“অপেক্ষা -২” বইটির ফ্ল্যাপে লেখা কিছু কথাঃ সাদিয়া মনে মনে আবার নতুন করে স্বপ্ন বুনছে। হৃদয়ে আঁকছে ভালােবাসার মানুষের ছবি। চোখে দেখছে আকাশছোঁয়া স্বপ্ন। হয়তাে পূরণ হতে যাচ্ছে মনের সেই আকাক্ষা। আর সেই আশায়ই মানুষ বারবার স্বপ্ন দেখে। কারাে স্বপ্ন হয়তাে পূরণ হয় আবার কারাে হয় না। যাদের পূরণ হয় না তারা আবার নতুন জীবন গােছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। আবার অনেকে ব্যর্থ হয়ে হারিয়ে যায় আপন জগৎ থেকে। সাদিয়া বারবার ব্যর্থ হচ্ছে। বারবার স্বপ্নের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে আবার হোঁচট খেয়ে পড়ছে। বারবার হোঁচট খেয়েও স্বপ্ন দেখে চলছে সে। প্রতীক্ষায় আছে প্রিয় মানুষের জন্য। সে নিজেও জানে না আদৌ তার স্বপ্নপূরণ হবে কি না। মনের আত্মবিশ্বাস নিয়েই এগিয়ে চলছে সেই প্রিয় মানুষের আশায়। কখনাে হৃদয়ের মাঝে হয়েছে রক্তক্ষরণ। কখনাে চোখ ভেসে হয়েছে আবহমান নদী। আবার কখনাে চোখ শুকিয়ে হয়েছে রােদে পােড়া বিশাল মরুভূমি। সেই ক্ষতবিক্ষত হৃদয় নিয়ে আজও বেঁচে আছে পৃথিবীর বুকে। কখনাে আকাশ মেঘে ঢেকে সাদিয়ার স্বপ্নকে হারিয়ে ফেলে। অচিন দেশে, কখনাে ঝােড়াে হাওয়ায় ভেঙে চুরমার করে দিচ্ছে বুকের প্রতিটি হাড়গােড়। তারপরও বিশাল আকাশের দিকে চেয়ে আছে কখন ঐ মেঘের মাঝে উঁকি দিয়ে হাসিমুখে বের হয়ে আসবে চাদ। সাদিয়া স্বপ্নের একবারে কাছাকাছি চলে গেল। কিছুক্ষণের মধ্যেই অবসান হচ্ছে তার অপেক্ষার। কিন্তু এর মধ্যেই আকাশে মেঘ জমে সেই স্বপ্ন আবারও আড়াল হয়ে গেল, মেঘের মধ্য থেকে বজ্র পড়ে সাদিয়ার হৃদয় আবারও পুড়ে ছারখার হয়ে গেল। তারপরও দমে যাওয়ার পাত্রী নয় সাদিয়া। এখনাে আকাশের দিকে তাকিয়ে অপেক্ষায় আছে। কখন আবার সেই মেঘ কাটবে আর কখন পাবে সে-ই প্রিয় মানুষের সান্নিধ্য।
রেদোয়ান মাসুদ বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় কবি, ঔপন্যাসিক ও ছড়াকার। কবিতা দিয়ে সাহিত্য জগতে প্রবেশ করলেও একজন ঔপন্যাসিক হিসেবেই সবচেয়ে বেশি পরিচিত। রেদোয়ান মাসুদের জন্ম ৬ই জানুয়ারী শরীয়তপুরের জাজিরায়। তিনি বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ তথ্য ভান্ডার বাংলাকোষ এর প্রতিষ্ঠাতা ও সি ই ও, হেলথ এইড হাসপাতাল লিঃ এর পরিচালক ও জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল মোড়ল নিউজ এর প্রকাশক। ২০১৪ সালে একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয় তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘মায়ের ভাষা’। ২০১৮ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম উপন্যাস ‘অপেক্ষা-১’। ২০২২ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম ম্যাক্সিম ‘জোছনায় পোড়া চোখ’। তার শৈশব ও কৈশর কেটেছে শরীয়তপুর ও মাদারীপুরের প্রত্যন্ত গ্রামে। মাছ ধরা, ঘেলাধুলা ও বাগান করা ছিল তার প্রিয় শখ অথচ এই ইটপাথরের দেওয়ালঘেরা শহরে তাকে পেয়ে বসেছে লেখার জগতে। তবে শহরের এই যান্ত্রিক জীবনেও তাকে বারবার তাড়িয়ে বেড়ায় গ্রামের সেই মা ও মাটির গন্ধ। রেদোয়ান মাসুদ দুঃখ-দুর্দশাগ্রস্থ মানুষকে খুব বেশি ভালবাসেন। শত ঝামেলার মাঝেও তিনি তাদের পাশে দাঁড়াতে কার্পণ্যবোধ করেন না। তিনি ততোটা জাঁকজমকপূর্ণ জীবনযাপনে আগ্রহী নন। তাই আধুনিকতার এই যুগে একেবারে সাধারণ জীবনযাপন করছেন।