“সত্যডানা সন্দেহপালক" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ সত্য আর সন্দেহের ঘূর্ণাবর্তে পাক খেতে খেতে এগিয়ে গেছে এ উপন্যাস। এর প্রেক্ষাপট বিস্তৃত ঢাকা থেকে সুদূর সেন্ট্রাল লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অভ ওয়েস্ট মিনিস্টার পর্যন্ত। উপন্যাসটির কেন্দ্রীয় চরিত্র ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়-পড়য়া জেদি আর অনিন্দ্য ব্যক্তিময়ী কেয়া । বিয়ের জন্যও নানা দিক থেকে প্রস্তাব আসতে থাকে। বর-কনে দেখাদেখির ঘটনাও ঘটে একের পর এক। এসব উপেক্ষা করে এগিয়ে যেতে থাকে ও। শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার পর এক সময় কেয়া দেখতে পায় প্রায় সব বান্ধবীর বিয়ে হয়ে গেছে। হঠাৎ আবিষ্কার করল ঘনিষ্ঠদের কেউ নেই ওর চারপাশে। নিজের একলা হয়ে যাওয়াটা হতাশা জাগায় ওর মনে। কিন্তু বিলেত থেকে সর্বোচ্চ ডিগ্রি গ্রহণ করে ক্যারিয়ার গড়ার লক্ষ্যে থাকে অবিচল। হতাশায় ভেঙে না পড়ে দুর্নিবার আকাক্ষার টানে এগিয়ে যেতে থাকে লন্ডনের দিকে। সত্য এবং সন্দেহের জীবনচক্রে উঠতে থাকে ঘূর্ণিঝড়। এ উপন্যাসে সেই ঝড়ের গল্প বলা হয়েছে। লন্ডনে শুরু হয় নতুন যুদ্ধ। বয়স বেড়ে যাওয়া আর বিদেশে পড়তে যাওয়ার ঘটনা তার জীবনযাত্রায়, নারীত্বে লেপে দেয় অপবাদ। আর তখনই কেয়ার মনে হলাে, আচমকা বজ্রাঘাত ঘটেছে। মায়ের মাথায়। আর অযুত-নিযুত বছর ধরে মা যেন বসে আছেন নিথর দেহ নিয়ে আত্মজার জীবনে নতুন চাঁদ দেখার আশায়। ওর আরও মনে হলাে আঁধারে ঘুমিয়ে যাচ্ছে আপন আলাে, স্বপ্নেরা।
তিনি একদিকে কথাসাহিত্যিক, অন্যদিকে মনোশিক্ষাবিদ। ২০১৮ সালে কথাসাহিত্যে পেয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার। জাপানের ১২তম ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অব সাইকিয়াট্রির ফেলোশিপ প্রোগ্রামে নির্বাচিত হন বিশ্বের প্রথম সেরা ফেলো। জন্ম ১৯৬০ সালের ২ জানুয়ারি সাগরকন্যা সন্দ্বীপে। এমবিবিএস করেছেন সিলেট এম.এ.জি. ওসমানী মেডিকেল কলেজ থেকে। তিনি সাহিত্য-সংস্কৃতির মাসিক ’শব্দঘর’র সম্পাদক এবং জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট (এনআইএমএইচ)-এর একাডেমিক পরিচালক। ২০১২ সালে তাঁর মনস্তত্ত্ব বিষয়ক গ্রন্থ ‘মানব মনের উদ্বেগ ও বিষন্নতা’ কলকাতার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্য করা হয়।