“ভিয়েনার ক্যাফে সেন্ট্রাল" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ গত শতকের প্রথম ভাগটা ছিল যুদ্ধের ডামাডােলে পরিপূর্ণ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হল। সেটি শেষ হতে না হতেই রুশ দেশে শুরু হল। বলশেভিক বিপ্লব। ধীরে ধীরে এ বিপ্লবের কম্পন গিয়ে পৌছাল দক্ষিণ-পূর্বইউরােপ অব্ধি। ততদিনে জার্মান মুলুকে এক নতুন একনায়কের আবির্ভাব ঘটেছে, যার নেতৃত্বে অচিরেই শুরু হল রক্তক্ষয়ী দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। প্রায় ছ' বছর ধরে চলল সে যুদ্ধ। এই যে এত যুদ্ধ আর বিপ্লব, এসবের পেছনে কিন্তু ছিলেন গুটিকয় ব্যক্তিত্ব। ‘ভিয়েনার ক্যাফে সেন্ট্রাল’-এর শুরুটা হয়েছে। এদেরকে নিয়েই। লেখক অর্ধ শতাব্দী পূর্বের অতীত থেকে একটি রেখা অংকন করে তার সমাপতন ঘটাতে চেয়েছেন বর্তমানে। বােমারু বিমানের আঘাতে একদা ছিন্নভিন্ন বার্লিনে তিনি খুঁজে ফিরেছেন ধ্বংসস্তৃপ, হিটলারের শৈল-নিবাসের সন্ধানে ছুটে গেছেন অস্ট্রিয়ায়। তবে শুধু যুদ্ধ আর বারুদ নয়, চলন্ত রেলগাড়ির জানালার বাইরে দেখা কিছু অপসৃয়মান মুখের মতােই এ বইয়ের গল্পগুলােতে ভেসে ওঠে কিছু মানুষের মুখ। সেই মানুষগুলাে কখনাে আমাদেরকে শােনায় তাদের বেদনার বয়ান, আবার কখনাে নিয়ে যায় তাদের অনুভূতির নানা অভিঘাতের বৃত্তান্তে।
জন্ম ১৮ই আগস্ট, শেরপুর জেলার জেলা সদরে। বেড়ে ওঠা ঢাকা শহরে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ কৌশলে স্নাতক ডিগ্রী অর্জনের পর পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর ক্যানসাস অঙ্গরাজ্যের উইচিটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে তড়িৎ কৌশলে ও ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যাবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। কর্মসূত্রে বাস করেন ক্যালিফোর্নিয়ার সর্ব দক্ষিণের শহর সান ডিয়েগো’তে। লেখালেখির জগতে অনুপ্রবেশ বাংলা ব্লগের মাধ্যমে। ইদানিং নিয়মিত লিখছেন কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে।