"বেলা অবেলার গল্প" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ সুলতাকে ভালােবেসে বিয়ে করেছিল রবি পাটোয়ারি। ত্রিশ বছর সংসার করেছে একসাথে আমেরিকায়। ক্যান্সারে স্ত্রীকে হারিয়েছে। দেশে এসেছে সম্পত্তি বিক্রি করে স্থায়ীভাবে আমেরিকায় ফিরে যাবার প্ল্যান করে। ট্রেনে দেখা হয় মনিরার সাথে। সুলতার শৈশবের বান্ধবী। কলেজে দু’বছর রবির সহপাঠি। সংসার ভেঙ্গেছে মনিরার বহুকাল আগে। বন্ধু জাহিদের পার্টিতে আসে স্কুলের বন্ধু ইরফান। পথ শিশুদের হাতে খড়ি পাঠশালা চালায়। জীবনকে অর্থবহ করার এই প্রয়াস রবির ভালাে লাগে। ভাবে দেশের মানুষের কাছে তারও কি কোনাে দায় নেই? একই পার্টিতে আলাপ হয় দোয়ার সাথে। বছর কয়েক আগে এক ছেলেকে নিয়ে বিধবা হয়েছে। রবির আশ্রয় প্রার্থী। আমেরিকায় ছেলেকে মানুষ করবে আশা তার। পরিচয়ের পরের দিনই রেস্তোরায় ডেকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় দেয়া। রবির মনে ঝড় উঠে। তার ঝাপ্টা লাগে মনিরার একাকি পৃথিবীতে। রবি মনিরাকে নিয়ে বাংলাদেশে সংসার গড়তে চায়। বিচলিত মনিরা অস্থির হয়ে হাজারাে প্রশ্নে নিজেকে ক্ষত-বিক্ষত করে। কি দেবে রবি তাকে? সে নিজেই বা কি চায়? এতগুলাে বছর একলা পার করে এই বয়সে সব চাওয়া কি শােভন আর সঙ্গত? বয়সের সাথে সাথে জীবনের গল্প বদলে যায়। প্রাপ্তির আকাঙ্ক্ষা ভিন্ন হয়। প্রিয়জনের হৃদয়ে বাসা বাঁধবার যে চিরন্তন দাবি ভালােবাসার, তাও কি বদলায়? জীবনের কোন বেলাতেই? এই উপন্যাসে তারই অন্বেষণ।
নোট স্টেলাইট: bingale2116 হামিদ রেজা খান টাঙ্গাইলে জন্ম। শৈশব এবং কৈশোর কেটেছে চট্টগ্রামে। পেশাগত শিক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পেশায় ফার্মাসিস্ট। উনিশ'শ তিহাত্তর সাল থেকে নিউইয়র্কে প্রবাসী। প্রথম ছাপার অক্ষরে লেখা স্কুল ম্যাগাজিনে, কবিতা। অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র যখন। সেই থেকে লেখালেখিতে বিচরণ। কবিতা, প্রবন্ধ আর ছোট গল্পের আঙ্গিনায়। তার লেখা প্রকাশ পেয়েছে বিভিন্ন সংকলন, সাহিত্য সাময়িকী আর লিটল ম্যাগাজিনে। নিউইয়র্কে বাংলাদেশী ইমিগ্র্যান্টদের সংগঠিত করার এবং বাংলা সংস্কৃতি চর্চার উদ্যোগে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। আশির দশকের শুরুতে দুই বাংলার কতিপয় সাহিত্যসেবীদের উদ্যোগে কোলকাতা থেকে ছাপিয়ে আনা ত্রৈমাসিক পত্রিকা আন্তরিক-এর সম্পাদকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নব্বইয়ের প্রথম