"ইয়া আবি! জাওয়্যিজনি" বইয়ের পিছনের কভারের কথা: আব্বু! কিছু কথা বলব বলে বেশ কয়েক বারই আপনার কামরা পর্যন্ত গিয়েছিলাম। কিন্তু বলতে পারিনি! কেন বলতে পারিনি? বলতে না পারার যথেষ্ট কারণ এ সমাজে বিদ্যমান! আব্বু, আপনার এ সন্তান গুনাহ থেকে বেঁচে থাকতে চায়। পবিত্র জীবনযাপন করে দুনিয়া-আখিরাত উভয় জাহানে কল্যাণ লাভ করতে চায়। সে ফিতনার অন্ধকারে হারিয়ে যেতে চায় না। সে ভুলে যেতে চায় না নিজের মুসলিম পরিচয়। আব্বু, আপনার সন্তানের হৃদয়ের আকুতিটুকু জানতে একটি বার হলেও এ বইটির প্রতিটি বাক্যের ওপর নজর বুলাবেন। আশা করি, আপনার সন্তানের প্রকৃত সফলতার কথা ভেবে তার নেক আগ্রহে সম্মতি প্রকাশ করবেন। ইতি, আপনার আদরের সন্তান...
"ইয়া আবি! জাওয়্যিজনি" বইয়ের প্রকাশকের কথা: কোনাে সন্তান পড়ালেখায় অমনােযােগী হলে মা-বাবা খুব পেরেশান হন। বেকার ছেলেটির কখন চাকরির ব্যবস্থা হবে, এ নিয়ে তারা বড় উদ্বিগ্ন থাকেন। কর্মজীবী সন্তানটি কখনাে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হলে, এ নিয়েও অনেক আফসােস করেন। সন্তানের শারীরিক অসুস্থতাও তাদের চিন্তিত হওয়ার কারণ। কিন্তু কোনাে মা-বাবা কি এ ভেবে কখনাে চিন্তিত হন যে, আমার সন্তান তাে গুনাহে জড়িয়ে পড়েছে, তাকে গুনাহ থেকে বাঁচানাে আবশ্যক; চারদিকে ফিতনার জাল পাতানাে, তাকে এ ফিতনা থেকে নিরাপদ রাখা দরকার!? বস্তুত, মা-বাবারা সন্তানের পড়ালেখা কিংবা আর্থিক উন্নতি-অবনতির হিসেবটাই বেশি করেন; তাদের চারিত্রিক অবস্থার প্রতি মােটেও খেয়াল করেন না। অথচ, সন্তানের পড়ালেখা, আয়-রােজগার— এসবে কমতি হলে পরকালে তাদের ক্ষতিগ্রস্ত হবার ভয় নেই। কিন্তু যদি তাদের চারিত্রিক অবনতি ঘটে, তারা গুনাহে জড়িয়ে পড়ে, বেদীনদের মতাে জীবনযাপন করে—তবে তাে পরকালে তাদের কঠিন আজাব ভােগ করতে হবে। হে সন্তানের অভিভাবকগণ, একটু ভেবে দেখুন! বইটি পড়ে দেখুন, সন্তানের ব্যাপারে আপনার আরও কিছু করণীয় আছে।
"ইয়া আবি! জাওয়্যিজনি" বইয়ের সূচিপত্র: শুরুর কথা.....১১ কেস স্টাডি.....১৩ সচ্চরিত্রা নারী.....১৭ বিবাহের গুরুত্ব ও মর্যাদা.....১৯ বিবাহের উপকারিতা.....১৯ পাপের অংশীদার.....২৪ পরামর্শ.....২৬ বিয়ের ব্যাপারে উদার হােন.....২৮ আপনিই জিম্মাদার.....২৯ পিতার প্রতি সন্তানের হৃদয়ের আকুতি!.....৩১ কতিপয় বাস্তব অভিজ্ঞতা.....৩১ বিবাহ দেরিতে করার কারণসমূহ.....৩২ সমাধানের প্রস্তাবনা.....৩৫
Title
ইয়া আবি! জাওয়্যিজনি ,বাবা আমার বিয়ের ব্যবস্থা করুন