‘সাদা প্রাইভেট’ ফ্ল্যাপের কথাঃ আমার প্রথম বই এক শিল্পীর কাছে গিয়েছিল প্রচ্ছদের জন্য। তিনি প্রচ্ছদ করতে গিয়ে গল্পগুলো পড়ে ভীষণ মুগ্ধ হয়েছিলেন । খোজ করেছিলেন আমার । আমার জানা ছিল না সেই গল্প । অনেক মাস পর এক জায়গায় দেখা হয়ে যায় শিল্পীর সাথে। পরিচয় দিতে তিনি জানান সেই কথাগুলো। তার অনুভূতি। তার একটা বাক্য এখনো কানে বাজে, ‘খুব ভালো লেখো রে ভাই তুমি। খুব।’ প্রথমবারের মতো কোনো খ্যাতিমান মানুষ আমার মতো এক সদ্য লিখতে শুরু করা তরুণের বইয়ের এমন প্রশংসা করেছিলেন । শিল্পীর নাম, ধ্রুব এষ। আমি যাকে এই নগরের ঋষি বলি... বইটির কিছু অংশঃ বজলুর রহমান একজন ড্রাইভার রেখেছেন। ড্রাইভারের নাম সেলিম। মাসকয়েক ধরে বজলুর রহমান আর সেলিম একসাথে অফিস যাচ্ছেন এবং অফিস থেকে ফিরছেন। সেলিম বজলুর রহমানের ব্যাগ নিয়ে বিমর্ষ চেহারা করে সকাল সকাল রিকশায় তার সাথে যায় আবার সন্ধ্যায় ফিরে আসে। সেলিমের আপাতত কাজ নেই। বজলুর রহমান এখনো অফিস থেকে গাড়ি পাননি। তবে পেয়ে যাবেন যে-কোনো সময়। সে হিসাব করেই সেলিমকে রেখে দিয়েছেন। রেখে দিয়েছেন মানে এলাকা থেকে নিয়ে এসেছেন। সে সদ্য ড্রাইভিং শিখে শহরে আসার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সেলিমের চাচা তার কাছে নিয়ে এসেছিল, ভাতিজাটাকে নিয়ে যান শহরে। পড়াশুনা করল চাকরি পাইলো না। এখন একটা কিছু করে তো খাইতে হবে । বজলুর রহমানের কাছেও সেলিমকে বেশ অনুগত মনে হয়েছে। সেলিমের সবচেয়ে বড়ো যে গুণ বজলুর রহমান পেয়েছেন তা হলো সে চোখের দিকে তাকিয়ে কথা বলে না। চোখে চোখ রেখে কথা বলা লোক একদম পছন্দ করেন না তিনি। তাই সেলিমের মতো একটা অনুগত ছেলেকে এক-দুমাস কাজ ছাড়া হলেও বেতন দিয়ে রাখা যায়। তাই আর কিছু না ভেবেই নিয়ে এসেছিলেন। এ মাসেই প্রমোশন হয়েছে বজলুর রহমানের । জিএম হয়েছেন তিনি। অন্য সবাই প্রমোশনের দিন থেকেই গাড়ি পেয়েছিল, তিনি পেলেন না। কেন পেলেন না তা নিয়ে তার কোনো প্রতিক্রিয়া নেই। নেই মানে দেখাতে পারছেন না। এতবড়ো পজিশনে গিয়ে একটা সামান্য গাড়ির জন্য হইচই করা ভালো দেখায় না। বিষয়টা দৃষ্টিকটু হয়ে যায়। তবে তিনি প্রায়ই এইচআর ম্যানেজারকে রুমে ডেকে……
আমি আমার বিশ্বাসের প্রতিনিধি- এই মৌলিক বিশ্বাসেই মুলত ইশতিয়াক আহমেদের পথ চলা। ভালোবাসা থেকেই করা লেখালেখির সময় পার হয়ে গেছে এক যুগেরও বেশি। প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা ৫টি। ২০০৯ সালে হোটেল বনলতা (আবাসিক), ২০১০-এ নেইলকাটার, ২০১১ তে ডেথসার্টিফিকেট, ২০১২ তে মাফলার, ২০১৩ তে আপেলশাস্ত্র, ২০১৪ তে নন্দিতা পরিবহন, ২০১৫ তে আদর্শলিপি, ২০১৬ তে সিনেমা হলের গলি, ৫০ গল্প (গল্প সংকলন), ২০১৭ সালে প্রকাশ পেয়েছে শিল্পী স্টুডিও। এর মাঝে একটি বেসরকারি এনজিও থেকে প্রকাশিত হয়েছে দুটি ছড়ার বই ফুঁ এবং আটটি মাছির টিম। আগে ‘ইশতিয়াক আহমেদ এবং তার ভাইব্রাদারদের গল্প’ এবং ‘স্বপ্ন আর ভালোবাসার ক্যাডারদের কবিতা’ নামে দুটি বই বের হয়েছে তার সম্পাদনায়। সম্পাদনা করেছেন অনেক পত্রপত্রিকাও। জন্ম ২২ নভেম্বর। সাংবাদিকতা করছেন দেশের শীর্ষ একটি জাতীয় দৈনিকে। প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়ার দৌড় মাস্টার্স অবধি। গান এবং নাটক লিখছেন নিয়মিত। সম্প্রতি ঝুকছেন নির্মাণের দিকেও। দিনের অর্ধেক সময় ঢাকায় আর বাকী অর্ধেক নারায়ণগঞ্জে কাটানো ইশতিয়াক আহমেদ ভেতরে বাইরে প্রবলভাবে কাজে বিশ্বাসী। খুব একটা পাত্তা দেননা স্বপ্নটপ্নকে।