তাঁর লেখার মুখ্য বিষয় বিজ্ঞান, কল্পবিজ্ঞান ও স্থাপত্য। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞানের কৃতি ছাত্রী। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থাপত্যকলায় ¯স্নাতক। পেশায় সরকারি কর্মকর্তা। নেশা লেখা এবং আঁকা। সাপ্তাহিক ‘রোববার’, মাসিক ‘ শিশু ’ ও মাসিক ‘ ভারত বিচিত্রা ’ পত্রিকায় ইলাস্ট্রেশন করেছেন দীর্ঘদিন যাবত।
প্রথম লেখা প্রকাশিত হয় ১৯৮৬ সালে। তিনি মূলতই শিশু-কিশোরদের জন্য লেখেন। দেশের প্রায় সকল শীর্ষস্থানীয় পত্র-পত্রিকায় তাঁর লেখা প্রকাশিত হয়ে থাকে। গ্রন্থসংখ্যা ঊনিশটি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচেছ ‘কিজিমামার মিউজিড়িয়া, ‘মহাবিস্ময় ধূমকেতু, মুক্তিযুদ্ধের কিশোর উপন্যাস ‘লক্ষ তারার মানিক জ্বলে, স্থাপত্য বিষয়ক কিশোর পাঠ্য ‘ঘরবাড়ি’, স্থাপত্য বিষয়ক কিশোর পাঠ্য ‘হারিয়ে যাওয়া শহরগুলো’, বঙ্গবন্ধুর কিশোর-পাঠ্য জীবনী ‘মহান নেতা বঙ্গবন্ধু’, গবেষণামূলক গ্রন্থ ‘প্রযুক্তির জনকেরা’, গবেষণামূলক গ্রন্থ ‘জামশিদ গিয়াসউদ্দিন আল কাশি : জ্যোতির্বিজ্ঞানে তাঁর অবদান’, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কল্প-বিজ্ঞান গল্পগ্রন্থ ‘এক জোড়া সবুজ চোখ’, কল্পবিজ্ঞান গল্পগ্রন্থ ‘নোরা এক্স থার্টি’, ‘ক্ষুদে বিজ্ঞানী’, ‘ক্ষুদে বিজ্ঞানী তাপু’, ‘ভিনগ্রহের ক্র’, ‘ফুলবাড়ি’, ‘ঋতুগদ্য’ এবং ‘সূর্যের সন্ধানে’।
উল্লেখ্য ক্ষুদে বিজ্ঞানী বইটির জন্য তিনি অগ্রণী ব্যাংক শিশু-সাহিত্য পুরস্কার, ১৪০৫-এ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শাখায় পুরস্কার পেয়েছেন।
বাংলাদেশ বেতারের ‘ক’ শ্রেণীভুক্ত নাট্যকার নাসরীন মুস্তাফা নাটক লেখা শুরু করেন ১৯৯৫ সাল থেকে। বাংলাদেশ বেতার থেকে প্রচারিত নাটকের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচেছ ‘তবুও তিনি’ , ‘উপযুক্ত পাত্রী চাই’ (কল্পবিজ্ঞান), ‘লীলাবতী আখ্যান’, ‘বকুলবীথিতে উৎসব’ , ‘অধরা’ , ‘কুটে কাহার’, ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’ ইত্যাদি। বাংলাদেশ টেলিভিশন থেকে প্রচারিত হয়েছে নাটক ‘ঠিকানায় বিহঙ্গ’, ‘একদিন শুভ’, ‘বাড়ি থেকে পালিয়ে’ প্রমুখ।
১৯৯৬ সালে অনুষ্ঠিত আন্তঃবেতার শ্রুতি নাট্য উৎসবে বেতার নাটক ‘লীলাবতী আখ্যান’ নাটকটির জন্য পুরস্কারপ্রাপ্ত। ২০০১-এ বাংলাদেশ শিশু একাডেমী আয়োজিত অগ্রণী ব্যাংক নাট্য প্রতিযোগিতা ১৪০৭-এ কল্পকেন্দ্র নাট্য সংগঠন দ্বারা মঞ্চস্থ তাঁর শিশু-কিশোরদের উপযোগী কল্প-বিজ্ঞানকে আশ্রয় করে লেখা মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক নাটক ‘রাজাকারের আঙটি’ শ্রেষ্ঠ নাটক, শ্রেষ্ঠ নির্দেশনা ও শ্রেষ্ঠ অভিনেতার পুরস্কার লাভ করেছে।
২০০৭ সালে লোকনাট্যদল মঞ্চে এনেছে নাসরীন মুস্তাফা লিখিত ও লিয়াকত আলী লাকী নির্দেশিত মঞ্চনাটক ‘লীলাবতী আখ্যান’। ২০০৮ সালের ২৬ মার্চ পদাতিক নাট্য সংসদ মঞ্চস্থ করে পথনাটক ‘রাজাকারের আঙটি’, ২০১০ সালে মঞ্চনাটক ‘জনমাঙ্ক’ এবং ২০১৫ সালে নাট্যবেদ মঞ্চে আনে ‘কমলাকান্ত’। এছাড়া লোকনাট্যদলের প্রযোজনায় দ্রুতই মঞ্চে আসছে নাসরীন মুস্তাফার লেখা আরেকটি মঞ্চ নাটক ‘জগদীশ’।