"হেরেমের নায়িকা" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: ঐতিহাসিক উপন্যাস যেমন নয় শুধু উপন্যাস, তেমনি নয় নিখুঁত ইতিহাস। কতকগুলাে ঐতিহাসিক চরিত্রকে একটা বিশেষ পরিধির মধ্যে বিচরণ করতে হয় ঔপন্যাসিকের উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার সহায়ক হিসেবে। সে কারণে চরিত্রগুলাে ঐতিহাসিক হলেও তাদের কার্যাবলী এবং লেখক বর্ণিত ঘটনা প্রবাহ অনেক সময় ইতিহাসের মানদণ্ড মেনে চলতে পারে না। ‘হেরেমের নায়িকাতেও হয়তাে পারেনি। তবু ইতিহাসকে বিকৃত না করেই উপন্যাস সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়েছে আন্তরিকভাবে। মােগল ইতিহাসে হেরেম বাসিনীদের মধ্যে অমরতা লাভ করেছেন যে কয়জন প্রতিভাময়ী নারী সম্রাজ্ঞী নূরজাহান, মমতাজ মহল, শাহজাদী জেবুননেসা ও শাহজাদী জাহানারা উল্লেখ্যযােগ্য। জাহানারার কুমারী জীবনের করুণ কাহিনী অনেকের জানা আছে। বৃদ্ধ শাহজাহানের বন্দী জীবনের একমাত্র সঙ্গী চিরকুমারী জাহানারা অপূর্ব সেবাপরায়ণতায় উজ্জ্বল চিত্র পাঠকের সম্মুখে তুলে ধরা হয়েছে। তিলে তিলে কিভাবে তিনি তার জীবন-যৌবনের রূপ-রসসৌন্দর্য-ঐশ্বর্য বিসর্জন দিয়ে স্বেচ্ছায় বন্দিনী জীবন অতিবাহিত করেছিলেন তাও জানা যাবে বইটিতে। কিন্তু এই চির কুমারীত্বের অন্তরালে যে বিষাদময় অধ্যায়টি ইতিহাসের পাতায় অনুল্লেখ রয়েছে তা জানেন না অনেকে। সেই অজানা হৃদয় বিদারক কাহিনীকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে হেরেমের নায়িকা।