"ট্রেজার আইল্যান্ড" বইটির মুখবন্ধ থেকে নেয়াঃ ১৮৮১ সালে রবার্ট লুইস স্টিভেনসন স্কটল্যান্ডের একটা ইতিহাস লেখার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু তা বাদ রেখে আরম্ভ করলেন দারুণ এক কাহিনি, নাম 'দি সি কুক'। গল্পটি বলা হলাে একটি ছােটো ছেলে জিম হকিন্সের মুখ দিয়ে। সে এক চমৎকার এবং শিহরণ জাগা কাহিনি। সতেরাে দিন ধরে তিনি একটানা লিখে চললেন। লেখা যখন চলছে তখন তার সাহিত্যিক বন্ধু লন্ডন থেকে তার সাথে দেখা করতে এলেন। বন্ধুর নাম ডক্টর অ্যালেকজান্ডার জ্যাপ। তাকে দিলেন উপন্যাসের পাণ্ডুলিপি। পনেরােটা পরিচ্ছেদ লেখা হয়েছিলাে। জ্যাপ সেগুলাে নিয়ে লন্ডনে ফিরলেন এবং ইয়ং ফোসের সম্পাদক হেন্ডারসকে তা দিলেন। সাহিত্য হেন্ডার্স পাণ্ডুলিপিটা নিলেন। কিন্তু তার সন্দেহ, এ লেখা ছােটো পাঠকরা পছন্দ করবে কি-না মনে তার কিছুটা দ্বিধা প্রকাশক হেন্ডার্স লেখাটার 'দি সি কুক’ নামটা বদলে দিলেন। বইয়ের শুরুতে ট্রেজার আইল্যান্ডের কথা আছে। তাই তিনি নতুন নাম দিলেন ‘ট্রেজার আইল্যান্ড'। লেখাটা কিছুটা অবহেলায় পত্রিকার শেষের দিকে ছাপতে আরম্ভ করলেন। পত্রিকায় প্রকাশের সময় লেখাটি তেমন সাড়া জাগালাে না। লেখকের নাম দেওয়া হয়েছিলাে ক্যাপটেন্ জর্জ নর্থ। সেখানে আসল লেখক হিসেবে স্টিভেন্সনের নাম ছিলাে না। ‘ট্রেজার আইল্যান্ড’ পত্রিকায় প্রকাশের সময় সাড়া না জাগালেও তিন বছর পরে যখন বাজারে বই আকারে প্রকাশিত হলাে তখন বই বিক্রি হতে লাগলাে হুড় হুড় করে। তােলপাড় হলাে বিশ্ব। এখানেই থেমে নেই, সেই বই আজো সবাই পড়ছে সমান আগ্রহ নিয়ে। এটি বিশ্বখ্যাত বইয়ের তালিকায় নাম লেখানাে একটি বই। পৃথিবীর রাষ্ট্রীয় সকল ভাষায় বইটির অনুবাদ করা হয়েছে।
খায়রুল আলম মনির একজন লেখক, গবেষক ও বিজ্ঞান বিষয়ক বই লেখার জন্য বাজারে বেশ আলােড়ন সৃষ্টি করেছে। তিনি বয়সে একেবারে তরুণ । খুব অল্প সময়ের মধ্যে এতােগুলাে গ্রন্থ রচনা সত্যিই বিস্ময়কর। খায়রুল আলম মনির পড়াশােনা করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ১৯৯৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে বি.এস.এস সম্মান এবং ১৯৯৫ সালে একই বিষয়ে এম.এস.এস ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এছাড়াও বেশ কয়েকটি একাডেমিক ডিগ্রি অর্জন করেছেন কৃতিত্বের সাথে । ভ্রমণ করেছেন বেশ কয়েকটি দেশ। তার মৌলিক রচনা প্রায় অর্ধশত। তার রচিত গ্রন্থাবলির মধ্যে রয়েছে- ‘জীবনের জন্য বিজ্ঞান : ছােটদের বিজ্ঞান নিয়ে খেলা আধুনিক বিশ্বের বিজ্ঞান : বিজ্ঞান নিয়ে ভাবনা’ সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে।