একজন উদীয়মান তরুণ প্রতিভাবান লেখকের নাম কবি ‘রুহুল আমিন রােদ্দর। সাহিত্যের আকাশে সূর্যের মতাে উদিত হয়ে কবি নিপুণভাবে বিচ্ছুরণ করেন মায়া আর আবেগের কণিকা। শব্দচাষী কবি রুহুল আমিন রােদ্দর শব্দের লাঙলে কালের বুকে নিবিড় যত্নে চাষ করে ফলান প্রেম, বিরহ, প্রকৃতি আর আবেগ নামের জীবনমুখী কবিতা। পৃথিবীর বুকে কবিতার সৌরভ ছড়াতেই যেন কবির আবির্ভাব। আবেগের মজবুত গাঁথুনিতে কবিতায় কবি ফুটিয়ে তুলেছেন সেসব মানুষের কথা যারা অর্থহীন অপেক্ষার ডানায় ভর করে ছুটে চলে অন্তহীন উপেক্ষার পথ। শয়নে স্বপনে কিংবা গােপনে অমাবস্যার কালিতে পৃথিবীর দেয়ালে কবি লিখে চলেছেন জীবন চিত্রের সুখ-দুঃখ, হাসি-আনন্দ আর বিরহের কাব্য। কবি বিশ্বাস করেন শেকলে নয়, মায়া দিয়েই বেঁধে ফেলা যায় মানুষ, বেঁধে ফেলা যায় পুরাে পৃথিবী। মায়ার ছায়া এমন এক ছায়া যা শুধু মানুষের হৃদয়ে পড়ে থাকে ঠিক জন্মদাগের মতােই- স্থায়ী। বৈচিত্র্যময় কাব্যিক ভাবনা আর সহজ-সরল হৃদয় স্পর্শী শব্দ বিন্যাসে আচ্ছাদিত ‘মায়ার ছায়া কাব্যগ্রন্থটি। মায়ার গাঁথুনীতে- দেশপ্রেম, ভালােবাসা, বিরহ আর আত্মার মিলনের যে বাস্তবতার বন্দনা করেছেন তা নির্দ্বিধায় পাঠক হৃদয় ছুঁয়ে কবিকে সাহিত্যের স্থায়ী আসনে। অধিষ্ঠিত করবে বলে আশা করা যায়।
রুহুল আমিন রোদ্দুর জন্ম- ৩১ ডিসেম্বর ১৯৮৩, ঠাকুরগাঁও জেলা। আব্দুল মালেক ও মিসেস আসরেফা বেগমের দুই ছেলে এক মেয়ের মধ্যে রুহুল আমিন রোদ্দুর কনিষ্ঠ। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বি বি এ, এম বি এ সম্পূর্ণ করেন। লেখালেখির অভ্যাস ছিল স্কুল জীবন থেকেই, লিখেছেন বিভিন্ন সাহিত্য পাতায়। সাহিত্য জগতে কবি পেয়েছেন বেশ কিছু সম্মাননা ও পুরুস্কার। কৈশোর থেকেই অত্যান্ত ডান পিটে আর মেধাবী “রুহুল আমিন রোদ্দুর” লেখার পাশাপাশি খেলাধুলাতেও রেখেছেন অসাধারণ সাফল্য, ঘরে তুলেছেন স্যার এফ এফ রহমান হল ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আন্তঃহল পুরুস্কার সহ বিভিন্ন পুরুস্কার। বলয়ের বাইরে তিনি একজন সমাজ সেবক। অনাহারী, দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত হাজার মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন সেচ্ছাসেবী সংগঠন “আলোর পথিক”। তিনি উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান। বর্তমানে একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত আছেন।