শ্রেষ্ঠবক্তার পুরস্কারও। এছাড়াও নৈমত্তিক নাগরিক ভোগান্তিতে সচেতনতা তৈরিতে ‘ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো’র স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন ‘যমুনা টেলিভিশন দুরন্ত বাংলাদেশ’ সম্মাননা। স্ত্রী সানজিদা পারভীন তিন্নি একজন শৌখিন চিত্রশিল্পী। পেশায় প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।