“হৃদয়ের দখিন দুয়ার" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ মানুষের জীবনে প্রিয় মানুষের উপস্থিতি সব সময় চিরস্থায়ী হয় না। কোনাে সম্পর্ক টেকেও না চিরদিন। ভাঙাগড়ার মধ্য দিয়েই এগােয় ছােট্ট এ জীবন। মানুষ যত বড় হয়, জীবন থেকে ক্রমে হারিয়ে যেতে থাকে প্রিয় চরিত্রেরা। তবে মানুষটা হারিয়ে গেলেও রেখে যায় মন কেমন করা স্মৃতি। হয়তাে সম্পর্কটা টেকেনি, হয়তাে হারিয়েছে সমুদয় অধিকার, কিন্তু গােলাপি টিপটা থেকে গেছে মানিব্যাগে, ক্যালেন্ডারের পাতায়, যে টিপ হঠাৎ হঠাৎ ভীষণ আবেগতাড়িত করে দেয়, ঝড় তােলে হৃদয়ে। বইয়ের ভাঁজে লুকিয়ে রাখা আস্ত গােলাপ যখন বেরিয়ে আসে নিঘুম কোনাে রাতে, কত কথা মনে পড়ে যায়, কত ব্যথা জাগে বুকে! এভাবেই নাকে জমা বিন্দু বিন্দু ঘাম মােছা রুমাল, রাত জেগে লেখা চিঠি, দাঁতের আঘাতে তেলে যাওয়া কলমের খাপ, ক্লিপে লেগে থাকা চুলের ঘ্রাণ-হারানাে প্রিয় মানুষটাকে জাগিয়ে রাখে বুকে, কিছুতেই তারে দেয় না হারাতে! পরিস্থিতির চাপে, মামুলি ভুল-বােঝাবুঝিতে কিংবা জীবনের অমােঘ টানে মানুষটা হয়তাে হারায় জীবন থেকে, হয়তাে শেষবার ‘ভালােবাসি' কথাটাও বলা হয় না, কিন্তু বুকপাজরে থরে থরে সাজানাে স্মৃতি তারে ভুলতে দেয় না। টুকরাে উপহার, কাক্ষিত স্পর্শ, একসঙ্গে হেঁটে চলা হেমন্ত বিকেল তাকে বাঁচিয়ে রাখে, প্রতিটা দুপুর, কত যে বছর!
শৈশব, কৈশোরের মোহগ্রস্ততা থেকে লেখালেখি করছেন এক যুগে। বুকে মফস্বলের সবুজ অনুভূতি নিয়ে খুলনার ছেড়ে ঢাকা এসেছিলেন। ঝলমলে নাগরিক প্রলোভনেও মুছে যায়নি সে গেরুয়া অনুভূতি। যায়নি বলেই ইমরানের লেখালেখি জুড়ে থাকে প্রান্তিক মানুষের নিয়ত সংগ্রাম, উঠে আসে বারোয়ারি উপলব্ধিতে ঠাসা মোহান্ধ জীবনের গল্প। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে সাংবাদিকতা পেশা বেছে নিয়েছেন। অনুসন্ধানী সাংবাদিক হিসেবে কাজ করছেন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইটি সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা আবদুল্লাহ আল ইমরান জিতেছেন ২১তম টেলিভিশন বিতর্ক প্রতিযোগিতার (সংসদীয় ধারা) চূড়ান্ত পর্বের শ্রেষ্ঠবক্তার পুরস্কারও। এছাড়াও নৈমত্তিক নাগরিক ভোগান্তিতে সচেতনতা তৈরিতে ‘ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো’র স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন ‘যমুনা টেলিভিশন দুরন্ত বাংলাদেশ’ সম্মাননা। স্ত্রী সানজিদা পারভীন তিন্নি একজন শৌখিন চিত্রশিল্পী। পেশায় প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা।