"বিশ্ব প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের পর্যটন" বইটির প্রথম ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ বিষয় হিসাবে ‘ট্যুরিজম’ এখন বেশ পরিচিত। নানা মহলে এ-বিষয়ে কথাবার্তাও প্রায়শ শােনা যায়। তবে ঘােরাঘুরির কাজ যতটা সহজ ও মজার—অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড হিসাবে সেটা মােটেই তেমন নয়। অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক অসংখ্য বিষয় ক্রমেই পর্যটনের সাথে যুক্ত হচ্ছে। বিশ্বায়নের অজুহাতে অন্যেরা যখন (কাস্টমার ধরতে) আমাদের ঘরে হানা দিচ্ছে তখন আমরা ঠিক কতটা প্রস্তুত? তাছাড়া প্রতিযােগীরা সফলতা পেলেও আমরা প্রত্যাশা মােতাবেক ফল পাচ্ছি না কেন? আরও স্পষ্ট করে বললে, সত্যিই কি এ বিষয়ে আমাদের সুনির্দিষ্ট কোনাে প্রত্যাশা আছে? এমন অসংখ্য বিষয় প্রায়শ ভাবায়। সাধ্যমতাে চেষ্টা করি সেগুলাের উত্তর খুঁজতে। এ বইটি তারই গ্রন্থিত রূপ। প্রথমভাগে, বিভিন্ন দেশের পর্যটনকেন্দ্রগুলােতে ভ্রমণের সময় একজন পর্যটন-শিক্ষার্থী হিসাবে যে-বিষয়গুলাে ভাবিয়েছে বা নজর কেড়েছে সেগুলাে উপস্থাপন করেছি। দ্বিতীয়ভাগে, বাংলাদেশের এই খাতে অগ্রগতি, বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যতে করণীয়গুলাে ব্যাখ্যা করতে সচেষ্ট হয়েছি। বইটির শেষভাগে, পর্যটন-শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য সহায়ক বেশকিছু (তাত্ত্বিক ও প্রায়ােগিক) বিষয় যুক্ত করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট বিষয়ের নীতিনির্ধারক ও ভ্রমণকাহিনি পড়তে আগ্রহীদের জন্যও পুরাে বইয়ে রয়েছে উল্লেখযােগ্য খােরাক। স্বতন্ত্র ধারার উপস্থাপনার কারণে পাঠক গল্পে-গল্পে পর্যটনসংশ্লিষ্ট অনেক বিষয়ে জানতে পারবেন বলে আশা করা যায়।
পড়তে ভালোবাসেন। দেশ-বিদেশের বইতো বটেই...পরিত্যক্ত ঠোঙ্গা, পুরনো সংবাদপত্র, ব্যবহৃত পণ্যের প্যাকেট, এমনকি পরীক্ষার খাতা সবই পড়েন নিবিষ্ট মনে। তবে কখনো সেগুলো মনে রাখতে চেষ্টা করেন না। ফলে পড়াটা হয়ে উঠে দারুণ উপভোগ্য। মেলে বহুবিধ চিন্তার খোরাক। ছাত্রজীবনে বক্তৃতা ও রচনা প্রতিযোগিতায় ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রতিফলন দেখা যায় বিভিন্ন লেখায় ও পাবলিক লেকচারে। বাই চয়েস শিক্ষকতা পেশায় আসা এই মানুষটি ভালোবাসেন নতুন নতুন বিষয়ে জানতে ও অন্যদের সাথে শেয়ার করতে। তাঁর যে কোন লেখা পড়তে থাকলে মনে হয় যেন ক্লাসে বসে লেকচার শুনছি। অর্থাৎ স্বকীয় বাচনভঙ্গীকে তিনি অতি দক্ষতায় লেখনীর মাধ্যমে সাবলীলভাবে প্রকাশ করেন-- যা সচরাচর দেখা যায় না।