“স্তালিনের বাস্তুভিটায়" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ জোসেফ স্তালিন—এককালে যিনি ছিলেন প্রতাপশালী রাষ্ট্রনায়ক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তিনিই সােভিয়েত ইউনিয়নকে নিয়ে আসেন জয়ের দ্বারপ... See more
TK. 320 TK. 275 You Save TK. 45 (14%)
কমিয়ে দেখুন
২৫% নিশ্চিত ছাড় ও ৯৯৯৳+ অর্ডারে ১০০৳ ভাউচার ফ্রি! (প্রতিদিন ১৩ জন পাবেন)*
আরো দেখুন
২৫% নিশ্চিত ছাড় ও ৯৯৯৳+ অর্ডারে ১০০৳ ভাউচার ফ্রি! (প্রতিদিন ১৩ জন পাবেন)*
বাংলাদেশে এই প্রথম অনলাইন বাণিজ্য মেলা রকমারিতে। ১ লক্ষাধিক পণ্যে ৭৫% পর্যন্ত ছাড়! সাথে 100+ Bundle Deal, Buy1 Get1, আর Free Shipping নির্দিষ্ট পণ্যে!
“স্তালিনের বাস্তুভিটায়" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ জোসেফ স্তালিন—এককালে যিনি ছিলেন প্রতাপশালী রাষ্ট্রনায়ক। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে তিনিই সােভিয়েত ইউনিয়নকে নিয়ে আসেন জয়ের দ্বারপ্রান্তে। আবার তারই ভ্রান্তনীতি কিংবা বলা চলে নির্দেশে প্রাণ হারায় লক্ষ লক্ষ নিরাপরাধ মানুষ । নিজের সকল রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে তিনি নিকেশ করে দেন। সময়ের পরিক্রমায় সেই সত্য ক্রমেই উদ্ভাসিত হওয়ায় স্তালিনের বিতর্কিত চরিত্রটিই আজকাল মুল্যায়িত হয় বেশি। কিন্তু তার জন্মভূমি জর্জিয়ায় গরি শহরে গিয়ে লেখক দেখলেন ভিন্ন এক চিত্র। সেখানে আজও লােকে কুঁদ হয়ে আছে স্তালিন-মহিমায়। সেই বিস্ময়টুকু সাথে করে লেখক আমাদের নিয়ে ঘুরলেন পুরাে ককেশাস অঞ্চলে। সেই যাত্রার সঙ্গী হয়ে আর্মেনিয়ায় গিয়ে এপ্রিকট কাঠনির্মিত বাঁশি বাজাবার পর বাকু শহরের অগ্নি মন্দিরে গিয়ে আমরা সন্ধান পাই এক অনির্বাণ শিখার। তারপর উত্তর আজারবাইজানের প্রত্যন্ত খেলুগ গ্রামে গেলে স্থানীয় মােড়লের মেহমানপনা আমাদেরকে আপ্লুত করে ছাড়ে। আমরা তারপর হয়ত চলে যাই আরও উত্তরে। পৃথিবীর রুটির ঝুড়ি নামে খ্যাত দেশ ইউক্রেনে। সেখানে কিয়েভ শহরে মিহি ছানার কেক কিয়েভ কেক খাবার পর লেখকের দৃষ্টি ধার করে জানতে পারি বহুকাল আগে এ শহরের বেশ কিছু নামি চিত্রশিল্পী শুধুমাত্র কিছু বিশেষ ছবি আঁকার অপরাধে স্তালিনের জল্লাদ বাহিনীর কাছে প্রাণ খুইয়েছিলেন। ইউক্রেনিয় চিত্রশিল্পের গল্প ফুরােতে না ফুরােতেই আমরা ভেসে আসি চিত্রশিল্পের আরেক স্বৰ্গনগরী ফ্লোরেন্সে। সেখানে পরিচিত হই মাইকেল এঞ্জেলো কিংবা ভিঞ্চির কিছু অমূল্য কর্মের সাথে। পুরােটা পথ পরিভ্রমণের নানা পর্যায়ে বিস্মিত হই-আমরা আসলে কোথায়? ভ্যাটিকান সিটির মর্মর ভাস্কর্য পিয়েতার সম্মুখে? নাকি কোনাে এক সন্ধ্যেমুখর লগ্নে নেপালের পােখারা শহরের লেকসাইড রােডের উপান্তে? আমাদের ঘাের খুব সহজে কাটে না।
জন্ম ১৮ই আগস্ট, শেরপুর জেলার জেলা সদরে। বেড়ে ওঠা ঢাকা শহরে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তড়িৎ কৌশলে স্নাতক ডিগ্রী অর্জনের পর পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। এরপর ক্যানসাস অঙ্গরাজ্যের উইচিটা স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে তড়িৎ কৌশলে ও ক্যালিফোর্নিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটি থেকে ব্যাবসায় প্রশাসনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। কর্মসূত্রে বাস করেন ক্যালিফোর্নিয়ার সর্ব দক্ষিণের শহর সান ডিয়েগো’তে। লেখালেখির জগতে অনুপ্রবেশ বাংলা ব্লগের মাধ্যমে। ইদানিং নিয়মিত লিখছেন কয়েকটি জাতীয় দৈনিকে।
স্তালিনের বাস্তুভিটায়' বইটিতে ১৩ টি ভ্রমণকাহিনী আছে। ঘোরাঘুরির মূলে এবার ছিল ককেশাস অঞ্চল যেখানে একসময় জন্ম নেন জোসেফ স্তালিন, সোভিয়েত ইউনিয়নের কর্ণধার। বইয়ের প্রথমেই লেখক তুলে ধরেন ইউক্রেনের বয়চুকিস্ট চিত্রশিল্পীদের কথা, তাদের সৃষ্টির সাথে কি পরিমাণে নির্যাতন করা হয় লেখক সেটি তুলে ধরেন।একই সাথে বয়চুকিস্ট চিত্রশিল্পীদের অসাধারণ কিছু চিত্রকর্ম দেখতে পাই। তারপর সেখান থেকে হাজির হই কিয়েভের কোন কফিশপে তারপর সেখান থেকে বাল্টিকের ধারে মন খারাপ করা আবহাওয়ায় সাক্ষী হতে হয় এক ম্যারাথন দৌড়ের, সেই সাথে রাস্তের পাশে এক গাড়ির মধ্যে থেকে আসা ১৪ পদের মশলা আর চার পদের চিনির গন্ধে পেট ভরাতে হয়। তারপর আসে রেনেসাঁর শহর ফ্লোরেন্স। সেখানে লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চি, রাফায়েল সাবিতিনি, মাইকেল এঞ্জেলার কাহিনী পড়ে চমৎকৃত হই। সেই সাথে এসব বিখ্যাত শিল্পীদের কিছু বিখ্যাত অথচ অজানা ভাস্কর্য আর পেইন্টিং দেখে চোখের ক্ষুধা মিটাই। আর্মেনিয়ার গারনি গ্রামে ঢুঁ মারতেই তাদের প্রিয় রুটি লাভাশ বানাতে দেখেছি।পরিচিত হয়েছি তাদের বিখ্যাত কবি চ্যারেন্ট'র সাথে। স্তালিনের আঁতুড়ঘরে এসে স্তালিনের মৃত্যু সম্পর্কিত রহস্যঘেরা কাহিনী জানতে পারি। জানতে পারি তাঁর শাসন, শোষণ সম্পর্কে। তারপর সেখান থেকে উঠে আসি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ছয় হাজার ফুট উঁচু আহারবাজাইনের গ্রাম খেনালুগে। এটিই একমাত্র গ্রাম যেখানে আদিম কাল থেকে মানুষের বসবাস। সেখানে গ্রামের মোড়লের আতিথেয়তায় মুগ্ধ হয়ে যাই। তারপর মোড়লের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে লেখকের সাথে সাথে আমারও ভ্রমণ শেষ হয়।
Read More
Was this review helpful to you?
By sk. shafian jubaeir anik,
01 Jan 2022
Verified Purchase
good learning book for adventures
Read More
Was this review helpful to you?
By Dr. Md. Shamsudduha Tauhid,
09 Feb 2020
Verified Purchase
স্তালিনের বাস্তুভিটায়" ভ্রমণ উপন্যাসে ১৩ টি গল্প আছে যার মূল কেন্দ্রবিন্দু ককেশাস অঞ্চল। যে অঞ্চল ছিল একসময়ের প্রতাপশালী রাষ্ট্রনায়ক, সোভিয়েত ইউনিয়নের কর্ণধার জোসেফ স্তালিনের আঁতুড়ঘর। স্নায়ুযুদ্ধে যে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যায়, সেই ১৬ টি রিপাবলিক লেখক সঞ্জয় দে চষে বেড়িয়েছেন। এই বইতে তুলে ধরেছেন ককেশাস অঞ্চলের সভ্যতা, সংস্কৃতি, সাধারণ মানুষের দুঃখ-সুখের গল্প, ভূ-রাজনৈতিক ইতিহাস। লেখক ইউক্রেনের আর্ট মিউজিয়ামে খুঁজে বেড়ান পেইন্টিং - পোর্ট্রেটের আড়ালের ইতিহাসকে। বাইজেনটাইন, গথিক, সমাজতান্ত্রিক, পরিশেষে ইউক্রেনিয় জাতীয়তাবাদী শিল্পের উত্থান। তুলে ধরেছেন স্তালিনের আমলে বয়চুকিস্ট শিল্পগোষ্ঠীদের নির্যাতনের গল্প যারা সমাজতান্ত্রিক ধারার বাইরে কথা বলতে চেয়েছে। সেই ইতিহাস পড়তে পড়তে এসে পড়ি কিয়েভের কোনো কফিশপে, পানশালায়, জাজ সঙ্গীতের মূর্ছনায়, আপ্লুত হই। কখনো বাল্টিকের ধারে মেঘে ঢাকা দিনে অজানা শোকে বিমূঢ় হই, হয়তো কোনো কফিশপে প্রিয়জন হারানোর বেদনায় বেদনাহত প্রেয়সীর মেলানকলির ছায়া মাখা আর্দ্র চোখে বিহ্বল হই। গল্পের রাশ টেনে নিয়ে যায় রেঁনেসার শহর ফ্লোরেন্সে। যেখানে লিওনার্দো দ্যা ভিঞ্চি, মাইকেল অ্যাঞ্জেলো, রাফায়েলের গল্প, রেঁনেসা যুগের শিল্পের বিকাশ ও বৈশিষ্ট্য জানতে জানতে হঠাৎ চমকিত হয়ে দেখি পার্থিব পৃথিবীর সমকালীন সাধারণ মানুষের গল্পে মিশে গেছি। জর্জিয়ান মোহমুগ্ধ সকালের ভাবালুতায় হারিয়ে যাই যে সকালের স্তুতি গেয়েছেন সমাজতান্ত্রিক শাসকের শাসনে অবরুদ্ধ সাহিত্যিক বরিস পাস্তেরনাক। স্তালিনের বাস্তুভিটায় স্তালিনের উত্থানের গল্প, তার শাসন,দমনের গল্প আর মৃত্যুর গল্প জানি। হারিয়ে যাই আজারবাইজানের গ্রাম খেলানুগে, যা সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ছয় হাজার ফুট উচ্চতায়, এখানে দাঁড়ালে খেলানুগকে পৃথিবীর শেষপ্রান্ত বললে অত্যুক্তি হবে না। মুগ্ধ হই যখন সেই দুর্গম গাঁয়ে জাদুঘরের খোঁজ পাই, খুঁজি ফিরি ইতিহাসে, আপ্লুত হই গাঁয়ের লোকদের আতিথেয়তায়। এরকম ১৩ টি গল্প আবেশে আটকে রাখে।
যারা ভ্রমণ গল্প পছন্দ করেন, যারা ইতিহাস পছন্দ করেন, যারা শুধুই নিছক গল্প পছন্দ করেন, "স্তালিনের বাস্তুভিটায়" বইটি অবশ্যই পাঠ করা উচিত।