"কাবুলীওয়ালার বাঙালি বউ" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ কোলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রথম সংস্করণের প্রচ্ছদ ব্রাহ্মণ পরিবারের মেয়ে হয়েও সবাইকে উপেক্ষা করে বিয়ে করেছিলেন ভিনদেশি এক মুসলিম যুবককে। বিশ্বাস করে পাড়ি দিয়েছিলেন শ্বশুরবাড়ি সুদূর আফগানিস্তানে। কিন্তু সেখানে গিয়ে বুঝলেন, এরা ভণ্ড, ধর্মান্ধ। ওদেশে একবার কেউ ঢুকলে আর বেরােতে পারে না। লেখিকা বন্দী হলেন শ্বশুরবাড়ি নামক সেন্ট্রাল জেলে। যার হাত ধরে গিয়েছিলেন সেই স্বামীও ফেলে রেখে পালিয়ে এলেন ভারতে, কোলকাতায় যে তার সুদের ব্যবসা। নিজের বলতে কেউ নেই। চলল অকথ্য অত্যাচার। শারীরিক, মানসিক। অনাহারে অনিদ্রায় দিন কাটে। বন্ধু স্বজনরা তাঁকে টানে। মন স্বদেশে ফেরার জন্য ব্যাকুল। মন যেতে চায় মা-বাবার স্নেহের ছায়ায়। অথচ তাঁরা কেউ-ই তার হদিস জানেন না। দীর্ঘ আট বছর অসহ্য যন্ত্রণা সহ্য করতে করতে তিনি বলা চলে মরিয়া। প্রতিজ্ঞা : এদের পরাস্ত করবেন যে করেই হােক, যেমন করেই হােক। কাবুলে তখন তালেবান বনাম রাব্বানির যুদ্ধ তুঙ্গে। অগত্যা পাকিস্তানে পালিয়ে চলে যান। উদ্দেশ্য, সেখানে ইন্ডিয়ান অ্যামবেসির কর্মীরা সাহায্য করবে দেশে ফিরতে। বিধি বাম। অ্যামবেসির বড়কর্তা প্রস্তাব দেন শয্যাসঙ্গিনী হলেই পাবেন মুক্তি। অথচ পাকিস্তানের পুলিশ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয় কোনও কিছুর মূল্যে নয়। সেখানেও বাধ সাধল তার শ্বশুরবাড়ির লােকজন। ফলে বাধ্য হলেন আফগানিস্তানে ফিরে যেতে। এবার শ্বশুরবাড়ি আর সেন্ট্রাল জেল নয়, তিহার জেলে পরিণতি। -এরপরও কী অসম্ভব রকমের বিপর্যয় ঘটেছে লেখিকার জীবনে, সেই ভয়ার্ত করুণ কাহিনীই এ-বইয়ে লিপিবদ্ধ।