“গর্ভধারিণী” বইটির ফ্ল্যাপের কথাঃ একজন গর্ভবতী নারী, গর্ভধারণের প্রতিটি মুহূর্তেই বিভিন্ন রকম অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন। বাংলাদেশে একটি কথা প্রচলিত আছে, গর্ভবতী নারীর এক নাকি সবসময় কবরেই থাকে। অর্থাৎ গর্ভধারণের সময় নারীদের প্রতিনিয়তই বেঁচে থাকার লড়াই করতে হয়। পুরুষদের কাছে এগুলাের কতটুকু-ইবা বােধগম্য? আমরা কি আসলেই বুঝতে পারি আমাদের গর্ভধারিণী মাকে? আমাদের সহধর্মিণীকে? “গর্ভধারিণী: এক পুরুষ গাইনিকোলজিস্টের ডায়েরি থেকে” উপন্যাসটি মূলত পৃথিবীর কোটি কোটি নারী গর্ভধারণের সময় যেসব বিভিন্ন রকমের মহাসংকটের সম্মুখীন হন, সে সময় তাদের শারিরীক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের কি পরিবর্তন হয়-একজন পুরুষ গাইনিকোলজিস্টের চোখ দিয়ে দেখা এবং তার। ডায়েরি থেকে তুলে ধরা কিছু গল্পের অংশবিশেষ নিয়েই তৈরি। লেখাটিতে ব্যবহৃত প্রতিটি মেডিকেল টার্মই সম্পূর্ণ সায়েন্টিফিক। উপন্যাসটিতে আনঅ্যাসিস্টেড চাইল্ডবার্থ, একলাম্পশিয়া বা গর্ভাবস্থায় খিচুনী, স্টিল বার্থ, ভ্যাজাইনিসমাস, সিউডাে প্রেগন্যান্সি বা ফলস প্রেগন্যান্সি,হেটেরাে প্যাটারনাল সুপারফেকান্ডেশান/সুপারফেকুন্ডেশনের মতাে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু ক্রিটিক্যাল গাইনিকোলজিক্যাল বিষয়বস্তুর অবতারণা করা হয়েছে, যেটা ডাক্তারী বিষয় না বুঝলেও সাধারণ পাঠকদের বুঝতে সমস্যা হবে না বলে আশা করছি। গল্পটিতে এসব গাইনি সংকটের সাথে সাথে একজন একাকী জীবনযাপন করা গাইনিকোলজিস্টের নিজের প্রকৃত গর্ভধারিণীকে খুঁজে পাবার প্রচণ্ড আকাঙ্ক্ষাকে চিত্রায়িত করার চেষ্টা করা হয়েছে। আশা করি উপন্যাসটি আপনাদের ভালাে লাগবে... ভূমিকাঃ ডা. জুনুন ইবনে কারার (এফ.আর.সি.ও.জি) দেশের সবচেয়ে বিখ্যাত গাইনিকোলজিস্টদের একজন। তিনি দেশের সবচেয়ে খ্যাতিমান ইনফারটিলিটি বিশেষজ্ঞও বটে। তিনি তাঁর সুব্যবহার আর তাঁর সমসাময়িক অন্যান্য নামকরা ডাক্তারদের মতাে অতিরিক্ত মাত্রার বাণিজ্যিক হওয়ার কারণে অত্যন্ত সুপরিচিত। গাইনি বিভাগে যদিও মহিলাদের প্রাইভেসির কারণে মহিলা ডাক্তারদের আধিক্যই বেশি, তবুও পুরুষ ডাক্তার হওয়া সত্ত্বেও ডা. জুনুন অসংখ্য নারী রােগীদের একমাত্র ভরসার পাত্র। তিনি ইউএসএ-র জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির স্কুল অফ মেডিসিন-এ পড়াশুনা করেছেন। এরপরে এখান থেকেই উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন। নর্থআমেরিকা, সিঙ্গাপুর, আফ্রিকাসহ দেশে ও দেশের বাইরে বহু হাসপাতালে চাকরি করেছেন ডা. জুনুন। আর দেশে ফেরার পর গত এক দশকে দেশের সবচেয়ে স্বনামধন্য গাইনিকোলজিস্ট হিসেবে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন। প্রায় তিন যুগ ধরে এ পেশার সাথে যুক্ত রয়েছেন তিনি। জীবন-মৃত্যুর এই পেশায় উনি দেখেছেন অনেক কিছু। তাঁর হাত ধরেই জীবনের মুখ দেখেছে। হাজারাে শিশু, আবার চোখের সামনে মৃত্যুকে আপন করে নিতে দেখেছেন বহু মা ও শিশুকে। ইউনিসেফের হিসেবে প্রতিদিন পৃথিবীতে প্রায় তিন লক্ষ ছিয়াশি হাজার শিশু জন্মগ্রহণ করছে। শুধু বাংলাদেশেই দিনে প্রায় আট হাজার তিনশ শিশু জন্মগ্রহণ করছে। হু (ডব্লিউ.এইচ.ও)-এর হিসাব অনুযায়ী প্রতিদিন পৃথিবীতে এক লক্ষ পঁচিশ হাজার অ্যাবরশন হচ্ছে। শুধু ইউএসএ-তেই ২২ প্রেগন্যান্সি (মিসক্যারেজ বাদ দিয়ে) অ্যাবরশন দিয়ে শেষ হয়।
স্কুলজীবনে দেশের বিভিন্ন স্থানে সাতটি ভিন্ন স্কুলে পড়াশুনা করেছেন । দেশের স্বনামধন্য নটরডেম কলেজে এইচ,এস,সি করার পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লায়েড ফিজিক্স ও ইলেক্ট্রনিক্স বিভাগ থেকে গ্রাজুয়েশন করেন এবং পরে আই,বি,এ থেকে এম,বি,এ করেন । উনি বর্তমানে একটি মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকুরীর পাশাপাশি একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অ্যাডজাঙ্কট ফ্যাকাল্টি হিসাবে কাজ করছেন । লেখালিখির শখ বেশ পুরনো । উনি নিয়মিত ফেইসবুক সহ বিভিন্ন ব্লগে লেখেন । এছাড়াও বেশ কিছু বিজনেস রাইট আপও আছে তার । এছাড়াও প্রচন্ড ঘোরাঘুরির শখ রয়েছে তার ।