একটি সমাজের পরিবর্তনের দিকগুলাে খুব ভালােভাবে উপলব্ধি করতে হলে দীর্ঘ এক ঘুমের প্রয়ােজন। পরিবর্তমান এই সমাজে সে ঘুমের ব্যাপ্তি কতটা দীর্ঘ হতে পারে? হয়তাে দশ বছর, অথবা তারও অধিক কিছু সময়। এই সময়টা আপনি দীর্ঘ "/>
“ভাঙনের দিন" বইটির ফ্ল্যাপ এর লেখাঃ,br> একটি সমাজের পরিবর্তনের দিকগুলাে খুব ভালােভাবে উপলব্ধি করতে হলে দীর্ঘ এক ঘুমের প্রয়ােজন। পরিবর্তমান এই সমাজে সে ঘুমের ব্যাপ্তি কতটা দীর্ঘ হতে পারে? হয়তাে দশ বছর, অথবা তারও অধিক কিছু সময়। এই সময়টা আপনি দীর্ঘ এক ঘুমে কাটিয়ে দিলেন। তারপর জেগে উঠে দেখলেন, কোনাে দৃশ্য আর চেনা নয় । পরিবর্তন হয়ে গেছে সম্পর্ক ও সরলতার সংজ্ঞা। ভাঙনের দিন উপন্যাসের প্রধান চরিত্র ফয়সাল জেলের বদ্ধ কুঠুরিতে চোদ্দ বছর কাটিয়ে দেয় । চিন্তা প্রয়ােগের ক্ষমতা বদ্ধ বলে সেখানে কোনাে পরিবর্তন আসে না । একটুখানি প্রতিফলিত আলাে ছাড়া রাত ও দিনের ভেতরে কোনাে তফাৎ থাকে না। কেবল চিরদিনের সত্যতা নিয়ে জেগে থাকে এক আকাশ । চোদ্দ বছর আমাদের কাছে দীর্ঘ এক ঘুমের মতােই। চোদ্দ বছর পর ফয়সাল যখন চেনা পৃথিবীতে ফিরে আসে, তখন সে আবিষ্কার করে এই পৃথিবী তার চেনা নয়! সে মূলত সমাজের পরিবর্তনের ধারার সাথে পরিচিত নয় বলে হঠাৎ এসে নিজেকে আর মানিয়ে নিতে পারে না। এভাবে নিদারুণ দ্বন্দ্ব ও সংকটের ভেতর দিয়ে এগিয়ে চলে ভাঙনের দিন উপন্যাসের ঘটনাবলি । সাব্বির জাদিদ তরুণ কথাকার। পরিবর্তমান সমাজের ধারার সাথে তিনি পরিচিত । চোখ দুটো বন্ধ করে, মনটাকে স্থবির করে, মুহুর্তেই তিনি দীর্ঘ এক ঘুম থেকে জেগে উঠে চেনা পৃথিবীকে অচেনারূপে আবিষ্কার করতে পারেন। এই উপন্যাসে মূলত সেই আবিষ্কারই উঠে এসেছে পাতাভরে । সাব্বির জাদিদ কুশলী শিল্পী। মেদহীন বর্ণনায় তার উপন্যাস দারুণ গতি নিয়ে এগিয়ে চলে। উঠে আসে এইসব যাপন ও জীবন-যন্ত্রণার ইতিবৃত্ত।
সাব্বির জাদিদের জন্ম কুষ্টিয়ায়। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনের পর মায়ের ইচ্ছায় ভর্তি হন মাদরাসায়। পড়েছেন হিফজ বিভাগে। দাওরার পাশাপাশি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্পন্ন করেছেন অনার্স মাস্টার্স। কৈশোর থেকেই লেখালেখির নেশা। লেখেন প্রধানত গল্প-উপন্যাস। বর্তমানে ঢাকার একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছেন।