বিজ্ঞানীদের কাণ্ডকারখানা, বিজ্ঞানীদের কাণ্ডকারখানা-২, বিজ্ঞানীদের কাণ্ডকারখানা ৩, বিজ্ঞানীদের কাণ্ডকারখানা - ৪ 'বিজ্ঞানীদের কাণ্ডকারখানা' বইয়ের পরিচিতি বিজ্ঞানীদের জীবনীর কথা শুনলেই মনে হয় খটোমটো কিছু একটা, চোখে মোটা চশমাওয়ালা খুব প্রচণ্ড পড়ুয়া কারও কাহিনি, সারা জীবন ধরে যে বইয়ে নাক গুঁজে কাটিয়েছে। কিন্তু বিজ্ঞানীদের জীবনটা আসলে মোটেও সে রকম নয়, বরং বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানীদের জীবনে অসাধারণ, মজার, অভাবনীয় সব ঘটনা ঘটেছে। এই ব্যাপারটা লেখক শৈশবেই জানতে পারেন। এই ঘটনাগুলোর কথা লেখক ভুলতেই বসেছিলেন প্রায়, কিন্তু ভুলতে দিল না তার ছেলে যায়ান। যায়ানের বয়স মাত্র সাত, কিন্তু এখনই ঘুমাতে যাওয়ার আগে বিজ্ঞানীদের গল্প শোনার জন্য প্রচণ্ড আগ্রহ, প্রতিদিন অন্তত দুজন বিজ্ঞানীর ওপরে কোনো মজার গল্প না শুনলে ঘুমাতে চায় না সে। ওকে প্রতিদিন বিজ্ঞানীদের আর গণিতবিদদের গল্প বলতে গিয়ে লেখক স্মৃতির তথ্যভান্ডারের সিন্দুকটা খুলে আবার ফিরে যান সেই বিজ্ঞানীদের নানা গল্পের জগতে। লেখক যায়ানকে বলেন, আইনস্টাইন, নিউটন, আর্কিমিডিস, মারি কুরি, এডিসনের গল্প, লেখকের সেই ছোটবেলার এবং এখনকারও সব স্বপ্নের নায়কদের কথা, যাদের প্রতিভা, আবিষ্কারের নেশা আর জ্ঞানের পিপাসা বিশ্বকে পাল্টে দিয়েছে চিরদিনের জন্য। এই গল্পগুলো বলতে বলতেই তার মনে হলো, আগামী প্রজন্মের জন্য এগুলো লিখে রাখা বড়ই দরকার। টিভি, ফেসবুক, সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে আমাদের শিশুরা কাদের নিয়ে ভাববে, কাদের কাহিনি শুনে অনুপ্রাণিত হবে? বিজ্ঞান মজার, বিজ্ঞান আনন্দের, বিজ্ঞানীরাও মজার মানুষ... সূচিপত্র: ভূমিকা * বোস স্যারের ভুল * রাজার ভেজাল মুকুট * আর্কিমিডিসের তাপরশ্মি * আত্মভোলা আইনস্টাইন। * দুষ্ট ছেলে গাউস * আপেল বালকের মন্দ ভাগ্য। * হাউই সাহেবের দুঃস্বপ্ন * হ্যালো ওয়াটসন সাহেব, একটু আসবেন কি? * হাবাগোবা ছেলের মহা মহা আবিষ্কার * তেজস্বী মারি * সূর্যের আলোকে কি পেটেন্ট করে আটকে রাখা যায়? * যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে... * ড. ফ্লেমিংয়ের বিদঘুটে ছত্রাক * চন্দ্রের সীমা। * খাদ্যরসিক প্রকৌশলীর আগুনহীন চুলা * বেকেরেলের জ্বলজ্বলে পাথর * লীলাবতীর লীলা * বিক্রমপুরের পোলার আপসহীন সাধনা * জীবনকণিকা
“বিজ্ঞানীদের কাণ্ডকারখানা-2” বই এর ফ্ল্যাপের কথাঃবিজ্ঞান আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। আর এই বিজ্ঞান ও । প্রযুক্তির মাধ্যমেই মানুষ প্রকৃতিকে করেছে জয়, অসম্ভবকে । করেছে সম্ভব। আমাদের প্রত্যেকের জীবনে তাই বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীদের অবদান বিশাল। কিন্তু এই বিজ্ঞানীদের সম্পর্কে। একটা ভুল ধারণা আছে সবার মধ্যে—বিজ্ঞানীরা জটিল ও। নিরস সব বিষয় নিয়ে কাজ করেন। ব্যাপারটা আসলে তা না, । বিজ্ঞানীরা আমাদের সবার মতোই মানুষ, হাসি কান্না আনন্দ। বেদনায় তাদের জীবন। এই গ্রন্থের লেখক রাগিব হাসান। শৈশবে পড়েছিলেন আবদুল্লাহ-আল-মূতী শরফুদ্দিনের লেখা।