"আগুন রঙের বুলেট" বইয়ের ফ্ল্যাপের লেখা: দশটি কাহিনি—দশটি বুলেট। তার মধ্যে প্রথমটি আবার আগুন রঙের। অনীশ দেবের কলমে দশটি নতুন কাহিনি। বুলেট দিয়ে এই সংকলনের শুরু, আর সংঘর্ষ দিয়ে শেষ।...তারপর ? ‘প্রথমে রিভলভার তুলব আমি, তারপর তুই। তারপর রিভলভারের নল রগে ঠেকিয়ে ফায়ার করে আমরা দুজনেই সুইসাইড করার চেষ্টা করব। প্রথমে আমি, তারপর তুই। এবার ওপরওয়ালা যাকে আশীর্বাদ করবে সে থাকবে, আর অন্যজনের খুলি, ঘিলু সব ঘেঁটেঘুটে চৌচির হয়ে ছড়িয়ে পড়বে এই পলিথিনের ওপরে। ব্যস, “ভগবানের লটারি” শেষ। একচিলতে হাসল নােনা। তারপর বেদির দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করতে লাগল। একসময় ঘুরন্ত বেদি থামিয়ে দিল বিলু। কাচার ট্রে-র ওপর থেকে কাপড়ের ঢাকনাটা তুলে নিল। দুটো চকচকে রিভলভার—একইরকম দেখতে। তবে একটায় আছে মৃত্যু, অন্যটায় জীবন। ওপরদিকে মুখ তুলে তিনবার নমস্কার জানাল নােনা। মা কালীর ফটোর দিকে তাকিয়ে একবার চোখ বুজল। রােগা ছেলেটা তখন কাঁদছে। হিজিবিজি বকছে। নােনা একটা রিভলভার তুলে নিল। নিজের ডানরগে ঠেকাল। রােগা ছেলেটা অন্য রিভলভারটা তুলে নিল। নােনার দিকে তাকিয়ে অপেক্ষা করতে লাগল। নােনা চোখ বুজে ট্রিগার টিপল।
Onish Dev জন্ম ২২ অক্টোবর ১৯৫১, কলকাতায়। স্কুলের পড়াশোনাঃ হিন্দু স্কুল। সাম্মানিক পদার্থবিজ্ঞানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক এবং ফলিত পদার্থবিজ্ঞানে বি. টেক, এম.টেক. ও পিএইচ.ডি.। পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি স্বর্ণপদক ও একটি রৌপ্যপদক। কর্মজীবনে ১৯৮৩ সাল থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে লেকচারার। ১৯৯০ থেকে ওই বিভাগেই রিডার, আর ১৯৯৮ থেকে প্রফেসার। লেখালেখির শুরু ১৯৬৮-তে, অধুনালুপ্ত ‘মাসিক রহস্য পত্রিকায়। প্রকাশিত কয়েকটি গল্পগ্রন্থঃ অনীশের সেরা ১০১, অশরীরী ভয়ংকর, দেখা যায় না শোনা যায়, তেইশ ঘণ্টা ষাট মিনিট, ষাট মিনিট তেইশ ঘণ্টা, বারোটি রহস্য উপন্যাস, পাঁচটি রহস্য উপন্যাস, ভয়পাতাল, কিশোর কল্পবিজ্ঞান সমগ্র, বিশ্বের সেরা ভয়ংকর ভূতের গল্প, ভৌতিক অলৌকিক, সেরা সায়েন্স ফিকশন সমগ্র ইত্যাদি। জনপ্রিয়-বিজ্ঞান গ্রন্থঃ বিজ্ঞানের হরেকরকম, সহজ কথায় ইন্টারনেট, কেমন করে কাজ করে যন্ত্র, রোমাঞ্চকর ধূমকেতু ইত্যাদি। প্রধান নেশা ও রহস্য-গোয়েন্দা, অলৌকিক ও কল্পবিজ্ঞান কাহিনি লেখালেখি, জনপ্রিয় বিজ্ঞানচর্চা, বিজ্ঞান গবেষণা এবং কম্পিউটার। পুরস্কারঃ প্রাচীন কলাকেন্দ্র সাহিত্য পুরস্কার (১৯৯৮), ড. জ্ঞানচন্দ্র ঘোষ জাতীয় পুরস্কার (১৯৯৯), পাই নিয়ে রূপকথা বইয়ের জন্য দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের নরসিংহ দাস পুরস্কার (২০১২) ও দীনেশচন্দ্র স্মৃতি পুরস্কার (২০১৩)। সম্পাদনা করেছেন অল্পকালজীবী কয়েকটি মাসিক পত্রিকা ও বিমল করের ‘গল্পপত্র’ পত্রিকার বিশেষ কল্পবিজ্ঞান সংখ্যা।