২০০৯ ও ২০১০ সাল। এক ভিন্নতর অভিজ্ঞতা হয়েছে আমার, আমার স্বামী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ ও আমাদের তিন সন্তানের। ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন- ২০০৯-২০১৩ সালের জন্য। এই সময় আইনমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশের জন্য আইন মন্ত্রণালয়ের নানা চ্যালেঞ্জ গ্রহণ ও তা বাস্তবায়িত করার কর্মকান্ড পরিচালনা করতে হয় ব্যারিস্টার শফিক আহমেদকে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচারের ব্যবস্থা করা, রায়ের ব্যবস্থা ও তা বাস্তবায়নে ৫ জনকে ফাঁসি দেওয়া, সংবিধানের ৫ম সংশোধনী করা, ১৯৭১-এর মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করে বিচারকার্য শুরু করা। এগুলো বাস্তবায়নে ব্যারিস্টার শফিকের কৃতিত্বের উল্লেখ রয়েছে এই ডায়েরিতে। ব্যারিস্টার শফিকের ব্যস্ততার এই সময়ে দেশের নানা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ও বিদেশে বাংলাদেশের সরকারের প্রতিনিধিত্ব করতে আমেরিকার ওয়াশিংটন, অস্ট্রেলিয়ার ক্যানবেরা, যুক্তরাজ্যের লন্ডন, নরউইচ, নরফোক, জার্মানির বার্লিন ও উগান্ডার কাম্পালায় ও সিংগাপুর গেছেন সেইসব দেশের সরকার বা সেই দেশের সংগঠনের আমন্ত্রণে। আমিও সঙ্গে গেছি কিন্তু নিজের অর্থে, তার বর্ণনা রয়েছে এখানে। ২৪ আগস্ট ২০১০-এ মানবজমিন পত্রিকায় শফিককে নির্মোহ ব্যক্তি হিসেবে ফিচার লেখা হয়। বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক হয়ে আমি অতি ব্যস্ততার মধ্যে কাটিয়েছি এর কার্যক্রম পরিচালনা করতে, তার উল্লেখ রয়েছে অনেক। খেলাঘরের চেয়ারপারসন হয়ে ঢাকা ও ঢাকার বাইরে নানা অনুষ্ঠানে আমার উপস্থিতির বর্ণনা রয়েছে। বাংলাবাজার স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রী পুনর্মিলনীর আহ্বায়ক হয়ে যে কার্যক্রম পরিচালনা করেছিলাম, তারও বর্ণনা রয়েছে এই ডায়েরিতে। ১৯৭১ এর পতাকা উত্তোলন দিবস স্মরণ করে অনুষ্ঠান করেছি। এই সময় ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নানা কার্যক্রমে আমার ও ব্যারিস্টার শফিক আহমেদের সম্পৃক্ততার কথাও উল্লেখ রয়েছে। এছাড়া পারিবারিক নানা কর্মকান্ড, প্রাত্যহিক সংসার জীবনের বাজারসহ নানা কাজের ফিরিস্তিও রয়েছে। পারিবারিক জীবনের আত্মীয়স্বজন বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে সময় কাটাবার ও সামাজিক নানা কাজে সম্পৃক্ততার কথাও উল্লেখিত হয়েছে এই ডায়েরিতে। মাহফুজা খানম ০১.১২.২০১৮