আবিষ্কারের নেশায় বইটি। তার পেশা ও নেশা হিসেবে। বিজ্ঞানকে বেছে নেওয়ার পেছনে সেই বইটির ভূমিকা। অপরিসীম। লেখকের সন্তান যায়ান ও রিনীতা যোয়ীকে রূপকথার বদলে তিনি বিজ্ঞানীদের জীবনের অসাধারণ সব গল্প শোনান- যা। অনেক ক্ষেত্রে রূপকথাকেও হার মানায়। প্রতিদিন, প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ওদের গল্প শোনাতে লেখকের মনে হলো, এই গল্পগুলো সবার জানা দরকার। সেই চিন্তা। থেকেই ২০১৮ সালের বইমেলায় বিজ্ঞানীদের কাণ্ডকারখানার ১ম খণ্ডটি লিখেছিলেন। লেখক ভেবেছেন, অল্প কয়েকজন। শিশুকেও যদি বিজ্ঞানের অপার সৌন্দর্যের আলোয় উদ্বুব্ধ। করতে পারা যায় তবে তার সার্থকতা। কিন্তু লেখককে অবাক। করে দিয়ে প্রচুর শিশুকিশোর তরুণ-তরুণী বইটি পড়েছে। তারা বিজ্ঞানী ও গণিতবিদদের জীবনের কথা জেনেছে, রোল। মডেল হিসেবে বেছে নিয়েছে সেই বিজ্ঞানীদের। উৎসাহের। সাথে তারা সেসব কথা লেখককে জানিয়েছে। তাই বাকি। অনেক বিজ্ঞানীর জীবনী নিয়ে প্রকাশিত হলো বিজ্ঞানীদের। কাণ্ডকারখানা সিরিজের দ্বিতীয় বইটি। ভূমিকা: বিজ্ঞান আমাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। আর এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মাধ্যমেই মানুষ প্রকৃতিকে করেছে জয়, অসম্ভবকে করেছে সম্ভব। আমাদের প্রত্যেকের জীবনে তাই বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানীদের অবদান বিশাল। কিন্তু এই বিজ্ঞানীদের সম্পর্কে একটা ভুল ধারণা আছে সবার মধ্যে—বিজ্ঞানীরা জটিল ও নিরস সব বিষয় নিয়ে কাজ করেন। ব্যাপারটা আসলে তা না, বিজ্ঞানীরা আমাদের সবার মতোই মানুষ, হাসি কান্না আনন্দ বেদনায় তাদের জীবন। শৈশবে পড়েছিলাম শ্রদ্ধেয় আবদুল্লাহ-আল-মূতী শরফুদ্দিনের লেখা সেই বই—আবিষ্কারের নেশায়, যেখানে অনেক বিজ্ঞানীর অসামান্য জীবন ও অবদান নিয়ে লেখা হয়েছিল। আমার পেশা ও নেশা হিসেবে বিজ্ঞানকে বেছে নেওয়ার পেছনে সেই বইটির অপরিসীম ভূমিকা আছে। আমার সন্তান যায়ান ও রিনীতা যোয়ীকে রূপকথার বদলে বলি বিজ্ঞানীদের জীবনের অসাধারণ সব গল্প—যা অনেক ক্ষেত্রে হার মানায় রূপকথাকেও। প্রতিদিন, প্রতি রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ওদের গল্প শোনাতে শোনাতে মনে হলো, এই গল্পগুলো সবার জানা দরকার। তাই গত বছরের বইমেলায় বিজ্ঞানীদের কাণ্ডকারখানার প্রথম খণ্ডটি লিখেছিলাম। ভেবেছিলাম অল্প কয়েকজন শিশুকেও যদি বিজ্ঞানের অপার সৌন্দর্যের আলোয় উদ্বুদ্ধ করতে পারি, তাহলে আমার এই বইটা লেখা সার্থক। আমাকে অবাক করে দিয়ে প্রচুর শিশুকিশোর, তরুণ-তরুণী বইটি পড়েছে, তারা বিজ্ঞানী ও গণিতবিদদের জীবনের কথা জেনেছে, রোল মডেল হিসেবে বেছে নিয়েছে সেই বিজ্ঞানীদের। উৎসাহের সাথে তারা সেসব কথা আমাকে জানিয়েছে, আর আমার সন্তানদের বাইরেও অনেক তরুণ মানুষকে অনুপ্রাণিত করতে পেরে আমার নিজেকে সার্থক মনে হয়েছে। সূচিপত্রঃ ভূমিকা * লুই পাস্তুর : মন্দ জীবাণুদের ত্রাস * গণিতপ্রেমী কাজি আজিজুল হক * শশীকান্তের বিপদ * কেকুলের (দুঃ) স্বপ্ন। * আলাভোলা বিজ্ঞানী উইনার * গণিতের বরপুত্র : শ্রীনিবাস রামানুজন * অগাস্টা অ্যাডা : প্রথম প্রোগ্রামার * বোস বাবুর জেদ * লুকানো নোবেল মেডেল : নাৎসিদের বোকা বানানো * দানজিগের দেরি * টেসলার তেজ * শেওড়াতলীর মেঘনাদ : বিপ্লবী বিজ্ঞানী * গ্যালিলিওর পৃথিবী * জোসেলিন বেল বার্নেল : ভিন গ্রহের এলিয়েন শিকারি * হকিংয়ের কৃষ্ণবিবর * বেগুনি রঙের ইতিকথা। * অ্যামেজিং গ্রেইস ও তার বাগের গল্প। * স্যার টিমের বিশ্বজোড়া জাল
রাগিব হাসানের পৈতৃক বাড়ি জামালপুরে, তবে সরকারি কর্মকর্তা ও স্কুলশিক্ষিকা মায়ের এই মেধাবী সন্তানটির জন্ম ও বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামে। মেধার স্বাক্ষর রেখেছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে। পরবর্তীতে ভর্তি হন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার প্রকৌশল বিভাগে, এবং সর্বোচ্চ মার্কস নিয়ে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। এছাড়া প্রতিটি বিভাগে ভালো ফলাফলের কারণে পেয়েছিলেন গোল্ড মেডেলও। বুয়েটে কিছুদিন শিক্ষকতা করে আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব ইলিনয়ে ছুটে গিয়েছিলেন স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করতে, এবং এখান থেকেই তিনি পিএইচডি সম্পন্ন করেন। তিনি একাধারে শিক্ষক এবং বিজ্ঞানী, তবে তার আগ্রহের মূল বিষয় কম্পিউটার কৌশল। এর তাড়নায় কম্পিউটার নিরাপত্তা ও ক্লাউড কম্পিউটিং নিয়ে গবেষণা করছেন সিক্রেটল্যাব নামের একটি গবেষণাগার প্রতিষ্ঠানে। এছাড়াও তিনি উইকিমিডিয়া বাংলাদেশ চ্যাপ্ট্যারের একজন প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। বর্তমানে তিনি সপরিবারে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বার্মিংহামে বসবাস করছেন, কিন্তু বাংলার সাথে ঠিকই সম্পর্ক বাঁচিয়ে রেখেছেন তার বইগুলোর মাধ্যমে। রাগিব হাসান এর বই মানেই সহজ ভাষায় কঠিন জ্ঞানের কথা। তিনি মূলত লেখেন প্রবন্ধ। রাগিব হাসান এর বই সমূহ এর মাঝে উল্লেখযোগ্য হলো ‘বিজ্ঞানীদের কান্ডকারখানা’, ‘গবেষণায় হাতেখড়ি’, ‘মন প্রকৌশল স্বপ্ন অনুপ্রেরণা আর জীবন গড়ার ফরমুলা’, ‘বিদ্যাকৌশল: লেখাপড়ায় সাফল্যের সহজ ফরমুলা’ প্রভৃতি। রাগিব হাসান এর বই সমগ্র এর পাশাপাশি তার ব্লগিংও বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের উপকার করছে। তার নিজের ভাষ্যমতে- শিক্ষকতা তার পেশা ও নেশা। তার শিক্ষা তিনি ছড়িয়ে দিতে চান বিশ্বব্যাপী। তাই অনলাইন শিক্ষাদান ওয়েবসাইট শিক্ষক ডট কম গড়ে তুলেছেন। তার এ উদ্যোগ ২০১৩ সালে গুগলের ‘রাইজ’ পুরস্কার লাভ করে। স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও উচ্চশিক্ষার প্রচলন করতে চান তিনি। এছাড়াও গবেষণাকর্মে পারদর্শিতার জন্য ‘ক্যারিয়ার’ পুরস্কার লাভ করেন ২০১৪ সালে।