শামীম হোসেন ও সামিনা বেগম মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাশ্রয়ী জীবন পরিক্রমায় পারস্পরিক ভালোবাসার সন্ধান পায়। সংসার গড়ে আমেরিকায়। ওদের তিন ছেলেমেয়ে, তালিব, তানিম আর তাপ্তী। নিজ গ্রামের মানুষের কল্যাণ ভাবনা ছিল শামীম হোসেনের। তার মৃত্যুতে ছেলেমেয়েরা পিতার শুভকর্মে জড়িত হয়। মেজছেলে তানিম হয় অগ্রণী। শেষাবধি গল্প গতি পায় তানিমকে ঘিরে। সবকিছু ছাপিয়ে এই গল্পে প্রাধান্য পায় ভালোবাসার স্বরূপ সন্ধান। এক বাদলমুখর সন্ধায় সামিনার হাতে ফুল তুলে দিয়ে প্রেম প্রতিষ্ঠা করেছিল শামীম হোসেন। মনের সাথে শরীর যুক্ত করার অপারগতায় ব্যর্থ হয় তানিম-শালিনীর প্রেম। কমলা ভালোবাসে তানিমকে, কিন্তু বিশ্বাস করে না বন্ধনে। ভালোবাসায় শর্ত জুড়ে রূপলীনা। আমেরিকায় বড় হওয়া তানিম নারীর দেহের ভাষা বোঝে, সাড়া দিতে জানে তার সরল উচ্চারণে। রূপলীনার চোখের ভাষা, কণ্ঠের কম্পন আর কথার অন্যপাঠ তার অজানা। চিরকাল প্রেমিক প্রেমিকা নিজের মুখোমুখি হয়ে যে প্রশ্ন করে আসছে নিজেকে, সেই অনাদিকালের প্রশ্ন এই গল্পেও স্থান পায়, ভালোবাসা কি শুধুই আবেগ, পরস্পরকে পাওয়ার দুর্নিবার বাসনা; সম্ভব-অসম্ভব ও বাস্তবতা দিয়ে বিচারের বিষয় নয়? ভালোবাসায় কোনটা সঠিক আর কোনটা বেঠিক কে দেবে তার উত্তর?
নোট স্টেলাইট: bingale2116 হামিদ রেজা খান টাঙ্গাইলে জন্ম। শৈশব এবং কৈশোর কেটেছে চট্টগ্রামে। পেশাগত শিক্ষা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। পেশায় ফার্মাসিস্ট। উনিশ'শ তিহাত্তর সাল থেকে নিউইয়র্কে প্রবাসী। প্রথম ছাপার অক্ষরে লেখা স্কুল ম্যাগাজিনে, কবিতা। অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র যখন। সেই থেকে লেখালেখিতে বিচরণ। কবিতা, প্রবন্ধ আর ছোট গল্পের আঙ্গিনায়। তার লেখা প্রকাশ পেয়েছে বিভিন্ন সংকলন, সাহিত্য সাময়িকী আর লিটল ম্যাগাজিনে। নিউইয়র্কে বাংলাদেশী ইমিগ্র্যান্টদের সংগঠিত করার এবং বাংলা সংস্কৃতি চর্চার উদ্যোগে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। আশির দশকের শুরুতে দুই বাংলার কতিপয় সাহিত্যসেবীদের উদ্যোগে কোলকাতা থেকে ছাপিয়ে আনা ত্রৈমাসিক পত্রিকা আন্তরিক-এর সম্পাদকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নব্বইয়ের প্রথম