"জ্যোৎস্নাঘর" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: জোৎস্নাঘর-জোৎস্নার উপাখ্যান। সেই সাথে ভালােবাসার উপাখ্যানও। অভি ও নীলার বিয়ে হয়ে যায় বেলি ফুলের মালা পরিয়ে, বেকার জীবনে। অভি স্বপ্ন দেখে-একদিন তার একটা চাকরি হবে। নীলা স্বপ্ন দেখে- একদিন একটা জোৎস্নাঘর হবে। ভালােবাসার সেই জোৎস্নাঘরের ছাদে বসে জোৎস্না দেখবে, জোৎস্নার বৃষ্টিতে ভিজবে, ভালােবাসার মানুষের হাত ধরে জোৎস্না দেখতে দেখতে রাত পার করে দেবে। শিবেন ও দিপালি বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে ছাত্ররাজনীতি করত। মিছিলে পরিচয়। তারপর ভালােবেসে বিয়ে করে দুজনে। বিয়ের পর দুজনকেই বাড়ি থেকে ত্যাজ্য করে দেয়। তুমুল বৃষ্টির দিনে এবং অভাবের দিনগুলিতে বৃষ্টিতে হাত ধরে ভিজে শিবেন ও দিপালি। স্বপ্ন দেখে- একদিন অভাব দূর হবে, ভালােবাসার একটা ঘর হবে ওদের। অভির বাবা হাসান মাস্টার পেনশন পাবেন। পেনশনের পর নদীরপাড়ে একটি বাড়ি হবে। এই স্বপ্নটা খুব করে দেখেন তিনি। মিলি স্বপ্ন দেখে- একদিন তাদের সবার দুঃখ কেটে যাবে। শিহাব স্বপ্ন দেখে থিয়েটার করে একদিন অনেক নাম করবে। পরি ও মােহন স্বপ্ন দেখে- একদিন অনেক দূরের কোনাে নদীর চরে গিয়ে একটি বাড়ি করবে। প্রবল জোৎস্নারাতে মােহন পরিকে নিয়ে নৌকায় বসে গান করবে। জোৎস্নাঘর-এইরকম কিছু মানুষের স্বপ্ন দেখার। উপাখ্যান। জোস্নাঘর স্বপ্ন পূরণের উপাখ্যান। যেখানে আছে জোৎস্নার শহর।